Header Ads

সন্তানরা থাকুক দুধে ভাতে; বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার আগে বললেন লক্ষী


নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, বদরপুরঃ একেই বলে মায়ের মন। সন্তানরা তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর ঠাঁই বৃদ্ধাশ্রমে হলেও  লক্ষী সেন কপালে হাত ঠেকিয়ে ঈশ্বরের কাছে সন্তানরা যাতে সুখে থাকে এই কামনাই করলেন। গত ১৮ জুন বদরপুর জুমবস্তির বাসিন্দা লক্ষী সেনকে পরিবারের অন্যান্যরা বাড়ি থেকে বের করে একটা ব্যাগে কিছু কাপড় আর দু একটা টুকিটাকি জিনিসপত্র দিয়ে রেল স্টেশনে ছেড়ে যায়। সেই থেকে ২৪ জুন পযর্ন্ত আশি বছর বয়সী লক্ষীর ঠিকানা হয় প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে এক কোনায়। 

এই কদিন কেটেছে রেল কর্মীদের ও পাশের রেস্টুরেন্টের মালিকের দেওয়া খাবার খেয়ে। ২৩ জুন  নয়া ঠাহর - এ এই খবর প্রকাশের পর লক্ষীর সাহায্যে এগিয়ে আসে জেলা আইনী সেবা দল।সংস্থার সম্পাদক পারভেজ আলম চৌধুরী ও অন্যান্য সদস্যরা বদরপুর রেল স্টেশনে এসে তাকে বারৈগ্রাম হোমে নিয়ে যান। আপাতত লক্ষীর ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম। অথচ তাঁর সন্তানরা সবাই জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত। বড় ছেলে গুয়াহাটিতে সরকারি চাকরি করেন। মেজ ছেলে বদরপুর পিএইচই-তে। ছোট ছেলে তিনসুকিয়ায় ব্যবসা করেন। এক মেয়েও আছে। মেজ ছেলের সঙ্গে মোবাইলে বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও স্যুইচ অফ থাকায় চেষ্টা সফল হয়নি। 

দেশ ভাগের সময় নোয়াখালী দাঙ্গায় ভিটে মাটি হারিয়ে এক বস্ত্রে এদেশে এসে কী প্রানান্তকর পরিশ্রম করে সন্তানদের বড় করেন লক্ষী। প্ল্যাটফর্মে বসে তিনি গল্প করছিলেন। বুকে আগলে অনেক মমতায় বড় করা সন্তানদের জন্য তাই বৃদ্ধাশ্রমে বসেও ঈশ্বরের কাছে তাদের মঙ্গল কামনাই করলেন আশী বছরে আর এক নুতন জীবন শুরু করা লক্ষী।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.