শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট সম্পন্ন ডিমা হাসাও জেলায়, ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশ
বিপ্লব দেব, হাফলংঃ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ৩ নম্বর স্বশাসিত ডিফু লোকসভা আসনের অধীনে হাফলং বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহন শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়। ভোট পড়েছে মোট ৬৫ শতাংশ। এদিকে কার্বি-আংলং পশ্চিম কার্বি-আংলং ও ডিমা হাসাও জেলা মিলে একমাত্র ৩নম্বর স্বশাসিত ডিফু লোকসভা আসনের অধীন মোট পাঁচটি বিধানসভা আসন মিলে ভোট পড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে ডিমা হাসাও জেলায় ইভিএম বিকল হওয়ার জেরে বেশ কয়টি ভোটগ্রহন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয় দেরিতে। মাইবাং মহকুমার অন্তর্গত বড়লুবুং ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ইভিএম বিকল হয়ে পড়ার দরুন সকাল ৭ টার বদলে প্রায় ৪ ঘন্টা ১৫ মিনিট পর বেলা ১১ টা ১৫ মিনিট নাগাদ ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাছাড়া হাফলং হাগজার নগর এল পি স্কুলে ইভিএম বিচ্যুতির ফলে প্রায় দেড় ঘন্টা দেরিতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাছাড়া ইভিএম বিকল হওয়ার জেরে হাফলং লোয়ার মলহয় এল পি স্কুল মাইবাং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাইবাং কীর্তিপুর এল পি স্কুল মাহুর এএসইএল এল পি স্কুল মান্দারডিসা এল পি স্কুল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হতে অনেক বিলম্ব হয়েছে। ইভিএম বদল করার পরই ওই সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এছাড়া ডিফু কেন্দ্ৰের অন্তর্গত টুম্প্রেং বালিগ্রাম এল পি স্কুল ভোটকেন্দ্রে ইভিএম বিকল হয়ে পড়ার দরুন প্রায় আড়াই ঘন্টা পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়। হাওরাঘাট মধ্য ইংরাজী বিদ্যালয়ে ইভিএম বিকল হয়ে ১ ঘন্টা দেরিতে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। তাছাড়া যুমনাগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হংক্রাম এল পি স্কুল ভোট কেন্দ্রে ইভিএম বিকল হওয়ার দরুন দেরী করে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ডিফু লোকসভা আসনের অধীন হাফলং বিধানসভা কেন্দ্রকেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল ৫ টা থেকে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হলে ও প্রথম ২ ঘন্টায় ভোটের হার ছিল ১১ শতাংশ তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটের হার বাড়তে থাকে দুপুর ১টা নাগাদ হাফলং বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের হার ছিল হ ৪২ শতাংশ। এবং বিকেল ৩টায় ভোটের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৫৮ শতাংশ। হাফলং বিধান সভা কেন্দ্রে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মোট ৬৫ শতাংশ। এদিকে ডিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ভোটের বুধবার সন্ধ্যা ৫ টা থেকে ৩৬ ঘন্টার কার্বি-আংলং ও ডিমা হাসাও জেলা বনধের ডাক দিলে দুটি পাহাড়ি জেলাতে বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি। হাফলং শহরে কিছু কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ডিমা হাসাও সব জায়গায় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বাজার হাট দোকান পাট সবই ছিল খোলা এমনকি যানবাহন চলাচল থেকে শুরু করে রেল পরিষেবা সবই ছিল স্বাভাবিক। অন্যদিকে, বনধকে উপেক্ষা করে ডিমা হাসাও জেলার ভোটাররা বেড়িয়ে আসেন এবং যত বেলা গড়িয়েছে জেলার বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বৃদ্ধ বৃদ্ধা যুবক যুবতী ভোটারদের লাইন দীর্ঘ পরিলক্ষিত হয়। এদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ডিফু লোকসভা আসনের অন্তর্গত ডিমা হাসাও জেলায় এদিন শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট সম্পূর্ণ হয়। ভোট চালাকালীন ডিমা হাসাও জেলার কোনও জায়গা থেকে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি। এই প্রতিবেদন পাঠানো পর্যন্ত ডিফু লোকসভা আসনের কোনও জায়গা থেকে পুনঃ ভোটগ্রহনের খবর নেই। এদিকে বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ডিমা হাসাও জেলার ২৪২ টি ভোট কেন্দ্রের ভোট কর্মীরা ইভিএম নিয়ে জেলাশাসকের কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হয়েছেন। ইতিমধ্যে ইভিএম গুলিকে জেলাশাসক কার্যালয়ের স্ট্রং রুমে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখা হয়েছে। প্রত্যন্ত জিনামভ্যালি ছাড়া বাকি সব কয়টি ভোট কেন্দ্রের ভোট কর্মীরা এদিন রাতের মধ্যেই ফিরে আসবেন।
কোন মন্তব্য নেই