জাপানীজ এনকেফেলাইটিসে ডিমা হাসাওয়ে আতঙ্কে এলাকাবাসী
বিপ্লব দেব, হাফলংঃ জাপানীজ এনকেফেলাইটিসে ডিমা হাসাও জেলা জুরে এক আতঙ্কময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৬ জুলাই হাফলং সরকারি হাসপাতালে হাতিখালির বছর ৬০-য়ের বৃদ্ধা কুঞ্জলতা হাকমকসা জাপানীজ এনকেফেলাইটেসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটার পর এবার ডিমা হাসাও জেলায় আরও দুই মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে জাটিঙ্গা ও উমরাংশুর বাসিন্দা দুই মহিলা জাপানীজ এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে হাফলং শহরের দুটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ডিমা হাসাও জেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডঃ দিপালী বর্মন জানিয়েছেন গত ৬ জুলাই জাপানীজ এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে হাতিখালির কুঞ্জলতা হাকমকসার মৃত্যুর পর আরও দুই মহিলা জাপানীজ এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে হাফলং হোলি স্প্রিট হাসপাতাল ও হাফলং সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসারত দুই মহিলার অবস্থা সংঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন দিপালী বর্মণ। তিনি দুই মহিলাকে সোমবার সঙ্কটজনক অবস্থায় শহরের দুটি পৃথক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এদিকে গোটা রাজ্যে জাপানীজ এনকেফেলাইটিস মহামারীর আকার ধারন করেছে। এবার জাপানীজ এনেকেফেলাইটিসে ডিমা হাসাও জেলায় এক মহিলার মৃত্যু ও আরো দুই মহিলা জাপানীজ এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার খবরে পুরো পাহাড়ি জেলায় আতঙ্কময় পরিবেশ। উল্লেখ্য শুকর ও পরিযায়ী পাখি থেকে এই জীবানু মশার মাধ্যমে মানুষের শরীরে চলে আসে। শুকর ও পরিযায়ী পাখিদের মশা কামড়ালে এদের শরীর থেকে এই জীবানু মাশার মধ্যে চলে আসে আর এই মশা কোনও মানুষকে কামড়ালে জাপানীজ এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে পুরো জেলায় তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের মাইক যোগে পুরো জেলায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বাড়ির সামনে যাতে শুকরের ঘর তৈরি করা না হয়। সন্ধ্যায় বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ রেখে যাতে বাড়িতে ধোঁয়ার ব্যবস্থা করা হয়। রাতে শোবার সময় যাতে সবাই মশারী ব্যবহার করেন। কারণ একমাত্র মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও সাবধানতা এই রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে।









কোন মন্তব্য নেই