Header Ads

পাপীতাপী মানুষ মায়ঙের মন্ত্রশব্দ আত্মস্হ করতে পারবে কি?


অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি

অসমের তীর্থ চূড়ামনি বলে খ্যাত গুয়াহাটির কামাখ্যা ধাম, এক  রহস্য ঘেরা সবুজ নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত।  যাকে তন্ত্র সাধনার প্রধান পীঠ বলা হয়। আর এক তন্ত্র     সাধনার পীঠ স্থান হচ্ছে গুয়াহাটি  থেকে ৭০, ৮০ কিলোমিটার দূরে জাগিরোড নির্বাচন কেন্দ্রের অধীন  মায়াঙ,  গ্রাম বাংলার মতো সবুজ    গাছগাছালি, পানা পুকুর মেঠো রাস্তা, আলো আঁধারি পথে প্রধান  তান্ত্রিকের বাড়ি, অবসর প্রাপ্ত সরকারী অফিসার তিলক  হাজারিকা, নিজেকে তন্ত্র সাধক বলে দাবি করেন। 

ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল
গত ৩০ জুন  রবিবার সন্ধ্যা বেলায় সুপ্রিমকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী জয়দ্বীপ মুখার্জি, সমাজকর্মী পিঙ্কু ভট্টাচার্য্য ও অন্যান্যরা জাদুবিদ্যের পুরোহিতের  সঙ্গে সাক্ষাৎ করে  তন্ত্রসাধনা  সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করলাম।  এর আগেও একবারে সাক্ষাৎ করে  ছিলাম। শুধু আমরা নয়, জার্মান,  ব্রিটেন সহ  সারা ভারত থেকে মানুষ আসেন। তিলক হাজারিকা জানালেন তাঁর নানা অভিজ্ঞতার কথা। বলেন যে কোনও  শব্দ হচ্ছে  একটা শক্তি, যা শব্দ ব্রহ্ম, ইন্টার নেট ছাড়া টিভি চলে না, ইথার  তরঙ্গ ছাড়া রেডিও চলে না। এক শুদ্ধ মন্ত্রের এক শক্তি আছে, সেই মন্ত্র শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যে কোনও রোগের উপশম ঘটবে বলে বিশ্বাস করেন হাজারিকা। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর, এই আপ্ত বাক্য মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, এই বিশ্বাস নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ  থেকে মানুষ তাঁর কাছে ছুটে আসেন। তিনি দাবি করেন যে কোনও বিষাক্ত সাপে কাটা রোগীকে তিনি  বাঁচিয়ে  তুলবেন। অপার  রহস্যে ঘেরা মায়াঙ নাকি একদিন মানুষকে তান্ত্রিকরা গাধা ঘোড়া বানাতো। এখন গাধাও নেই তান্ত্রিক ও নেই। 

একদিন  তন্ত্র মন্ত্রের উজ্জ্বল  ইতিহাস ছিল। আগর গাছের বাকলে লেখা কাইথালি ভাষায় হাজার খানিক তন্ত্র সাধনার অমূল্য গ্রন্থ ছিল।  অসমের  প্রাক্তন  রাজ্যপাল লোকনাথ মিশ্র প্রায় এই গ্রন্থগুলো  নিয়ে পড়াশুনা করতেন। তিনি বেশ কয়েক বার সেখানে গেছেন। 

 লোকনাথ মিশ্রও  তন্ত্রমন্ত্র নিয়েও সাধনা করতেন। রাজভবনেও  অনেককে ঝাড়ফুঁক করেছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহন্ত  এই প্রতিবেদককে বলেন প্রয়াত লোকনাথ মিশ্র তন্ত্র মন্ত্রের কিছু গ্রন্থ সঙ্গে নিয়ে গেছেন। জাদুর দেশ মাযাঙে আজও দূরদূরান্ত  থেকে  মানুষ আসেন,শান্তির খোঁজে, রোগ   নিরাময়ের লক্ষ্যে, কিন্তু কোথায় শান্তি?  মূল্যবোধহীন, বিবেকহীন , আত্মসর্বস্ব মানুষের বিবেকে    মন্ত্রের শব্দ আঘাত করতে পারবে?

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.