Header Ads

বিদেশি তকমা পেয়ে অসমের জেলে গেলেন কারগিল যুদ্ধে লড়াই করা প্রাক্তন সেনাকর্মী


নয়া ঠাহর প্রাতিবেদন, গুয়াহাটি- বিদেশি তকমা পেয়ে অসমের জেলে গেলেন কারগিল যুদ্ধে লড়াই করা সেনা। নাম তাঁর মহম্মদ সানাউল্লাহ । তিনি অসম পুলিশের সীমান্ত শাখায় এএসআই হিসেবে কাজ করছিলেন। সন্দেহজনক নাগরিকদের খুঁজে বের করাই হচ্ছে পুলিশের এই শাখার কাজ। রাজ্যের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ও বর্তমান সেনাকর্মী এবং পুলিশকর্মীর নামে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের নোটিস এসেছিল। কয়েকজনের নামে আসে ডি-ভোটারের নোটিস। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির কাছেও স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন অপমানিত সেনাকর্মীরা। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন সানাউল্লাহ ও তাঁর আত্মীয়, অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মহম্মদ আজমল হক। মঙ্গলবার সানাউল্লাহকে বকো ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে ডাকা হয়। সেখানেই বিচারক তাঁকে বিদেশি বলে চিহ্নিত করে রায় দেন। এই ঘটনায় হতভম্ব সানাউল্লাহ। তাঁকে গোয়ালপাড়া জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর পরিবার ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। অন্যদিকে, অসমে বরপেটা কেন্দ্ৰ থেকে জয়ী কংগ্ৰেসের সদ্য নিৰ্বাচিত সাংসদ আবদুল খালেকের ৭৫ বছর বয়সী মায়ের নাগরিকত্ব নিয়েও অভিযোগ জমা পড়েছে। ফলত বারে বারে এনআরসি কেন্দ্ৰে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান- ১৯৫১ সালের এনআরসিতে তাঁর মায়ের নাম রয়েছে। ১৯৭০ সালের ভোটার তালিকায়ও তাঁর মা সবুরা খাতুনের নাম আছে। তিনি বলেন-  খামোকা হেনস্থা ও  অপমানের জন্য প্ৰকৃত ভারতীয়দের এভাবে হেনস্থা করা ঠিক নয়। এই ঘটনায় আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলে। এদিকে এই বিষয়গুলোর ওপর নজর রেখে বৃহস্পতিবার এনআরসি- র সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলাকে কঠোর ভাবে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলেছে - এনআরসি প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও ভুল ভ্রান্তি না হয় সেদিকে নজর রাখতে।




কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.