বদরপুর নবীন কলেজের সূবর্ণ জয়ন্তীর প্রস্তুতিপর্ব
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, বদরপুরঃ
যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। ২০১৯ -র আগস্ট মাসে বদরপুর নবীন চন্দ্র কলেজের বয়স হবে পঞ্চাশ। জায়গার অভাবে রামকৃষ্ণ নগরে ভাড়া ঘরে সাত জন ছাত্র নিয়ে শুরু হওয়া কলেজ আজ শুধু বদরপূর নয় গোটা অসমে পরিকাঠামোর দিক দিয়ে অন্যতম উল্লেখযোগ্য। আগামী সাত আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাস পযর্ন্ত সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কলেজের কর্তৃপক্ষ।
এমর্মে শনিবার বিকেলে নবীনচন্দ্র কলেজে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে সুবর্ণ জয়ন্তীর বিভিন্ন কৰ্মসূচির ব্যাপারে তুলে ধরেন কলেজ অধ্যক্ষ সহ কলেজের অধ্যাপকরা। তাঁরা জানান, বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কার্য্যসূচীর মাধ্যমে এই সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসব চলবে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাস অবধি। সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবকে সুন্দর ও সফল করতে কলেজ পরিচালন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টিচার্স কাউন্সিলের সভায় আলোচনার মাধ্যমে একটি সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির গঠন করা হয়।
কলেজের ৫০ বছর পূৰ্তি উপলক্ষে জমজমাট করে সূবর্ণ জয়ন্তী পালনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উৎসবের সূচনা হবে আগামী ৭আগস্ট। ওই দিন সকাল ৯টায় কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বদরপুর শহর পরিক্রমা করে পুনরায় কলেজ প্রাঙ্গনে ফিরে আসবে। আনুষ্ঠানিক ভাবে পতাকা উত্তোলন করা হবে। এই শোভাযাত্রায় কলেজের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা ও অফিস কর্মী ছাড়াও কলেজের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষিকা ডোনার মেম্বার পরিচালন কমিটির বর্তমান ও প্রাক্তন সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন তথা কলেজের সকল শুভানুধ্যায়ী, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে অংশ গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আগামী ১০আগষ্ট কলেজ প্রেক্ষাগৃহে সুবর্ণজয়ন্তী আলোচনা শীর্ষক এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এই অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য দিলীপ চন্দ্র নাথ, সম্মানীয় অতিথি হিসেবে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড° সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য, আসামের মাননীয় মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, করিমগঞ্জের সাংসদ কৃপানাথ মাল্লাহ ও বদরপুরের বিধায়ক জামাল উদ্দিন আহমেদ।
সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের অঙ্গ হিসেবে আগামী ১৫ই আগষ্ট কলেজ প্রাঙ্গনে খেলাধুলার আয়োজনের পাশাপাশি বৃহত্তর বদরপুরের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে ফলমুল বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করা হবে। পরবর্তীতে যেসব অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে তার মধ্যে রয়েছে রক্তদান শিবির, নিঃশুল্ক চিকিৎসা, বৃক্ষরোপন ও স্বচ্ছতা অভিযান, এনসিসি-এনএসএস দিবস উদযাপন, গান্ধী জয়ন্তী, বিতর্ক, কুইজ, রচনা, সঙ্গীত প্রতিযোগীতা, বিভিন্ন রকমের ইন্ডোর আউটডোর গেম। কলেজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ইতিহাস সম্বলিত এক মনোগ্রাহী ও আর্কষণীয় স্মরনিকা সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশ করা হবে। কলেজের সার্বিক উন্নয়নে যারা বিভিন্ন সময়ে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন তাদেরকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপনের সমাপ্ত অনুষ্ঠান ডিসেম্বর মাসে সপ্তাহ ব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৩ই জুলাই ২০১৯ইং (শনিবার) বেলা ১১টা সময় প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের এক বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ সভায় প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান কলেজের অধ্যক্ষ। এ ছাড়া এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে বদরপুরবাসীর সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেছেন কমিটির সকল পদাধিকারীরা। সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির পদাধিকারীরা হলেন, সভাপতি অমিয় কুমার পাল, কার্যকরী সভাপতি অরুন কুমার সেন, সহ সভাপতি সন্তোষ কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ডক্টর মর্তোজা হোসেন, অর্গেনাইজিং সেক্রেটারি জয়নাল আবেদিন তাপাদার, কার্যকরী কমিটির সদস্য দেবজ্যোতি দাসগুপ্ত, ডক্টর ফজলুর রহমান লস্কর, মঞ্জুরুল হক, সৌমিত্র চৌধুরি, ডক্টর অর্জুন চন্দ্র দেব নাথ, ডক্টর বর্ণশ্রী বক্সী, ডক্টর ইকবাল উদ্দিন তাপাদার, ডক্টর নাজিম উদ্দিন খাদিম, ডক্টর সেরওযার আলম খান, বজলুর রহমান খান, ডক্টর পল্লভ দেব, ডক্টর শঙ্কর কুমার চত্রুবর্তী,কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকা ছাড়া ও মোহাম্মদ আব্দুল হেকিম, ও ষ্টুডেন্ট ইউনিয়নের সম্পাদক কমিটিতে রয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই