Header Ads

অসমে নিৰ্বাচন আচরন বিধি শিথিল করতে কেন্দ্ৰের কাছে আবেদন জলসম্পদ মন্ত্ৰী কেশব মহন্তের


নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ অসমে নিৰ্বাচন আচরন বিধি চলছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে সরকারী সমস্ত কাজকৰ্ম। গত কয়েকদিনে লাগাতার বৃষ্টিতে রাজ্যের ব্ৰহ্মপুত্ৰ সহ অধিকাংশ নদনদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ফলত পরিস্থিতি সংকটময় হয়ে উঠেছে। তবে রবিবার থেকে রোদের দেখা মেলায় কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে রাজবাসী। সোমবার রাজ্যের জলসম্পদমন্ত্ৰী কেশব মহন্ত কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে নিৰ্বাচন আচরনবিধি শিথিল করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এদিকে, ধেমাজি, লখিমপুর, বিহপুর সহ ৫টি ডিভিশনে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। নিম্ন অসম, মধ্য অসমে সমস্ত নদীর জল বেড়েছে। মাজুলিতে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নদের পাড়ে ভাঙন হয়েছে। মাজুলিতে ব্ৰহ্মপুত্ৰ বোৰ্ডের কাজকৰ্মে প্ৰতিবাদ করে বোৰ্ডের সহকারী ইঞ্জিনিয়ারকে মারধর করার ঘটনা প্ৰকাশ্যে এসেছে। অসমের অধিকাংশ নদীবাঁধের কৰ্ম ক্ষমতা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ বছরে বিজেপি সরকার বন্যা প্ৰতিরোধে পৰ্যাপ্ত পরিমাণে অৰ্থ বরাদ্দ করেনি বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্ৰেস। কেন্দ্রীয় জল কমিশন জানিয়েছে, ডিব্রুগড়, তেজপুর, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া, ধুবড়ি, নিমাতিঘাট অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র নদীতে জলের স্তর বেড়েছে। শিবসাগর জেলার নাংলামারাঘাটের কাছে দেসাং নদী এবং কামরুপ জেলার এনএইচ রোডের কাছে পুঠিমারী নদী বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। অন্যদিকে, লখিমপুর জেলার চাউলধোয়াঘাট অঞ্চলে সুবনাসিরি নদী, অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সিয়াং জেলার পাসিঘাট অঞ্চলের সিয়াং নদী, ডিব্রুগড় জেলার ও নাহারকাটিয়া অঞ্চলের বুরিডিহিং নদী, গোলাঘাট জেলার নুমালিগড় অঞ্চলের ধানসিঁড়ি(দক্ষিণ) নদী, নগাঁও জেলার ধরমতূল অঞ্চলের কপিলী নদী, নলবাড়ি জেলার এনটি রাস্তার ক্রসিংয়ে পাগলা নদী, বরপেটা জেলার এন এইচ রাস্তার ক্রসিংয়ে মানস নদী, বরপেটা জেলার ব্রিজ ক্রসিংয়ে বেকি নদী, কোকরাঝাড়ে গৌরং নদী, পশ্চিম ত্রিপুরার গুমতি নদীতে, জল বাড়েছে বলে কেন্দ্রীয় জল কমিশন সূত্ৰে জানা গেছে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.