Header Ads

অসমের ২৭ জেলকে গ্রাস করেছে বন্যা, ১৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ, ত্রাণ চেয়ে হাহাকার

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ 
শদিয়া থেকে ধুবড়ি, অপরদিকে বরাক উপত্যকা ৩৩ টি জেলার মধ্যে অসমের ২৭ টি জেলা বৰ্তমানে ভয়াল বন্যার কবলে। প্রতিবেশী অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভুটানের নদীর জল অসমের বন্যা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। সুবর্নশিরি জল বিদ্যুত প্রকল্প এবং কার্বি লাংপি জল বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ছাড়া জলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। 

৮০ টি রাজস্ব গ্রামের প্রায় আড়াই হাজার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সরকার দাবি করেছে মাত্র ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, বেসরকারি সূত্র দাবি করেছে ১১  জনের মৃত্যু হয়েছে। এনকেফেলাইটিস রোগে রবিবার আবার দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আবহাওয়া বিভাগ আবার ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদ গুয়াহাটিতে  বিপদ সীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। বরাকের বরাক, কাঠাখাল, কুশিয়ারী, নদী বিপদ সীমার ওপরে আছে, হাইলাকান্দি থেকে শিলচর সড়ক জল মগ্ন হয়েছে। 

গুয়াহাটি থেকে  বরাক উপত্যকা রেল যোগাযোগ ১৭ তারিখ পৰ্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে রেল সূত্রে জানা গেছে। বন্যার আগে রাজ্যের অধিকাংশ নদী বাঁধ মেরারত করা হয় নি। জল সম্পদ মন্ত্রী কেশব  মহন্ত অজুহাত দিয়েছেন নির্বাচনী আচরন বিধি লাগু থাকায় কাজ করা যায় নি। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে বন্যার মতো অতি জরুরি কাজ করার ক্ষেত্রে কোনও আচরণ বিধি লাগু হয় না। মন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রশমন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে বন্যায় এখন পৰ্যন্ত ৫৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ত্রাণ খাতে খরচ হয়েছে। এ পৰ্যন্ত ৭লক্ষ ৩৫ হাজার ১৭৮ কুইন্টাল চাল, ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৭৮ কুইন্টাল ডাল, ৪৬ হাজার ১৯৬ কুইন্টাল নুন, ১২ লক্ষ ৯১ হাজার ৪৫১ লিটার সর্ষের তেল ছাড়াও শিশু খাদ্য, টিরপল, পশু খাদ্য ও ওষুধপত্র বন্টন করা হয়েছে। ৬২ টি ত্রাণ শিবির, এবং ১৭২ টি ত্রাণ বন্টন সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে ত্রাণ সাহায্যের জন্যে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে। কোনও অভাব নেই। 

বন্যা প্লাবিত অঞ্চলে এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। বন্যা ক্রমশ জটিল রূপ ধারণ করছে। আজ মরিগাঁওয়ের রিং বাঁধ ভেঙে বিস্তৃত অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কাজিরাঙা ভয়াবহ বন্যার হাত থেকে বাঁচার জন্যে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অতিক্রম করে শয়ে শয়ে হরিণ সহ অন্যান্য জন্তু কার্বি পাহাড়ে আশ্রয় নিতে ছুটে পালাতে গিয়ে গাড়ির  চাকায় প্রাণ হারাচ্ছে। রবিবার ৫ টি হরিণ গাড়ি চাপা পড়ে মারা গেছে বলে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে। কাজিরাঙা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, টাইম কার্ড চালু করা হয়েছে যার ফলে পুলিশের সঙ্গে বন কর্মীরা রাতেও ডিউটি করবে, যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রন করা হবে।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.