Header Ads

দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে ভারতের অর্থনীতি ! খুব তাড়াতাড়ি আমরা পৌঁছব ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে, বললেন অর্থমন্ত্রী !!

লিখেছেন বরিষ্ঠ সাংবাদিক বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। ২০২৪ নাগাদ এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে। বাজেট ভাষণে এমনটাই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি বলেছেন, মোদী সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন দেশের অর্থনীতি চিল ১.৮৫ ট্রিলিয়ন ডলারের। পরবর্তী পাঁচবছরে তা ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে।
ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল
ভারতের অর্থনীতি এগিয়েছে ৬.৮ শতাংশ হারে। যদিও ২০১৮-১৯-এর চতুর্থাংশে তা পাঁচ বছরের সর্বনিম্ন ছিল। হার ছিল ৫.৮ শতাংশ। মে মাসে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। আর্থ সামাজিক সমস্যার মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ছেন তিনি। পাশাপাশি ২০২৪ নাগাদ ভারতের অর্থনীতিকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। 
মোদী বলেছিলেন, ওই লক্ষ্যে পৌঁছনোটা চ্যালেঞ্জের। তবে তা অর্জন করা সম্ভব। এদিন নির্মলা সীতারমন বলেন. বর্তমান বছরেই ভারতের অর্থনীতি ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। যা পৃথিবীতে ষষ্ঠ বৃহত্তম। পাঁছবছচর আগে ভারতের অবস্থান ছিল ১১ তম স্থানে। 
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ১ ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে পৌঁছতে ভারতের সময় লেগেছিল ৫৫ বছর। আর বিজেপির পাঁচ বছরের শাসনকালে যুক্ত হয়েছে ১ ট্রিলিয়ন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, খুব তাড়াতাড়ি আমরা পাঁচ ট্রিলিয়নের অর্থনীতিতে পৌঁছে যাব।
এক নজরে বাজেটে র অংশ বিশেষ---
রেলে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
শুদ্ধ জল সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া এই সরকারের কর্তব্য। জল শক্তি মন্ত্র খোলা হয়েছে যাতে সার্বিকভাবে সব রাজ্যের সঙ্গে কাজ করে ২০২৪ সালের মধ্যে জলজীবন মিশন-এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি ঘরে জল পৌঁছে দেওয়া যায়। 'হর ঘর জল' মিশন নিয়েই এই সরকার কাজ করছে।
৯.৬ কোটি শৌচালয় তৈরি হয়েছে ২০১৪ সালের ২ অক্টোবরের পর থেকে। ৬ লক্ষের বেশি গ্রাম খোলা শৌচমুক্ত ঘোষণা হয়েছে। এই সাফল্যকে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যাব। এই সরকারের আমলে দেশের ৯৫ শতাংশ শহর খোলা শৌচমুক্ত ঘোষিত হয়েছে। ১ কোটি মানুষ স্বচ্ছতা অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবরের মধ্যে সারা দেশকে খোলা শৌচমুক্ত করার স্বপ্ন রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তা পূর্ণ করবে এই সরকার।
প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ২ কোটি গ্রাম্য যুব ডিজিটাল সাক্ষর হয়েছে।
গ্রামের পাশাপাশি শহরের দিকেও সরকারের নজর রয়েছে। এক শহর থেকে অন্য শহরে যাতে মানুষকে না যেতে হয়, সেদিকে সরকারের নজর রয়েছে।
সরকার দেশের যুব সমাজের জন্য জাতীয় শিক্ষা নীতি আনতে চলেছে যাতে এটিকে আরও ভালোভাবে তুলে ধরা হয়। এবং এজন্য স্কুল ও উচ্চশিক্ষায় বেশ কিছু সংষ্কার করা হবে।
পাঁচ বছর আগে বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্রমতালিকায় প্রথম ২০০তে ভারতের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। তবে এখন ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে এবছর আগের চেয়ে তিনগুণ বেশি বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। ফলে বিদেশি ছাত্রদের টেনে আনা হবে উচ্চশিক্ষায়।
প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনায় ১০ লক্ষ মানুষকে শিক্ষিত করা হবে। এর সঙ্গে ভাষার ট্রেনিংও দেওয়া হবে। যাতে বিদেশেও কাজ করতে পারে। এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্সের মতো বিষয়েও ট্রেনিং চলবে যাতে বিদেশেও ভারতের যুবরা সফল হতে 
পারে।
মহিলাদের এগিয়ে এনে সমাজের সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চলেছে এই সরকার। স্বামী বিবেকানন্দ মহিলাদের উন্নয়নের কথা বলেছিলেন। সেই পথেই চলবে কেন্দ্র। সব ক্ষেত্রেই মহিলাদের যোগদান রয়েছে। এবং ভারত গত এক দশকে মহিলাদের নানা শৃঙ্গজয় করতে দেখেছে। ফলে মহিলা উন্নয়নে এই সরকার বিশেষ নজর দেবে। মহিলা উদ্যোগপতিদের নানা প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
আগামী পাঁচ বছরে পরিকাঠামো উন্নয়নে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে কেন্দ্র। এজন্য বিশেষ কমিটিও গড়া হবে।
৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড় দেবে সরকার। ঘোষণা নির্মলা সীতারমনের। প্রত্যক্ষ কর বেড়েছে গত কয়েক বছরে ৭৮ শতাংশ হারে। ৬ লক্ষ থেকে বেড়ে তা হয়েছে ১১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। এবং প্রতি বছর তা বাড়ছে।
২৫০ কোটি টাকা বার্ষিক টার্নওভার থাকলে ২৫ শতাংশ কর্পোরেট কর দিতে হতো। সেটা বাড়িয়ে ৪০০ কোটি টাকা করা হল। যার ফলে ৯৯.৩ শতাংশ কোম্পানি এর আওতায় চলে আসবে।
এক বছরে ১ কোটি টাকার বেশি তুললে ২ শতাংশ অতিরিক্ত লেভি আদায় করা হবে। নগদ লেনদেন রুখতে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারমন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.