Header Ads

ঘূৰ্ণীঝড় ‘ফণী’ ছুঁয়ে যাবে সমগ্ৰ উত্তরপূৰ্বাঞ্চলকে


ওড়িশার অমস যাত্ৰী নিবাসে আটকে পড়েছেন অসমের এই সকল তীৰ্থযাত্ৰীরা। অসম সরকার তাদের ফেরার জন্য কিছু ব্যবস্থা করুক, রাজ্য সরকারের কাছে কাতর আহ্বান জানিয়েছেন তারা। 


নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, নয়াদিল্লিঃ  ঘূৰ্ণীঝড় ‘ফণী’র প্ৰভাব থেক বাঁচতে ওড়িশা সরকার এবং দুৰ্যোগ প্ৰশমন বিভাগ যথাসাধ্য ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছে। এদিকে ঝড়ের ফলে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সরকারী স্কুলে প্ৰায় ২ মাস আগে গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি সবচেয়ে ভয়ংকর এই ঘূৰ্ণীঝড় শুক্ৰবার ওড়িশার পাশ দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্ৰী নবীন পট্টনায়ক সব ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য ৯ জন আইএএস অফিসারকে প্ৰস্তুত থাকার নিৰ্দেশ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭ জনকে ৬টি জেলার সাহায্য এবং উদ্ধার কাজ এবং পুনৰ্সংস্থাপনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে সব শিক্ষাপ্ৰতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নিৰ্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্ৰীয় আবহাওয়া দফতরের ঘোষণা মতে সোমবার সন্ধ্যে থেকেই ঝড় ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। ইতিমধ্যেই ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এভং অন্ধ্ৰপ্ৰদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে সতৰ্কবাৰ্তা দেওয়া হয়েছে। সমুদ্ৰ সৈকত এলাকায় বসবাসকারীদের সেখান থেকে অন্যত্ৰ চলে যাওয়ার পরামৰ্শ দেওয়া হয়েছে। আর কয়েকঘন্টার মধ্যেই ঘূৰ্ণীঝড় ফণী উত্তরপশ্চিম দিক দিয়ে ওড়িশার উপকূল স্পৰ্শ করবে। তীৰ্থস্থান পুরীতেও এই ঝড়ের প্ৰভাব পড়বে। আবহাওয়া দফতরের মতে এই ঝড় ঘন্টায় ১৭৫-১৮৫ কিলোমিটার বেগে আসবে এবং এর গতিবেগ বেড়ে ২০৫ কিলোমিটার পৰ্যন্ত প্ৰতি ঘন্টায় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাৰ্কিন যুক্তরাষ্ট্ৰের পাৰ্ল হাৰ্বারের নেভি এবং এয়ার ফোৰ্সের যুগ্ম সংস্থা টাইফুন ওয়াৰ্নিং সেন্টারের তথ্য অনুসারে ঘূৰ্ণীঝড় ফণী শুক্ৰবার ওড়িশা উপকূল দিয়ে যাবে। ফণীর প্ৰভাবে সাগরের ঢেউ ১.৫ মিটার ওপর পৰ্যন্ত উঠতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ওড়িশা সরকার সকল তীৰ্থযাত্ৰীদের পুরী ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামৰ্শ দিয়েছে। উপকূল অঞ্চলে জেলেদের একয়দিন সমুদ্ৰে মাছ ধরতে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ওড়াশায় দুৰ্যোগ মোকাবিলা বিভাগ ইতিমধ্যেই ৮৭৯ টি মাল্টিপারপাজ আশ্ৰয় শিবির তৈরি করে রেখেছে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে ওড়িশার অসম যাত্ৰী নিবাসে অসমের ৩৮ জন তীৰ্থযাত্ৰী আটকে পড়েছেন। তাদের অসমে ফেরার টিকিট ছিল শনিবার। যাত্ৰী নিবাসের কৰ্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার দিনের ১২টার মধ্যে রুম খালি করে দেওয়া নিৰ্দেশ দিয়েছেন। ফলে গভীর সংকটে পড়েছেন অসমের যাত্ৰীরা। অসম সরকার যাতে তাদের সেখান থেকে উদ্ধারের বিহীত ব্যবস্থা করে দেয় তার জন্য সরকারের কাছে কাতর আহ্বান জানানো হয়েছে। ওড়িশার স্পৰ্শকাতর এলাকাগুলিতে এনডিআরএফ ২৮টি দল নিয়োগ করে রেখেছে। ওড়িশা সরকার ইতিমধ্যেই অপ্ৰীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য এসডিআরএফের ২০টি ইউনিট তৈরি করে রেখেছে। উপকূল এলাকায় মোতায়েন হয়েছে সেনা বাহিনী, নৌসেনা বাহিনীর জাহাজ এবং হেলিকপ্টার প্ৰস্তুত করে রাখা আছে। প্ৰসঙ্গত, ঘূৰ্ণীঝড় ফণী সমগ্ৰ উত্তরপূৰ্বাঞ্চল তথা অরুণাচলপ্ৰদেশ, মেঘালয়কে ছুয়ে যাবে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।    

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.