অম্বুবাচী মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আকাশপ্রদীপ জ্বালালেন মুখ্যমন্ত্রী
গুয়াহাটির সোনারাম হাই স্কুল ময়দানে শুক্রবার অম্বুবাচী মেলার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং পটেলের সঙ্গে আকাশপ্রদীপ জ্বালালেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল।
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ কেন্দ্রীয় স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং পটেল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে কামাখ্যাধামের অম্বুবাচী মেলার উদ্বোধন করলেন সোনারাম ময়দানে । অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল , পর্যটন বিভাগের মন্ত্রী চন্দন ব্রহ্ম সাংসদ রামেশ্বর তেলি, মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস উপদেষ্টা ঋষিকেশ গোস্বামী প্রমুখদের উপিস্থিততে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী পটেল অসমের বিখ্যাত অম্বুবাচী মেলার মাহাত্ম্য তুলে ধরে বলেন এই মেলাকে কেন্দ্র করে অসম তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় পর্যটন ক্ষেত্র বিকাশ লাভ করবে। এদিন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে কামাখ্যা ধামে নাগা সন্ন্যাসীরা যোগ সাধনা করেন। এবার কয়েক হাজার কিন্নর মেলাতে যোগ দিয়েছেন। প্রায় ৪০০ সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও এক মহিলার মুণ্ডুহীন দেহ পাওয়া গেল কামাখ্যা মন্দিরে যেতে বনদুর্গা মন্দিরের সামনে। পর্যটন নিগমের চেয়ারম্যান জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়া বলেন অসমের বদনাম করার জন্যে কোনও দুষ্ট চক্র এই ঘটনায় জড়িয়েছে।
তান্ত্রিকদের নরবলির তত্ত্ব দেওয়ার চেষ্টার বিরোধিতা করে মন্দির কমিটি বলেছে মা কামাখ্যা জগতের মা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত মা কোনও দিন কোনও মাকে বলি দিতে পারেন না। জয়ন্ত মল্ল জানান তারা প্রায় ২৫ লাখ ভক্তকে অভ্যর্থনা করার জন্যে প্রস্তুত। শনিবার রাত ১টা ১৪ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের পর মন্দিরের দ্বার বন্ধ হবে , ২৬ জুন সকাল ৬ টায় খুলবে। ইতিমধ্যে লক্ষাধিক ভক্ত সাধু সন্ন্যাসী কামাখ্যা ধামে ভিড় জমিয়েছে। কর্ণাটক থেকে নিজের মা কে পুরানো এক স্কুটারে চাপিয়ে নিয়ে মায়ের আশীর্বাদ নিতে এসেছেন ডি কৃষ্ণ কুমার। ভক্তি গীতি গাইতে এসেছেন কৈলাস খের । জয়ন্ত মল্ল জানান এবার পায়ে হেঁটে মন্দির দর্শনের জন্যে ৪টি বিকল্প পথের ব্যবস্থা হয়েছে। সেই পথে ২৪ ঘন্টা ধর্মীয় সংগীত বাজবে ভক্তদের মনোরঞ্জনের জন্যে। গুহাহাটি পুলিশ কমিশনার দীপক কুমার জানিয়েছেন ২০০০ নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছে। অত্যাধুনিক লেসার যন্ত্র বসানো হবে যার মাধ্যমে লাখ লাখ ভক্তের গননা সুবিধা হবে । এবার আমিনগাঁওয়ে কামাখ্যা ধামের আদলে এক কামাখ্যা ধাম নির্মাণ করা হযেছে, যারা ভিড়ে মন্দিরে যেতে পারবেন না তারা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে পারবেন। এশিয়ার ক্ষুদ্রতম নদী দ্বীপ উমানন্দকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ফেরির ভালো ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই