Header Ads

টানা বৃষ্টিতে ধস নেমে জাতীয় সড়ক বন্ধ, পাহাড়ে স্তব্ধ স্বাভাবিক জনজীবন




 বিপ্লব দেব, হাফলংঃ ফনীর দাপটে ডিমা হাসাও জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বুধবার। ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বর্ষণে লামডিং-জাটিঙ্গা ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বুধবার। অন্যদিকে শিলচর-হাফলং ১৪৫ নম্বর জাতীয় সড়ক (সম্প্রাসরন)-য়ের হারাঙ্গাজাও ও দলচুঙ্গার মধ্যবর্তী স্থানে মঙ্গলবার রাত থেকে টানা ১০ ঘন্টার প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি নদী ফুলেফেপে ওঠায় ১৫৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওই অংশ নদীর আকার ধারণ করে। টানা বৃষ্টির দরুন পাহাড় থেকে তীব্র বেগে নেমে আসা জলের স্রোতে পাহাড়ি নদীর জল হারাঙ্গাজাও ও দলচুঙ্গার মধ্যবর্তী স্থানে জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে নদীর জল বয়ে যাওয়ার দরুন ওই সড়কপথে যানবাহন চলাচল বেশ কয়েক ঘন্টা বন্ধ থাকে। রাস্তার ওপর দিয়ে নদীর জল বয়ে যাওয়ার জেরে রাস্তার দুপাশে প্রচুর গাড়ী আটকে যায়। এদিকে জলের স্রোতে রাস্তার ওই অংশের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তবে নদীর জল রাস্তার ওপর থেকে নেমে যাওয়ার পর শিলচর থেকে হাফলং আসার দু একটি ছোট গাড়ী ওই অংশ বিপদের ঝুঁকি নিয়ে পার হয়ে হাফলং আসে। পাহাড় থেকে তীব্র বেগে নেমে আসা জলের স্রোতে রাস্তার ওই অংশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। এখনও রাস্তার দুপাশে অনেক গাড়ী আটকা পড়ে আছে। তাছাড়া শিলচর হাফলং সড়কের বালাছড়া থেকে বান্দরখাল অংশে মহাসড়ক নির্মাণের জন্য পাহাড় কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলত সেই জায়গা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এমনকি জাটিঙ্গা থেকে হারাঙ্গাজাও অংশে রেটজল মলকই বড়মলকই রেখো মিয়াংক্রো এলাকায় টানা বর্ষণে পাহাড়ি নদীর জল জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে বইছে যার দরুন সড়কের বহু অংশ প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এদিকে লামডিং-জাটিঙ্গা ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের জাটিঙ্গা থেকে মাহুর পর্যন্ত এন লেইকুল সহ বিভিন্ন স্থানে ধস নেমে জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে আছে।  কিন্তু টানা বর্ষণে ১৪৫ নম্বর জাতীয় সড়ক (সম্প্রসারণ)-ও ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের এমন বেহালদশা হওয়ার পরও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (নাহাই)-র কোন কর্তা এখনও ধস বিধ্বস্ত এলাকা গুলিতে সংস্কারে হাত লাগায়নি বলে জানা গিয়েছে। যার দরুন ওই সব সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে টানা বর্ষণের ফলে হাফলং শহরের আশপাশ এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে টানা বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন এলাকায় ধস নেমে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়ে। এমনকি বৃষ্টির দরুন পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের স্রোতে অনেকের ঘরবাড়ি সহ রাস্তাঘাটের অনেক ক্ষতি করেছে । হাফলং শহরের পার্শবর্তী সংপিজাং গ্রামে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে টানা বৃষ্টির জেরে। নথাং চাংসন নামের এক ব্যক্তির রান্নাঘর পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের স্রোতে ভেসে গেছে।  এমনকি অনেকের বাড়িঘরের দেয়াল ধসে পড়েছে বলে জানা গেছে। তবে ফনী ঘূর্নিঝড় এবার আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠায় ডিমা হাসাও জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ ও ঝড়ো হাওয়া সহ প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে হাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.