Header Ads

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অন্যায় ও অত্যাচারের অভিযোগ

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু বাঙালিরা অন্যায় এবং অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। অন্যান্য স্থানীয়দের মতো তারা নিৰ্বঘ্নে নিৰ্দিধায় সেখানে বসবাস করতে ভয পাচ্ছেন। সে দেশের সংবাদ মাধ্যম ‘ভোরের পাতা’ সূত্ৰে এই তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশে সংরক্ষিত মহিলা আসন সমেত মোট ৩৫০ জন সাংসদ রয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত এমপির তালিকা করতে গেলে সবার প্ৰথমে যার নাম আসে তিনি হলেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের এমপি জগলুল হায়দার। 
ছবি, সৌঃ ভোরের পাতা
হায়দারের কৰ্মকাণ্ডে তার বহু সহকৰ্মীকে বিব্ৰতকর অবস্থা পড়তে হয়েছে। আইন প্ৰণেতা হিসেবে তিনি নিজের প্ৰকৃত কাজটিই ভুলে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একজন এমপি হয়েও তিনি ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদকের সামনে ফ্লোরে বসে নিজের ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি বা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার অবমাননা করেছেন বলেও মনে করেন একাধিক এমপি। শেখ হাসিনার পরিবারের একজন প্রভাবশালী সদস্যের নাম ভাঙিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করলেও গোপনে নিজের আপন ভাইকে দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের স্থানীয় রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ এবং তারেক রহমানের গোপন মিশন বাস্তবায়ন করছেন বলে জানা গেছে। তারেক রহমানের নির্দেশেই গত ১০ বছর ধরে সাতক্ষীরা শ্যামনগর-কালীগঞ্জ (একাংশ) এলাকায় সংখ্যালুঘ নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন জগলুল হায়দার এবং তার পরিবারের সদস্যরা।
 তাঁর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলা সদর থেকে গত এক বছরের কম সময়ে কমপক্ষে ২৫ টি পরিবার এমপি জগলুল হায়দার ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। 
এরপর নিৰ্যাতিত পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এমপি জগলুলের নিজের মেজ ছেলে রাজীব হায়দারের নেতৃত্বে তার বাড়ির নিচ তলায় ‘বিশেষ টর্চার সেল’ গঠন করে সেখানে সম্মানিত হিন্দুদের বেদম প্রহার ও হিন্দু পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের ধর্ষণ করার ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, জানা গেছে গত ৫ বছরে কমপক্ষে শতাধিক পরিবারকে নির্যাতন করে দেশছাড়া করেছে এমপি জগলুল হায়দার। 
সম্মানের ভয়ে অনেকেই বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। যারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ওপার বাংলা ছেড়ে ভারত আসেননি, তারাই এখন এমপি জগলুলের অত্যাচারে দেশ ছাড়ার কথা ভাবছেন। 
আতংকিত হিন্দু পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছেন, সুষ্ঠু তদন্ত করে এমপি জগলুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। সংখ্যালঘু নিৰ্যাতনে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন এমপি জড়িত রয়েছেন বলেও জানা গেছে। 
প্ৰসঙ্গত, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশে ৩০ শতাংশ হিন্দু থাকলেও বর্তমানে সেটি ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারত সরকার চায় বাংলাদেশে শুধু হিন্দু নয়, সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সহমর্মিতা বজায় থাকুক এবং বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে উঠুক। 

সেখানে কোনও এমপি যদি পাকিস্তান আদর্শের গুপ্তচর হয়ে কাজ করেন তাহলে তার বিষয়ে আরও খোঁজ খবর নেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল। তবে নিজের বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ এম পি জগলুল। এইসব ঘটনা প্ৰকাশ করে তার সম্মানহানী করা হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।    

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.