Header Ads

ভারতবৰ্ষের ইতিহাসে এই প্ৰথম বিশাল মাপের মোদি মন্ত্ৰীসভার শপথ গ্ৰহণ

ছবি, সৌঃএএনআই
নয়াদিল্লিতে মোদি মন্ত্ৰিসভার শপথগ্ৰহণ অনুষ্ঠানে অসমের মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে ডিব্ৰুগড়ের  নবনিৰ্বাচিত সাংসদ রামেশ্বর তেলি।
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, নয়াদিল্লিঃ স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই সৰ্বপ্ৰথম রাষ্ট্ৰপতি ভবনে খোলা আকাশের নিচে ৫৮ জন মন্ত্ৰীসভার শপথ গ্ৰহণ অনুষ্ঠান হল। মন্ত্ৰীদের শপথ বাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্ৰপতি রামনাথ কোবিন্দ। ৩০৩টি আসনে জয়লাভ করা বিজেপির সাফল্য পাওয়া প্ৰধানমন্ত্ৰী দ্বিতীয়বারের জন্য প্ৰধানমন্ত্ৰী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করলেন। সৰ্বমোট ৫৮ জনের মন্ত্ৰিসভায় ২৫ জন ক্যাবিনেট পৰ্যায়ের, ২৪ জন রাজ্যিক পৰ্যায়ের এবং ৯ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্ৰাপ্ত মন্ত্ৰী হিসেবে শপথ গ্ৰহণ করেন। এর মধ্যে ৬ জন মহিলা আছেন। ১৯ জন নতুন মুখ। এই প্ৰথম এই জয়ের অন্যতম কাণ্ডারী বিজেপির সৰ্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ক্যাবিনেট মন্ত্ৰী হিসেবে শপথ গ্ৰহণ করেন। অসম থেকে ডিব্ৰুগড়ের সাংসদ রামেশ্বর তেলিকে রাজ্যিক পৰ্যায়ের মন্ত্ৰী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুটি মুখ। আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্ৰিয় এবং রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্ৰী চৌধুরী। এবারও মন্ত্ৰীসভায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন রাজনাথ সিং। তৃতীয় স্থানে ছিলেন অমিত শাহ। তারপর নিতিন গড়করি, নিৰ্মলা সীতারমণ, হৰ্ষ বৰ্ধন, স্মৃতি ইরানি, পিযুষ গোয়েল প্ৰমুখ ৫৮ জন শপথবাক্য পাঠ করেন। অসুস্থতার জন্য অরুণ জেটলি মন্ত্ৰী সভায় স্থান পেলেন না। সুষমা স্বরাজও মন্ত্ৰীসভায় স্থান পাননি। মানেকা গান্ধী, সুরেশ প্ৰভু বাদ পড়লেন। রাষ্ট্ৰপতি ভবনের এই বিশাল অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি প্ৰতিবেশী রাষ্ট্ৰের রাষ্ট্ৰপ্ৰধান উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্ৰীলঙ্কা, মরিশাস, কাজিকিস্তানের রাষ্ট্ৰপ্ৰধানরা উপস্থিত ছিলেন। প্ৰতিবেশী রাষ্ট্ৰ পাকিস্তানকে আমন্ত্ৰণ জানানো হয়নি। দেশের শিল্প সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। শিল্পোদ্যোগী রতন টাটা, রিলায়েন্সের প্ৰধান অনিল আম্বানি, গৌতম আদানি, সাংস্কৃতিক জগতের দক্ষিণ ভারতের বিশিষ্ট অভিনেতা রজনীকান্ত, সংগীত শিল্পী আশা ভোসলে সহ শিল্প সাংস্কৃতিক জগতের বিভিন্ন তারকার উপস্থিতি ছিল। অসমের মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সোনোয়াল হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা, অগপ নেতা অতুল বরা, কেশব মহন্ত, পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘৰ্ষে নিহত ৫৫ জন নিহত ব্যক্তির নিকটাত্মীদের আমন্ত্ৰণ জানানো হয়েছিল। পুলওয়ামা কাণ্ডে শহিদের পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্ৰণ জানানো হয়েছিল। এদিন প্ৰধানমন্ত্ৰী হিসেবে শপথ গ্ৰহণের আগে নরেন্দ্ৰ মোদি রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধী এবং প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী অটল বিহারী বজপেয়ী এবং জাতীয় শহিদ স্মারক স্থম্ভে শ্ৰদ্ধাৰ্ঘ জ্ঞাপন করেন। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ সম্ভাব্য মন্ত্ৰীদের সঙ্গে চা চক্ৰে উপস্থিত ছিলেন। এদিনের অনুষ্ঠানে কংগ্ৰেস সভানেত্ৰী সোনিয়া গান্ধী, সভাপতি রাহুল গান্ধী, প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী মনমোহন সিং সমেত দেশের ৬-৭ জন মুখ্যমন্ত্ৰী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্ৰী নিতীশ কুমার, উত্তরপ্ৰদেশের মুখ্যমন্ত্ৰী যোগী আদিত্যনাথ সহ আরও অনেকেই। এদিন অন্ধপ্ৰদেশের মুখ্যমন্ত্ৰী হিসেবে জগতমোহন রেড্ডি শপথ বাক্য পাঠ করেন। এদিনই লন্ডনে বিশ্বকাপ ক্ৰিকেটের শুভারম্ভ হয়। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.