Header Ads

হরকুমার গোস্বামীর নামে এনআরসি নোটিস

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন: ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি'র অন্যতম আহ্বায়ক হরকুমার গোস্বামীর নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ ব্যক্ত করে এনআরসি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন দুই ব্যক্তি এবং এই অভিযোগের ভিত্তিতে এনআরসি কর্তপক্ষ হরকুমার গোস্বামীর নামে নোটিশ জারি করে। এই নোটিশের ভিত্তিতে হরকুমার গোস্বামী আজ বরপেটা রোডের এনআরসি অফিসে শুনানির জন্য হাজির হোন। এনআরসি'র পরিভাষায় হরকুমার গোস্বামী বংশানুক্রমিকভাবে 'অরিজিন্যাল ইণ্ডিজেনাস' বা 'খিলঞ্জিয়া', বরপেটার সোরভোগে তাঁর ও তাঁর পূর্বজদের স্থায়ী-নিবাস এবং জন্মসূত্রে মূলসুঁতির অসমীয়া, যারা অভিযোগকারী তাঁরাও অনুরূপভাবে জন্মসূত্রে খিলঞ্জিয়া অসমীয়া। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে এই অভিযোগ ও এনআরসি কর্তৃপক্ষের নোটিশ জারির পেছনে রহস্য কী? ফোরাম মনে করে এটি একটি চক্রান্ত এবং শুনানির পরপরই এনআরসি প্রক্রিয়ায় যেভাবে গরিব মেহনতি মানুষ হয়রানি হচ্ছে তার বিরুদ্ধে অন্যান্য ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলির সহযোগে তিনি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তার কথা ব্যক্ত করে বরপেটায় মিডিয়ার সামনে বিবৃতি দেন। 
ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি’র অন্যতম আহ্বায়ক হিসেবে হরকুমার গোস্বামী অন্যান্য বিভিন্ন ভ্রাতৃপ্রতীম জনগোষ্ঠীয়, মানবাধিকার সংগঠন ও মেহনতি-শ্রমিক সংগঠনের সাথে একযোগে নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। এনআরসি প্রক্রিয়ায় ও ডি-ভোটারের নামে যেভাবে নাগরিকদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং ডিটেনশন ক্যাম্পের অমানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ও প্রশাসনের মাধ্যমে যথেচ্ছভাবে গরিব মেহনতি মানুষকে নোটিশ দিয়ে সরকার ও রাষ্ট্র এক ভীতির বাতাবরণ তৈরী করেছে তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক মতামত গড়ে তুলতে হরকুমার গোস্বামী সরব। সরকার ও রাষ্ট্রের ভয়ে চল্লিশ জনেরও বেশি গরিব মেহনতি মানুষের আত্মহত্যার ঘটনা যে মানবিকতা ও গণতন্ত্রের চরম বিপর্যয় সেব্যাপারে অসমীয়া গণতান্ত্রিক মানুষও সরব হওয়ার পেছনে হরকুমার গোস্বামীর অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। তাতেই প্রতিক্রিয়াশীল অসামাজিক শক্তির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে এবং হরকুমার গোস্বামী তথা ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি’র সমস্ত উদ্যোগকে প্রতিহত করতে এই ঘৃণ্য চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে। 
এই ঘটনা প্রমাণ করে যে এনআরসি প্রক্রিয়া ও বিদেশি সনাক্তকরণের নামে আসামে এক প্রশাসনিক প্রহসন জারি রেখেছে বর্তমান বিজেপি সরকার। আসলে তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য নাগরিকদের হয়রানি করা ও কর্পোরেট দুনিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করে সস্তা মজুর হিসেবে নাগরিকদের বেঁচে থাকতে বাধ্য করার চক্রান্ত করা। এই সরকার, বিজেপি দল ও তাদের তথাকথিত জাতীয়তাবাদী সাঙ্গপাঙ্গরা আসামের বিদেশি সমস্যার বিষয়টিকে জিইয়ে রাখতে চায় তাদের সামাজিক-রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখার ও তাদের লুটের রাজত্ব কায়েম রাখার উদ্দেশ্যে। তাই নাগরিক হয়রানি বন্ধ করা ও ভোটারদের নাগরিক অধিকারের মান্যতার ভিত্তিতে বিদেশি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে তীব্র ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি বলে ফোরাম মনে করে। ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি এনআরসি’র এসওপি’র নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগের প্রশ্নে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ নিতেও বদ্ধপরিকর।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.