Header Ads

আজ ভোর ৫ টা ১৫ মিনিটে খুলল মা কামাখ্যা মন্দিরের প্ৰবেশ দুয়ার



ছবি, সৌঃ নিউজ১৮অসম
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ বুধবার মহা অম্বুবাচীর নিবৃত্তি। এদিন ভোর ৫ টা ১৫ মিনিটে মা কামাখ্যা মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হল। ২ টা ৪ মিনিট ২২ সেকেন্ডে নিবৃত্তির সময় ছিল। কিন্তু তার আগেই মা কে স্নান করিয়ে মন্দিরের  দরজা ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। নিয়মমতো এদিন কুমারি পুজোও হয়। এদিন সকাল সকাল কামাখ্যা মায়ের আশীৰ্বাদ নিলেন মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল। এরপর রাজ্যপাল স্বস্ত্ৰীক জগদীশ মুখী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা স্ব পরিবারে কামাখ্যা মায়ের পুজো অৰ্চনা করেন। রাজ্যপাল মুখী গোটা অসম তথা অসমবাসীর উন্নতি যাতে হয় মায়ের কাছে সেই কামনা করেছেন। মঙ্গলবার রাত থেকেই অসংখ্য ভক্ত মায়ের দৰ্শনের জন্য লাইন দিয়ে দাড়িয়েছিলেন। মন্ত্ৰ পাঠে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা নিলাচল পাহাড়ের পরিবেশ।  
ছবি, নিজস্ব
অম্বুবাচী মেলাটিকে সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সু ব্যবস্থার জন্য মুখ্যমন্ত্ৰী সমস্ত দলৈ সমাজকে ধন্যবাদ জানান। এদিকে কামাখ্যার আশীৰ্বাদ নিয়ে মন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা বলেন- কামাখ্যার উন্নয়নের কাজ পুরো দমে চলছে। কেন্দ্ৰীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড উন্নয়নের জন্য সাহাযের হাত এগিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও জানান- ভক্তদের সুবিধার জন্য পাণ্ডুর দিকে দিয়ে গাড়িতে করে কামাখ্যা মন্দিরে উঠে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গত ২২ জুন শক্তিপীঠের দরজা বন্ধ হয়েছিল। বুধবার কামাখ্যায় পুজো দিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানান অসম পৰ্যটন উন্নয়ন নিগমের অধ্যক্ষ জয়ন্ত মল্ল বরুয়া। মেলার সময় পাহাড়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পদক্ষেপের জন্য স্কাউড-গাইডের সদস্যদের প্ৰতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। প্ৰসঙ্গত, অন্যান্যবারের তুলনায় এবছর অম্বুবাচী মেলায় ভক্তের সমাগম বহু বেশি হয়েছে। 

ছবি, নিজস্ব
ভক্তদের থাকা-খাওয়া, মন্দিরে যাওয়ার জন্য বাহনের ব্যবস্থা করেছে প্ৰশাসন। তাও ভিড় সামল দেওয়া কস্টকর হয়েছে স্বেচ্ছাসেবীদের। বাইরে থেকে আসা ভক্তদের থাকা খাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভক্তদের যাতে কোনও ধরনের অসুবিধা নাহয় তার জন্য ব্যবস্থা করেছে প্ৰশাসন। 
ছবি, নিজস্ব
এছাড়াও বেসরকারী বিভিন্ন সংগঠন, মারোয়ারি সংগঠনের পক্ষ থেকেও খাওয়ার জল সমেত খাবার দাবারের আয়োজন করা হয়েছে। পাহাড়ে জনসসমুদ্ৰ সামলাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়েছে স্বেচ্ছাসেবীদের। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.