Header Ads

অসমে জাপানিজ এনকেফেলাইতিস রোগে ৫০ জনের মৃত্যু, ১৯০ জনের রোগ ধরা পড়েছে, ডাক্তারদের ছুটি বাতিল, কড়া নির্দেশ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটিঃ 

 জাপানিজ এনকেফেলাইটিস রোগ প্রায় মহামারী রূপ ধারণ করেছে অসমে। সরকারি ভাবে এপৰ্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ১৯০ জনের শরীরে এই রোগ ধরা পড়েছে। রাজ্য সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে ৩০ সেপ্টেম্বর পৰ্যন্ত ডাক্তার, নার্স এবং এই বিভাগের সঙ্গে জড়িতদের সব ধরনের ছুটি ছাটা বাতিল করে দিয়েছে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে কর্তব্যরত   ডাক্তারদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। উজান অসমে এই রোগ বেশি করে দেখা দিয়েছে। 
প্ৰতীকী ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল
আজ পার্বত্য জেলা ডিমা হাসাও প্রথম কুঞ্জলতা হাকামসা নামে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। হাতিগাঁওয়ের এই উপজাতি মহিলার শনিবার হাফলং সিভিল হাসপাতালে মৃত্যু হয়। ডিমা হাসাও জেলার ডেপুটি কমিশনার অমিতাভ রাজখোয়া জেলায় প্রথম জাপানিজ এনকেফেলাইটিসে মৃত্যুর ঘটনায় সব ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কড়া নির্দেশ দেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের প্রায় সব কটি জেলায় জাপানিজ এনকেফেলাইটিস রোগ প্রায় মহামারীরূপ ধারণ করায় এই রোগ প্রতিরোধে কড়া এবং জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান। তিনি বলেন, ৫ জুলাই পৰ্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু  হয়েছে। ১৯০ জনের এই রোগ ধরা পড়েছে। রাজ্যের ৩০৯৪০ গ্রামে এই রোগ ছড়িয়েছে ১২ লাখ ৮ হাজার মানুষের রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। 

এই রোগ প্ৰতিরোধে ব্যাস্ত সব ডাক্তার , নার্স, আশাকর্মী এবং অন্যান্য কর্মীদের ৩০ সেপ্টেম্বর পৰ্যন্ত সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জরুরি কোনও কারণে ছুটির প্রয়োজন পড়লে জেলার ডেপুটি কমিশনারের কাছে যেতে হবে। মন্ত্রী জানান মেডিক্যাল কলেজের আইসিইউতে রেখে এই রোগের চিকিৎসা করা হবে, সব ধরনের ঔষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। ডিব্রুগড়, যোরহাট, কাছাড়, শোনিতপুর, গোলাঘাট, কামরূপ মেট্রো, বরপেটা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীকে রেখে বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হবে। ১০২ এবং ১০৮ অ্যাম্বুলেন্স সেবা না পেলে সেই রোগীকে সরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য ১০০০ টাকা বরাদ্দ করা হবে, প্রাইভেট নার্সিং হোমে চিকিৎসা করা হলে ১ লাখ টাকা চিকিৎসা খরচ দেওয়া হবে বলে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘোষণা করেন।

 এর জন্য কন্ট্ৰোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। নম্বর হচ্ছে ৬৯১৩৩৪৭৭৭০। মন্ত্রী জানান এই রোগ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকার সবধরণের সহযোগিতা করছে। এই রোগের প্রধান কারণ মশা, অসমে বৃষ্টির প্রাবল্য, একরের পর একর ধান খেতি, শুকর পালনের অভ্যাস প্রভৃতি কারণে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বলা হচ্ছে। এই রোগের লক্ষণ মাথা ব্যাথা, জ্বর, বমি বমি ভাব, হাতে পায়ে যন্ত্রনা বলা হচ্ছে। শুকর এবং পাখি থেকে দূরে থাকতে বলা হচ্ছে। মন্ত্রী জানান রাজ্যে ১২ টি ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। ৬ টি র প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় বরাকের তিনটি জেলার মধ্যে কোনও এক জায়গাতে নির্মাণ করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.