Header Ads

গ্রামীণ ব্যাংকের গুমড়া শাখায় ভূগান্তির শিকার গ্রাহকরা

যিশু নাথ, কাটিগড়াঃ চরম ভূগান্তির শিকার হচ্ছেন আসাম গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংকের গুমড়া শাখার গ্রাহকরা। কারণ, ম্যানেজার ও এসিস্টেন্ট ম্যানেজার ছুটিতে।
ক্যাশিয়ার সন্দীপ সাহাকে একাই যাবতীয় কাজ সামলাতে হচ্ছে। ব্যাংকটির কাজকর্ম নিয়ে এলাকার মানুষ মোটেই যে সন্তুষ্ট নন তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। সাধারণ গ্রাহক থেকে শুরু করে সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের হিতাধীকারী- দের একই অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রতিনিধি থেকে সাধারণ গ্রাহক বারংবার অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি । উল্টে, ব্যাংক কর্মীরা পরিষেবা সম্পর্কিত অভিযোগ উত্থাপন করলে বল ঠেলে দেন রিজিওন্যাল অফিসের দিকে।  প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মীর অজুহাত, ব্যাংকে টাকার অভাব, অপর্যাপ্ত স্টাফ আদি  অজুহাত যেন নিত্য দিনের। আরও,  অভিযোগ রয়েছে গুমড়ার আসাম গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংকের অধীনস্থ মোট পাঁচটি কাস্টমার সার্ভিস  পয়েন্ট থাকলেও নেই পর্যাপ্ত অর্থের যোগান। প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার হিতাধিকারী থেকে শুরু করে জবকার্ড হোল্ডাররা নিয়মিত টাকা তুলতে পারছেন না। এসব বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বৃহত্তর এলাকায়। নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন শুধু ওই ব্যাংকের গাফিলতি এবং অব্যবস্থার দরুন গোটা এলাকার উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। যার কারণে সরকারি গাইড লাইন অনুযায়ী প্রধান মন্ত্রী আবাস গৃহের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে যেমন পারছেন না অনুরূপ ভাবে এমজিএনরেগার কাজও করে পাচ্ছেন না নিজের প্রাপ্য টাকা। তাঁদের কথায় দীর্ঘ মাসকয়েক ধরে এমন সমস্যায় জর্জরিত এলাকার আমজনতা। এসব বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাংক ম্যানেজার কাছে বারবার দারস্থ হয়েও কোনও সুফল মেলেনি। 
এদিকে গ্রাহকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার অাসাম গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের গুমড়া শাখায়  বিষয়টি খোজ নিলে আরও পরিস্কার হয়। কর্মচারিদের কাছ থেকে খোজ নিয়ে জানা যায় ম্যানেজার দুর্গেশ্বর ডেকা শারীরিক অসুস্থতার দরুন ছুটিতে রয়েছেন। এসিস্টেন্ট ম্যানেজারও রয়েছেন ছুটিতে। তাদের অবর্তমানে শাখা একা সামলাচ্ছেন ক্যাশিয়ার সন্দীপ সাহা। অস্থায়ী ভাবে কাজ করছেন একজন আধিকারিক। সন্দীপ বাবু বলেন অপর্যাপ্ত কর্মচারীর জন্য ব্যাংক সুচারু ভাবে চালানো সম্ভবপর হচ্ছেনা। তিনি বলেন, এসব সমস্যা দীর্ঘ দিনের। কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে ব্যাংকের তরফে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদনও করা হয়েছে। বিভাগীয় তরফে এপর্যন্ত কিছুটা সমাধান হয়েছে। কিছু বিষয় যে তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে তা বারবার বুঝাবার চেষ্টা করেন ক্যাশিয়ার সন্দীপ সাহা। বলেন একাই ব্যাংকের যাবতীয় দিক সামলাতে হচ্ছে তাঁকে। নিত্য নানান অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। সন্দীপবাবু আরও বলেন, ক্যাশ কাউন্টার সামলানো তার দায়িত্ব, কিন্তু আনুষঙ্গিক দিক দেখতে গিয়ে প্রায় দিনই দিনের শেষে ক্যাশ মিলাতে গিয়ে নিজের পকেট থেকে টাকা ভরতে হয় তাঁর। এরপরও অনেক কাজ অমীমাংসিত ভাবে পড়ে থাকে। তাই শুধু প্রয়োজনীয় কর্মীর অভাব। জানিয়েছেন সাহাবাবু।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.