আদিবাসী চা শ্রমিক সোনা মুণ্ডাকেও বাংলাদেশী বানিয়ে দিল সরকার, মারা গেলেন গতকাল আজ বাঙালি বধূ ডলি রায়কে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হল
ছবি, সৌঃ ইনসাইডএনই.কম
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটিঃ গোয়ালপাড়া জেলার রংজুলি চা বাগানের শ্রমিক সোনা মুণ্ডাকেও বাংলাদেশী সাজিয়ে গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরে দেওয়া হয়েছিল । গতকাল প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান তিনি। বুধবার গোলাঘাট শহরের স্থায়ী বাসিন্দা হিন্দুধর্মালম্বী মহিলা ডলি রায়কে যোরহাট ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয় । হাই ব্লাডসুগারের রোগী গোলাঘাটের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আদি বাসিন্দা,স্বামী সঞ্জিত রায় এবং একমাত্র ছেলে সাগর হাটে হাটে দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করে। গত সব নির্বচনে তারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল বলে জানা গেছে। গরিব পরিবারদের আসাম সরকারের সীমান্ত পুলিশ নানাভাবে হয়রানি করছে বলে বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশন অভিযোগ করেছে। ৪৫, ৪৬ বয়স্ক ডলিকে নাকি তিনবার বিদেশি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তার হাতে একটিও পৌঁছয়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সীমান্ত পুলিশ বিদেশি নোটিশের কপি সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির বাড়িতে না গিয়ে কোনও দেয়ালে বা গাছে ঝুলিয়ে দেয়। প্রচুর টাকা পয়সা দাবি করে বলে ফেডারেশন দাবি করেছে। আজ ওই পরিবারের ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেল গোলাঘাটের এক পুলিশ অফিসার হুমকি দিয়েছে সংবাদ মাধ্যমে খবর টি দিলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। খবর দেওয়া যাতে না হয়। গোলপাড়ার এক সংবাদ সূত্র জানান সোনা মুণ্ডার মৃতদেহ আজ রংজুলি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রটি জানান, জেলার মাটিয়া অঞ্চলে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মাণের কাজ আধা প্রায় শেষ হয়েছে, সেখানে প্রায় ৫০০ বাংলাদেশীকে ঠাঁই দেওয়া হবে। সূত্রটি জানান গোয়ালপাড়া জেলে ১১ জন ডিটেনশন ক্যাম্প বন্দি মারা গেল। বর্তমান সেখানে ২৭২ জন আছে। এই জেলে ১১ দিন কাটিয়ে প্রাক্তন সেনা অফিসার সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের কাছে গুরুতর অভিযোগ করে বলেন গোয়ালপাড়া জেলে নানা অপরাধীদের সঙ্গে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দিদের রাখা হচ্ছে , অথচ ৯৯ ভাগ ডি ভোটার ভারতীয় নাগরিক। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ৩১ জুলাই এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হচ্ছে। তাই রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই