পশ্চিমবঙ্গে শুক্রবার শেষ হল ষষ্ঠ দফার ভোট প্রচার
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, কোলকাতাঃ পশ্চিমবঙ্গে শুক্রবার শেষ হল ষষ্ঠ দফার ভোটের প্রচার। রাজ্যের তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুরে ভোট ১২ মে, রবিবার। সবকটিই বৰ্তমানে তৃণমূলের দখলে রয়েছে। এই দফায় থাকছে ৭৭০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী। ৫টি জেলার প্রতিটি থানায় থাকছে দুটি করে কুইক রেসপন্স টিম। এই পর্বে দেশের ৭টি রাজ্যের ৫৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। উত্তরপ্রদেশের ১৪টি, হরিয়ানার ১০টি, বিহার ও মধ্যপ্রদেশের ৮টি করে, দিল্লির ৭টি এবং ঝাড়খণ্ডের ৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। রাজ্যের আসনগুলির মধ্যে জঙ্গলমহলের আদিবাসী প্রধান চারটি আসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, শুক্ৰবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে জনসভায় তৃণমূল নেত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন- ভোট কিনতে টাকা ঢালছে বিজেপি। তা রুখতে রাত পাহার দেওয়ার ডাক দিয়েছেন মমতা। ঘাটাল কেন্দ্ৰের বিজেপি প্ৰাৰ্থী ভারতী ঘোষের গাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা বাজেয়াপ্ত করার ঘটনায় অ্যাতো টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে বিজেপি প্ৰশ্ন তোলেন তিনি। এদিকে ষষ্ঠ দফার নিৰ্বাচনে ৮ কেন্দ্ৰে মোট ৭৭০ কোম্পানি কেন্দ্ৰীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। যা পশ্চিমবঙ্গে নিৰ্বাচনে ইতিহাস রেকৰ্ড বলেই মনে করছেন কমিশনের আধিকারিকরা। মাওবাদী অধ্যুসিত এলাকায় ভোটের ডিউটির সময় জওয়ানদের বুলেট প্ৰুফ জাকেট, মাথায় হেলমেট পরতে বলা হয়েছে। হঠাৎ হামলা ঘটলে তার জন্য জওয়ানদের সতৰ্ক থাকতে বলা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের গঢ়চিরৌলিতে মাওবাদী হামলায় ১৫ জন জওয়ানের মৃত্যু হয় সম্প্রতি। ঘটনার পরের দিনই ছত্তীসগঢ়ের সুকমাতেও মাওবাদীরা গ্রামে ঢুকে ২ জনকে গুপ্তচর সন্দেহে খুন করে। এ বারও মাওবাদীরা নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গেও ৮ কেন্দ্রের মধ্যে, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরের মতো এক কালের মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। আধা সেনা যাতায়াতের সময় আইইডি বিস্ফোরণের মতো ঘটনার আশঙ্কা থেকে ওই এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট হবে ১৯ মে। বিহারের ৮ টি কেন্দ্ৰ, ঝাড়খণ্ডের ৩ টি, মধ্যপ্ৰদেশের ৮ টি, পঞ্জাবের ১৩ টি, পশ্চিমবঙ্গের ৯টি, চণ্ডিগড়ে ১ টি, উত্তরপ্ৰদেশে ১৩ টি এবং হিমাচলপ্ৰদেশে ৪ টি কেন্দ্ৰে ভোট হবে। লোকসভা ভোটের সামগ্ৰিক ফলাফল প্ৰকাশ হবে ২৩ মে।
কোন মন্তব্য নেই