ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃত মুণ্ডার বাড়ি থেকে ফিরে কংগ্রেস পরিষদীয় দল প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশী অপবাদ দেওয়ার পর তাদের মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে না কেন?
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ নয়শোর বেশি নিরপরাধী মানুষকে অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে আটক করে রাখা আছে। কংগ্রেস দলের অভিযোগ প্রায় ৯০ শতাংশ ভারতীয়, একপক্ষ রায় দিয়ে ট্রাইব্যুনাল তাদের বাংলাদেশী সাজাচ্ছে, অথচ প্রায় ৫০ জন বিনা চিকিৎসায়, অভুক্ত অবস্থায় ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে মারা গেল, বাংলাদেশী যদি হয় তবে বাংলাদেশে না পাঠিয়ে অসমে শেষ কৃত্য সম্পন্ন করা হল কেন? অসমের সরকারি জেল গৃহ বিভাগের অধীন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এই বিভাগের দায়িত্বে আছেন। তাই ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃত প্রতিজন ব্যাক্তির উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বিজেপি সরকারকে। রবিবার কংগ্রেসের বিধানপরিষদ দলের এক প্রতিনিধি দল গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃত্যু হওয়া পুনা মুণ্ডার বাড়িতে গিয়ে পত্নী কাজিলা, পুত্র মার্কিশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আর্থিক সাহায্য করে এসে মৌলিক প্রশ্ন তোলেন চাবাগানের শ্রমিক ৬৯ বছরের মুণ্ডা সম্প্রদায়ের মানুষকেও বাংলাদেশী অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হল, তারপর তাকে বাংলাদেশে পাঠনো হল না কেন? প্রায় ৫০ জন হিন্দু মুসলিম বাংলাভাষী সংখ্যলঘু মানুষ ডিটেনশন ক্যাম্পে মারা গেল তার অধিকাংশই বাঙলি হিন্দু , তাদের সরকারি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর অধীন সরকারি জেলে মৃত্যু হয়েছে তাই সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে দাবি জানান কংগ্রেস বিধানপরিষদ দলের উপনেতা কমলক্ষ্য দে পুরকায়স্থ। তিনি কংগ্রেস বিধায়ক আবুল কালাম রশিদ আলম এবং দুর্গা ভুমিজ বি বি বড়ূয়া ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এবং পুনা মুণ্ডার বাড়িতে যান। সংবাদপত্রে ভুল করে সোনা মুণ্ডা লেখা হয়েছিল। ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। কমলাক্ষ্য জানান আগামী বিধানসভার অধিবেশনে সরকারি হেফাজতে মৃত্যুর দায়িত্ব সরকারকে নিয়ে উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ দেবার দাবি জানানো হবে। সরকারের ভুল নীতি এবং ভুল সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের গরিব সংখ্যালঘু মানুষগুলিকে বিনা দোষে মরতে হয়েছে । আরও কতজন মরবে কেজানে?
কোন মন্তব্য নেই