Header Ads

অসমে এনআরসি উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্ৰকাশ বিশিষ্ট মানবাধিকার কৰ্মী তিস্তা শিতলাবাদের

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ 

দেশের বিশিষ্ট মানবাধিকার কৰ্মী তিস্তা শিতলাবাদ বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে অসমে ডিটেনশন ক্যাম্পের নামে যেভাবে মানুষকে হেনস্থা করা হচ্ছে প্ৰকৃত ভারতীয় নাগরিকদের নানাভাবে নিৰ্যাতন করা হচ্ছে সেব্যপারে গভীর উদ্বেগ প্ৰকাশ করেন।

ছবি, সৌঃ ডেইলি হান্ট
 মুম্বইয়ের সিটিজেন ফর জাস্টিস ফোরামের বিশিষ্ট মানবাধিকার কৰ্মী তিনি আগামী রবিবার রাজ্যে এনআরসি উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলবেন। এদিকে অসমের ৪০ জন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, বিভিন্ন ক্ষেত্ৰের প্ৰতিনিধি অসমের এনআরসি উদ্ভুত ডিটেনশন ক্যাম্প প্ৰভৃতি ক্ষেত্ৰে সরকারের ভূমিকায় গভীর উদ্বেগ প্ৰকাশ করে। সাহিত্য অকাডেমির পুরস্কার প্ৰাপ্ত অরূপাপতঙ্গিয়া কলিতা বলেছেন- অসমে প্ৰকৃত ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। 

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আমরা সমৰ্থন করি না। দেশকে হিন্দুরাষ্ট্ৰ গঠনের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হিন্দুরাষ্ট্ৰ আমরা চাই না। বিশুদ্ধ এনআরসি প্ৰস্তুত হোক তা আমরা চাই। কিন্তু এনআরসির নামে প্ৰকৃত ভারতীয়দের যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে তা সমৰ্থনযোগ্য নয়। এই ৪০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন অসমে গণতন্ত্ৰকে হত্যা করা হচ্ছে। ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনির পক্ষে এই ৪০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন অসমে পুলিশ প্ৰশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। 

ফোরমের পক্ষে হরকুমার গোস্বামী এবং অন্যান্যরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বলেছেন- আগে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে, এবার লক্ষাধিক মানুষের নাম বাদ পড়ল। লক্ষ লক্ষ মানুষ রাষ্ট্ৰহীন নাগরিকে পরিণত হবে। তাদের ব্যাপারে সরকারের কোনও সদিচ্ছা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সবথেকে বিষ্ময়ের কথা হচ্ছে যারা আপত্তি প্ৰকাশ করল, তাদের কোনও পরিচয় নেই। আড়াল থেকে তারা আপত্তি দৰ্শালো লক্ষ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে তারা কিন্তু প্ৰকাশ্যে এল না। এই ৪০ জন বুদ্ধিজীবীর পক্ষে রাজ্যের ধৰ্মীর জাতীয় ভাষিক সংখ্যালঘু সংগঠিনগুলি সহমত পোষণ করেছে। 

এর আগে মানবাধিকার কৰ্মী হৰ্ষ মন্দার রাজ্যের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলির অবৰ্ণনীয় কথা তুলে ধরে সুপ্ৰিম কোৰ্টের কাছে সুবিচার প্ৰাৰ্থনা করেছিল। রাষ্ট্ৰীয় স্বয়ং সেবক সংঘের এক মুখপাত্ৰ বলেন- এনআরসি সংশোধনের ক্ষেত্ৰে বহু ক্ষেত্ৰে ভুলভ্ৰান্তি হয়েছে। সুপ্ৰিম কোৰ্ট বলেছিল তালিকায় ১০ শতাংশ সংশোধন করা হবে কিন্তু তা করা হল না। তিনি আরও বলেন- প্ৰায় ১০ হাজার নথিপত্ৰ দাখিল করা হয়েছিল  সেসব ভুভ্ৰান্তি থাকা লিগাসি ডাটা। কিন্তু যে কারণেই হোক সুপ্ৰিম কোৰ্ট কোনও ব্যবস্থা গ্ৰহণ করলেন না। রাজ্যে ভাষিক এবং ধৰ্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষ বিশেষ ভাবে শংকিত হয়ে আছে।

 বৃহস্পতিবার ওদালগুরিতে এনআরসির একজন কৰ্মীকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। এধরনের বহু ঘটনা ঘটে চলেছে। আগামী ৫ জুলাই থেকে অতিরিক্তি খসড়া ছুটদের পুনরাবেদন প্ৰক্ৰিয়া শুরু হবে। ১১ জুলাই শুনানি। তাই রাজ্যের এনআরসি উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।    

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.