Header Ads

অম্বুবাচির আগেই পুরানো শরাইঘাট সেতু যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হল ।ট্রাফিক জ্যাম থেকে স্বস্তি।


দেবযানী পাটিকর ,গুয়াহাটি । উত্তর গুয়াহাটি ও গুয়াহাটিকে সংযুক্ত করা পুরানো শরাইঘাট সেতু বৃহস্পতিবার দুপুরে যাতায়াতের জন্য  খুলে দেওয়া হয় ।এদিন থেকেই চলবে গাড়ি । উপস্থিত ছিলেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে মহাপ্রবন্ধক সন্দীপ রায় ও  রেলওয়ের অনেক উচ্চ অধিকারীরা। জিএম পায়ে হেঁটে সেতু পরিদর্শন করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে শরাইঘাট সেতু দেশের গৌরব এবং ব্রহ্মপুত্র উপরে তৈরি প্রথম সেতু  কিন্তু অনেক পুরনো হয়ে যাওয়ার ফলে এই সেতুর মাঝে ফাটল দেখা দিয়েছিল ও  বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। যার ফলে খারাপ হয়ে যাওয়া অংশ পাল্টানোর  প্রয়োজন হয়ে পরেছিল ।তবে কাজটা নির্ধারিত সময়ে শেষ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে  বিগত তিন মাস ধরে শরাইঘাটের পুরানো সেতু বন্ধ থাকার জন্য তীব্র ট্রাফিক জ্যামের সম্মুখীন হতে হয়েছিল আম জনতার ।প্রায় দুই থেকে  পাঁচ ঘন্টা পর্যন্ত তীব্র ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়ে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় ।  পুরানো শরাইঘাট সেতুর বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও গর্ত হয়ে যাওয়ার ফলে মেরামতির জন্য সেতু দিয়ে যাতায়াত  বন্ধ করে দিয়েছিল রেল বিভাগ।  ২০ তারিখে এই  সেতুর মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানিয়ে ছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জনসংযোগ  অধিকারী নৃপেন ভট্টাচার্য। এবং নির্ধারিত সময়েই  সেতুর কাজ সম্পন্ন করা হয়। মেরামতির জন্য নয় কোটি টাকা খরচা করে করা হয়েছে।
শরাইঘাট সেতুর ওপরের দিকে ৫৪ টি স্ল্যাব ও সেই সাথে ১১ টি এক্সপানশন জয়েন্ট প্রতিস্থাপন করা হয়েছে যা অত্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এ কাজ করতে মোট ১২০ জন কর্মী প্রতিদিন দিনরাত কাজ করেছে। সিমেন্টের স্ল্যাব ও  এক্সপানশন জয়েন্ট ভেঙে ফেলার পর সেখানে নতুন স্টিলের স্ল্যাব লাগানো হয়েছে ও এর ওপর স্টিল প্লান্ট ও শক্তিশালী রড ব্যবহার করা হয়েছে ।সম্পূর্ণ সেতু সুন্দর করে রং করা  হয়েছে।



উল্লেখ্য যে  ১৯৬২ সালে শরাইঘাটের পুরানো সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এই সেতু নির্মাণ করেছিল হিন্দুস্তান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি প্রাক্তন প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এই সেতুর উদঘাটন করেছিলেন ।১৪৯২মিটার দৈর্ধের এই সেতু তৈরি করতে ১০,৬কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।  প্রতিদিন হাজারো ছোট ,বড় গাড়ি এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করে । সেতু নির্মাণের অনেক বছর পরে এটি যথেষ্ট পুরানো হয়ে যাবার ফলে সেতুর বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ও বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছিল । সেজন্য মেরামতির জন্য সেতুটিকে ৯০ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল । উল্লেখ্য যে পুরানো শরাইঘাট সেতুর পাশাপাশি  শরাইঘাটের দ্বিতীয় নতুন সেতু তৈরি করা হয়েছে যদিও তথাপিও পুরানো সেতু বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে  সেখানে  তীব্র ট্রাফিক  জ্যামের সৃষ্টি হয়। ফলে সবারই  খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হতে  হয়েছে। ট্রাফিক জ্যাম ও লোকেদের যাতায়াতের অসুবিধা কথা শুনে  মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ২৯ এপ্রিল সেতু পরিদর্শন করেন করেন এবং তিনি সেতুর কাজ ২০ জুনের মধ্যে বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ারদের শেষ করার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর রেল বিভাগ মেরামতির কাজ আরও দ্রুত করা শুরু করে ও  এর জন্য আরো বেশি মজদুরকে নিয়োগ করে।  সেতুর উপরে কাজ চলার ফলে গাড়ী চলাচল  বন্ধ করে রাখা হলেও সেতু নীচের  দিক দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে নিয়মিতভাবে।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.