Header Ads

বাংলাদেশে হিন্দু রোহিঙ্গাদের দুরাবস্থা, ভারতের প্ৰধানমন্ত্ৰীর হস্তক্ষেপ চাইলেন করিমগঞ্জের বিজেপির প্ৰাক্তন বিধায়ক

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, করিমগঞ্জঃ বাংলাদেশের কক্সবাজারে উদ্বাস্তু শিবিরে আশ্ৰিত ১০৭টি হিন্দু পরিবারের দুরবস্থা দেখে তাদের উদ্ধার এবং রোহিঙ্গা জঙ্গিদের দ্বারা অপহৃত ৮ জন যুবতীর উদ্ধারে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদির সাহায্য প্ৰাৰ্থনা করলেন দক্ষিণ করিমগঞ্জের প্ৰাক্তন বিজেপি বিধায়ক প্ৰণব কুমার নাথ। তাঁদের প্ৰত্যাবৰ্তনের ব্যবস্থা করতে তিনি প্ৰধানমন্ত্ৰী ছাড়াও স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্ৰী এস জয় শঙ্করের উদ্দেশ্যে একটি চিঠিও লেখেন। চিঠিতে প্ৰণব কুমার নাথ উল্লেখ করেছেন- বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া কুতুপালং এলাকার উদ্বাস্তু শিবিরে ১০৭টি হিন্দু পরিবার আশ্ৰয় নিয়েছে। এঁরা মায়ানমারের আরাকান প্ৰদেশের আইকপ জেলার মনভু থানার অন্তৰ্গত চিকনছড়ি গ্ৰাম থেকে এসেছেন। রোহিঙ্গা সালভেশন আৰ্মি নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের অত্যাচারে বাধ্য হয়ে তাঁরা মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। প্ৰাক্তন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- রোহিঙ্গা জঙ্গিরা মোট ১৮৬ জন হিন্দু পুরুষকে হত্যা করেছে। ৮ যুবতীকে অপহরণ করেছে। পরে অবশ্য বাৰ্মা সরকারের মাধ্যমে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। যুবতীরা বৰ্তমানে বাৰ্মা সরকারের সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে বলে শরণাৰ্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু বৰ্তমানে কি পরিস্থিতিতে তারা রয়েছে তাদের অভিভাবকরা জানেন না। যুবতীদের উদ্ধার করে তাদের অভিভাবকদের কাছে সমঝে দেওয়ার জন্য প্ৰাৰ্থনা করা হয়েছে চিঠিতে। যে ৮ যুবতীকে অপহরণ করা হয়েছিল তাদের নাম হচ্ছে ক্ৰমে মীনা বালা ধর (২০ বছর), রীকা ধর (১৬), আওয়ালি শীল (১৮), পূজা মল্লিক (১৫), রোশনা শীল (১৭), অনিতা শীল (১৬), বীনা শীল (২০), রাজ কুমারী শীল(১৬)। এদের ছাড়াও আরও অপ্ৰাপ্ত বয়স্ক ৩ জন শিশু পুত্ৰ এবং ২ শিশু কন্যা নিখোঁজ রয়েছে বলে তাদের কাছ থেকে জানা গেছে। বাংলাদেশের সরকার একটি বেসরকারী সংগঠনের মাধ্যমে চারটি প্ৰাইমারি স্কুল খুলে দিলেও সেখানে শিক্ষাগত মানদণ্ড ভাল নয় বলে জানা গেছে। বাংলাদেশে এই হিন্দু রোহিঙ্গাদের সাহায্যে ভারত সরকারকে এগিয়ে আসার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।        

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.