অসমের বন্যা সমস্যা জাতীয় সমস্যা বলে গণ্য করছে না কেন্দ্ৰ, অথচ প্ৰতি বছর রাজ্যে বন্যায় কোটি কোটি টাকার জীবন সম্পত্তি নষ্ট হয়
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ
অসম বন্যাপীড়ত রাজ্য, ব্রহ্মপুত্রের মতো বিশাল নদী, যার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। বরাক নদী ও বিশাল, প্রায় প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার জীবন সম্পত্তি ধ্বংস হয়। এ পৰ্যন্ত প্রায় ৫ লাখ বর্গ কিলোমিটার জমি নদনদীগুলিতে বিলীন হয়ে গেছে। দ্বিতীয় বারের জন্যে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর অসমবাসীর আশা আকাঙ্খা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল মাত্র কয়েকদিন আগে দিল্লিতে নীতিআয়োগের বৈঠকে অসমের বন্যা সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা বলে গণ্য করে আর্থিক সাহায্য দানের দাবি জানান। এই প্রতিবেদক প্রায় ৩৫ বছর বিধানসভা কভার করছে। এ পর্যন্ত ৮, ১০ বার বিধানসভায় সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করে অসমের বন্যা সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে আর্থিক সাহায্যের জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু আজ পৰ্যন্ত কেন্দ্র কোনও দাবি মানে নি।
সব কা সাথ, সব কা বিকাশ-এর সরকারের কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী রতন লাল কাটারিয়া গতকাল সংসদে জানিয়ে দিলেন অসমের বন্যা সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা বলে স্বীকৃতি দেওয়ার দরকার নেই। ব্রহ্মপুত্রের খননের ওপরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন। বিপিএফ-এর বিশ্বজিৎ দৈমারীর এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দায়সারা জবাব দেন। এদিন বিভিন্ন দল সংগঠন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। রাজ্যের ১০, ১২ টি জেলাতে বহু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভুটানের বন্যার জলে নিম্ন অসমের বহু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশের জলও অসমকে প্লাবিত করেছে। জলসম্পদ মন্ত্রী কেশব মহন্ত বলেছেন, অর্থের কোনও অভাব নেই।
কিন্তু বন্যা দুর্গত মানুষ উপযুক্ত ত্রান সাহায্য পাচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছে। বন্যা ক্রমশ বিস্তার লাভ করেছে। রাজ্যে ২৬৪ টি নদী বাঁধ মেরামতের জন্যে সরকার অর্থ বরাদ্দ করতে পারেনি। শতাধিক বাঁধ দুর্বল, যেকোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে জল সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। খবরে প্রকাশ অর্থ বিভাগ বাঁধগুলি মেরামতের জন্যে ১৭০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু ব্যবহারিক প্রমাণপত্র দাখিল করতে না পারায়। সেই টাকা খরচ করা যায়নি। অগপ দলের মন্ত্রী কেশব মহন্ত কয়েক মাস সরকার থেকে সরে ছিলেন। নাগরিকত্ব বিলের বিরোধী আন্দোলনে বাস্ত থাকেন, বলে ঠিক সময় বাজেট তৈরি করে অর্থ বিভাগে পাঠান নি। তাই এখন আর টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই পরিস্থিতিতে বন্যা দুর্গত মানুষ কি করবে।
কোন মন্তব্য নেই