Header Ads

ছয়গাঁওয়ে উলঙ্গ নৃত্য কাণ্ডের সাথে অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ


নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ লজ্জা নত করা কামরূপ জেলার ছয়গাঁও এর গরৈমারি আচলপাড়াতে ঘটনা সম্পর্কে  ইতিমধ্যে চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ছয়গাঁও থানার পুলিশ। ঈদের অনুষ্ঠানের নামে নিত্যশিল্পীর সাথে অশ্লীল ব্যবহার করেছিল একাংশ বিকৃত মানসিকতার লোক । শিল্পীদের উলঙ্গ হয়ে নাচতে বলেছিল অনুষ্ঠানটির আয়োজক কমিটি। এ ঘটনাকে নিয়ে রাজ্য জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়ার। ধিক্কার দিয়েছেন শিল্পী সমাজও এ সম্পর্কে জুবিন গর্গ আর বর্ষারানী বিষয়াও তীব্র ভাষাতে ধিক্কার জানিয়েছেন।ঘটনার দোষী ব্যক্তির কঠোর শাস্তির দাবি জানান আমসুর উপদেষ্টা আজিজুর রহমান উল্লেখ্য যে রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা বোকতে তে ঈদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পীদেরকে উলঙ্গ প্রদর্শনের জন্য জোর করার ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ছয়গাঁও পুলিশ। গ্রেফতার করা লোকরা হলেন শাহরুখ খান, সুভাহান,নিজামুদ্দিন ও রহমত আলী । পুলিশ সূত্রের প্রাপ্ত খবর অনুসারে নৃত্যশিল্পী দলটি থানায় এজাহার দাখিল করার পরে রবিবারে পুলিশ অভিযুক্ত শাহরুখ খান আর সুভাহানকেে গ্রেফতার করে। পরে ছয়গাঁও থানার পুলিশের একটি দল রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে আরো দুজন ব্যক্তিকে নিজামুদ্দিন আর রহমত আলীকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য যে ৭ ই জুন রাতে আচলপাড়াতে সংঘটিত উক্ত ঘটনাটি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে । রবিবার মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের জানায় যে ইতিমধ্যে ঘটনাটিকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কামরুপ জেলার পুলিশ অধীক্ষকের সাথে কথা বলেছেন ।তিনি নিজেও পুলিশের অধীক্ষকের সাথে কথা বলেছেন বলে জানান ।তিনি বলেন যে খুব শীঘ্রই দোষী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হবে ও উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে ।ঘটনাটিকে নিয়ে পুলিশ  মামলা রুজু করে তদন্ত চালিয়েছে।
উল্লেখ্য যে এ কোচবিহার থেকে উলঙ্গ নিত্য শিল্পী আসবে বলে আয়োজকরা পয়সা নিয়ে ছিল স্থানীয় যুবকের থেকে ।ইতিমধ্যে রেইনবো ডান্স গ্রুপের পরিচালক ছয়গাঁও থানাতে এ বিষয়ে মামলা রুজু করেছে। তিনি শিল্পীর দলটিকে ডেকে আনা প্রবঞ্চক কুদ্দুস আলি ৩৭ হাজার টাকার বিনিময়ে দলটিকে নৃত্য প্রদর্শনের জন্য বন্দোবস্ত করেছিল ।যদিও শিল্পীর দলটি এক টাকাও পাননি । এজাহারে উল্লেখ করা কথা মতে এই ঘটনার আগের দিন থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখা  ৪২ জন শিল্পীর দলটি  বকোতে উপস্থিত হয় যদিও সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিবেশ না দেখে পরিচালক কুদ্দুস  আলিকে ফোনে যোগাযোগ করে ।তখন তাদের আচলাপাড়াতে অনুষ্ঠান করার জন্য ডাকে। শিল্পীর দলটি সেখানোও কোন সাংস্কৃতিক পরিবেশ না থাকায় পুনরায় তারা দলটির সাথে যোগাযোগ করা কুদ্দুস আলির সাথে সম্পর্ক করে। তখন শিল্পীর  দলটিকে টিনের ঘেরা  দেওয়া একটি ঘরের জোর করে প্রবেশ করে  নৃত্য পরিবেশন করতে জোর করে একাংশ বিকৃত মানসিকতার যুবক। নিত্য শিল্পীর দলটি স্বকীয় নৃত্য পরিবেশন করতে শুরু করার সাথে সাথে সেখানে থাকা বহু উশৃংখল যুবক অসভ্য আচরণ করতে শুরু করে ও তাদের চিৎকার করে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করতে  বলে কমিটির মানুষরাও এতে সমর্থন জানায়। এর কিছুক্ষণ পরে উশৃংখল ও বিকৃত মানসিকতার যুবকরা শিল্পীদের কাপড় ধরে টানাটানি করে ও তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে  স্পর্শ করে এবং অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন না করলে তাদের হত্যা করা হবে বলে ধমকি দেয় তারা জানায় যে কোচবিহার থেকে উলঙ্গ নিত্য করার জন্য শিল্পীদের আনা হয়েছে বলে আয়োজকরা তাদের থেকে বহু টাকা নিয়েছিল। সেই জন্য তাদের উলঙ্গ নৃত্য পরিবেশন করার জন্য তারা বারে বারে দাবি ও জোর করতে থাকে। এরপর শিল্পীদের দলটি কোনরকমে সেই ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে গাড়িতে ওঠে ।কিন্তু উশৃঙ্খল বিকৃত মানসিকতার যুবকেরা শিল্পীদের সাথে অশালীন ব্যবহার করার সাথে  গাড়ির পেছনে  দৌড়ে যায় ও তাদের কে আক্রমন করে।ফলে  গাড়িও কম বেশি পরিমাণে ক্ষতি হয়  এরপর পুলিশের সহায়তায় শিল্পী দলটি বোকো থানাতে উপস্থিত হতে সক্ষম হয।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.