Header Ads

বৃদ্ধাশ্রমে আশ্ৰিত বদরপুরের লক্ষী সেনের খোঁজ নিতে নয়া ঠাহরের প্রতিবেদন, বারইগ্রামে---

 নয়া ঠাহর প্রতিবেদন,বদরপুর : বৃদ্ধাশ্রমে কেমন আছেন লক্ষী সেন।গত ২৪ জুন বদরপুর রেল স্টেশন থেকে করিমগঞ্জ জেলার আইনি সেবাদলের সম্পাদক পারভেজ আলম চৌধুরী ও অন্যান্য সদস্যরা তাঁকে বারইগ্রাম বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসেন। সেই থেকে আশী বছর বয়সি লক্ষী সেখানেই আছেন। শুক্রবার বদরপুরের মহিলা জাগরণ সমিতির সভানেত্রী শাশ্বতি চক্রবর্তী, সম্পাদিকা সুমালা দাস, সহ সভানেত্রী দিপালী দাসরা তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে দেখে আসেন। 
 উদ্দেশ্য, লক্ষীকে আইনি সহায়তা দেওয়া।  বারইগ্রাম জংশন থেকে বেরিয়ে হাতের বাঁ দিকে কায়স্থগ্রামের দিকে দু মিনিটের হাঁটা পথে গেলেই নাজারজুরির ওল্ড এজ হোম। এটি পরিচালনা করে করিমগঞ্জের সপ্তবর্ণ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোশিয়েশন। ২৫ আসনের এই বৃদ্ধাশ্রমে বর্তমানে চার জন পরিবার পরিত্যক্ত বৃদ্ধা ঠাঁই  নিয়েছেন। শাশ্বতি চক্রবর্তী লক্ষী সেন-কে আইনি সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি যাতে তাঁর ছেলেদের কাছ থেকে প্রতি মাসে মাসোহারা পান বা ছেলেরা যাতে তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয় তার জন্য জেলা প্রশাসন এবং আদালতে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। 

এদিন তারা ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও মোবাইল স্যুইচ অফ থাকায় সম্ভব হয়নি। তবে চার মেয়ের মধ্যে গোলাঘাটের রূপা বরুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। দেখা গেল মা-কে তার কাছে নিতে তিনিও রাজি নন। নানা অজুহাত খাড়া করেন। এদিন হোম-র সম্পাদক সাদিকুর রহমান বদরপুরে এসে লক্ষীর ছেলেদের তালাস করলেও হদিশ বের করতে ব্যর্থ হন। তবে হোমে ভালই আছেন, জানিয়েছেন লক্ষী। 

সভাপতি সিরাজউদ্দিন সম্পাদক সাদিকুর রহমান সহ অন্যান্য সবাই তাঁর যথেষ্ট যত্ন নিচ্ছে। সাদিকুর কে তাঁর নিজের মেজো ছেলে কৃষ্ণ সেনের প্রতিচ্ছবি মনে হয়। তাই তাকে কৃষ্ণ বলেই ডাকেন তিনি। এমনিতে ভাল থাকলেও যখনই পরিবার বা সন্তানদের কথা মনে হয় তখন বড় কষ্ট হয় বলে জানিয়েছেন  লক্ষী ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.