Header Ads

পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হল পঞ্চম দফার ভোট


প্রতীকী ছবি
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, কলকাতাঃ পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চম দফা ভোটেও এড়ানো গেল না অশান্তি। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও বিজেপি কর্মীকে মারধর, পোলিং এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাজ্যের ৭ কেন্দ্রেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছে। বিজেপি কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদ করায় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গীকে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওযার অভিযোগ উঠেছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও পঞ্চম দফা নিৰ্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে বলে মত নির্বাচন কমিশনের। ধনেখালিতে লকেটের গাড়ি ভাঙচূর করা হয়েছে। বনগাঁয় বোমাবাজি হয়, ঘটনায় জখম হয়েছে ২জন। ইছাপুরে তৃণমূল কৰ্মী সমৰ্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ব্যারাকপুরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘৰ্ষ বাধে। আরামবাগে আক্ৰান্ত হয়েছেন সিপিএম এজেন্ট। হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, হাওড়ার লিটিকুরি মুক্তরাম স্কুলে বিজেপিকে ভোট দিতে প্রভাবিত করছিল আধাসেনা। এর প্রতিবাদ করেই বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী। বচসা চলাকালীন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের অভিযোগ, তাঁদের পোলিং এজেন্টদের কার্ড ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। মহিলাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর ‘গো ব্যাক সিআরপিএফ’ স্লোগান দিতে থাকেন শাসক দলের কর্মীরা। এরপরই বুথ থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় লাঠিচার্জ করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ধনেখালিতে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।  পঞ্চমদফা নির্বাচনে সোমবার, ধনেখালিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সাংবাদিকদেরও হেনস্থা করা হয়। ঘটনায় লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রিসাইডিং অফিসারকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্ৰে বিজেপি প্ৰাৰ্থী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে নিৰ্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। প্ৰসঙ্গত, বিগত দফার অশান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে ১০০ শতাংশ বুথে আধাসেনা বাহিনী মোতায়েনের কথা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবুও এড়ানো যায়নি অশান্তি। প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটদানের গড় ৭৩.৯৭%। উলিবেড়িয়ায় ৭৭.৫৭%, আরামবাগে ৭৫.৭৩%, হুগলিতে ৭৬.১৪%, শ্রীরামপুর ৭৩.৩১%, হাওড়ায় ৬৭.৫৯%, বারাকপুরে ৭১.১৮% ও বনগাঁয় ৭৬.১৮% ভোট পড়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.