Header Ads

রাজ‍্যসভায় যাচ্ছেন বিজেপির কামাখ্যা প্রসাদ তাসা এবং অগপর নেতা বীরেন্দ্র প্রাসাদ বৈশ্য

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ  অসম থেকে  রাজ্যসভায়  যাচ্ছেন বিজেপির কামাখ্যা প্রসাদ তাসা এবং অগপর নেতা বীরেন্দ্র প্রাসাদ বৈশ্য। দুটি পদে দুটি মনোয়ন পত্র  বৈধ বলে ঘোষণা করেন অসম বিধানসভার  রিটার্নিং অফিসার অমরেন্দ্র ডেকা।  সর্বমোট ৮ টি মনোনয়ন পত্র পেশ করা হয়েছিল। বিরোধী দল কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। বিজেপি অগপ এবং শরিক বিপিএফ  সর্মথন করেছিল দুই প্রার্থীকে। বিজেপি অগপর সঙ্গে গত  বিধানসভা নির্বাচনের সময় সমঝোতা করেছিল ২০১৮ সালে  রাজ্যসভার খালি হওয়া একটি আসন অগপকে দেওয়া হবে। এবং পরে খালি হওয়া একটি আসন অপর শরিক দল বিপিএফকে ছেড়ে দেবে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য কমিটি কিন্তু এবার  অগপকে একটি আসন ছাড়তে রাজি হয়নি। বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি  আঞ্চলিক অগপর পক্ষে ছিল। ২০২১সালের বিধান সভার নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপি এগোচ্ছে। ভবিষ্যৎ এর জন্য আঞ্চলিক দল অগপকে পাশে রাখতে চায়। বিজেপি এবং অগপর  প্রার্থী  দুজনকে নির্বাচিত  হিসাবে ৩১ মে ঘোষণা করা হবে। ২৪৫ আসন বিশিষ্ট  আপার হাউস বা রাজ্যসভায় বিজেপির পক্ষে  দুটি আসন বাড়বে। এনডিএ-র মেম্বার হচ্ছে ১০২জন  ইউপিএ-র আছে ৬৫ জন বিজেপি এবং  কংগ্রেস ছাড়া মেম্বার ৭৩ জন । বিজেপি এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়, তাদের আরও ১২৩টি আসনের প্রয়োজন। আগামী দেড় বছরের মধ্যে পুরণ হয়ে যাবে। ২০১৯ সালে ১০ টি  এবং ২০২০ সালের মধ্যে ৭৫  টি আসন খালি হবে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।  সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকায় বিজেপি তিন   তালাক বিল, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল,  কাশ্মীরে  ৩৭০ ধারা লাগু ,  প্রভৃতি বিল সহজে পাশ  করতে পারবে।এই  রাজ্যসভা নির্বাচনে  দেশের প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী মনমোহন  সিনহার  সঙ্গে অসমের দীর্ঘ ২৮ বছরের সুসম্পর্কে ছেদ ঘটল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিতেশ্বর শইকিয়া ১৯৯১ সালে মনমোহন সিনহা আসামে এনেছিলেন।  দু দুবার   প্রধান মন্ত্রী পদে বসেন। তা আজ শুধু   ইতিহাস হয়ে থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.