Header Ads

কি হবে লোকসভা নিৰ্বাচনের ফলাফল? বৰ্তমানে সৰ্বত্ৰই চলছে এই চৰ্চা



রিংকি মজুমদার

২০১৯য়ের লোকসভা নিৰ্বাচনের ফলাফল যে কি হবে। বৰ্তমানে সারা দেশে চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে সেলুন, পাৰ্লার, ক্যাফেটোরিয়া সৰ্বত্ৰই এই চৰ্চা। ফলাফল প্ৰকাশের এখনও এক সপ্তাহের বেশি বাকি। এক পক্ষ চাইছে ‘ফের একবার মোদি সরকার’। অন্য পক্ষ সেই মুখকে ঠেকাতে চাইছে। একই প্ৰশ্ন সৰ্বত্ৰ ঘোরাফেরা করছে, ২০১৯য়ের লোকসভা নিৰ্বাচনের বৈতরণী কি পার করতে পারবেন মোদিজি? সাধারণ মানুষের যাবতীয় আগ্ৰহ তা নিয়েই। একেবারে টান টান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে দেশবাসীর। এর আগে কিন্তু ভোটের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে এমন উত্তেজনা দেখা যায়নি। তবে একটা কথা ঠিক যে ২০১৪ সালের মতো এবার কিন্তু মোদি হাওয়া আগের মতো নেই। বরং সমালোচনা রয়েছে প্ৰচুর। এবারে যে গত বারের চেয়ে বিজেপির আসন কমবে সে বিষয়ে সকলেই একমত। গত বারের তুলনায় দূৰ্বল হয়েছে মোদি ম্যাজিক। এনআরসি নিয়ে গোটা দেশে একটা অস্থির পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বাঙালি হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে একটা অদৃশ্য বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। এনআরসি-র চাপে হিন্দু মুসলমান নিৰ্বিশেষে অসংখ্য বাঙালির জীবন দুৰ্বিষহ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, অন্যান্য বারের ভোটের তুলনায় এবার ভোট প্ৰচারে জনসভাগুলিতে একাংশ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নিম্ম মানের ভাষা ব্যবহার করেছেন। প্ৰয়াত প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী রাজীব গান্ধীকেও ছাড়েননি বিজেপি সুপ্ৰিমো নরেন্দ্ৰ মোদি। তৃণমূল নেত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন মিষ্টির সঙ্গে কাঁকর মিশিয়ে বিজেপিকে খাওয়াবেন। যাতে করে বিজেপির দাঁত ভেঙে যায়। অন্যদিকে আবার কংগ্ৰেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর জনসভায় সকলের একসঙ্গে উচ্চস্বরে ভেসে আসছে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়।’ বোঝাই যাচ্ছে সুস্থ রাজনীতির পরিবেশ কতটা নিচে নেমেছে। শাসক বিরোধী সকলেই যেন তেন প্ৰকারণে দিল্লির আসন পেতে মরিয়া। আমরা সকলেই একটা সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ চাই। সেই পরিবেশকে দূষণ করছেন রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা। ভাষা যদি গণতন্ত্ৰের হাতিয়ার হয়, তবে সেই হাতিয়ার ব্যবহারের ক্ষেত্ৰে অবশ্যই লাগাম থাকা উচিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এদিকে মাৰ্কিন পত্ৰিকা টাইম-এর প্ৰচ্ছদ এবং নিবন্ধ নিয়ে দেশের রাজনীতিতে তুমুল ঝড় উঠেছে। ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। তৃণমূল নেত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন- একতা পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের সংস্কৃতিতে রয়েছে। বিজেপি সরকার বিভেদের রাজনীতি করছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা টুইটে বলেন, ‘ভাগ করে শাসন করার নীতি মোদীরও। কংগ্রেস ব্রিটিশ শাসকদের ভাগিয়েছে, এ বার মোদির শাসনকেও তাড়াবে।’ এদিকে, মাৰ্কিন টাইম- পত্ৰিকার সাংবাদিক আতিশ তাসির যিনি প্ৰচ্ছদ নিবন্ধ লিখেছেন তাঁর বিরুদ্ধে মোদি ভক্তেরা ঝনঝন করে উঠেছেন। তাঁর উইকিপিডিয়া পেজে হানা দিয়ে তাঁর পেশা হিসেবে ‘কংগ্ৰেসের জনসংযোগ ম্যানেজার’ লিখে দেওয়া হয়। টাইম-এর নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘মোদির অর্থনৈতিক জাদু শুধু যে কাজ করেনি তাই নয়, ভারতে বিষাক্ত ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের পরিবেশ ছড়াতে সাহায্য করেছেন তিনি।’ প্ৰশ্ন উঠেছে মোদির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ স্লোগান নিয়েও। সবচেয়ে গুরুত্বপূৰ্ণ প্ৰশ্ন হচ্ছে যে কোন দিকে এগোচ্ছে আমাদের দেশ? কি হবে ভবিষ্যত প্ৰজন্মের? চারদিকে একটা অস্থির পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। দেশে সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করার ক্ষেত্ৰে হাল ধরবে কে? এই প্ৰশ্নই উঠেছে অভিজ্ঞ মহলে। তাদের ধারণা এক্ষেত্ৰে রাজনীতিকে ভয় না পেয়ে শিক্ষিত যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। শক্তিশালী দেশ গড়ার জন্য সবাইকে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.