Header Ads

দেশের ১২টি রাজ্যে ৯৫ আসনে দ্বিতীয় দফার ভোট সম্পন্ন হল



 ছবি, নিজস্ব

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, কলকাতা/গুয়াহাটিঃ  দেশের ১২টি রাজ্যে ৯৫ আসনে বৃহস্পতিবার লোকসভার নিবার্চনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৫৯৬ প্রার্থীর ভাগ্য বন্দী হয়ে আছে ইভিএমে। পশ্চিমবঙ্গে ৩টি লোকসভা কেন্দ্ৰ- জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ এবং দার্জিলিং, পাৰ্শ্ববৰ্তী রাজ্য অসমের নগাঁও, করিমগঞ্জ, পার্বত্য জেলা পরিষদ, শিলচর এবং মঙ্গলদই কেন্দ্রে ভোট হল। অসমের ধেমাজি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৬৫ পোলিং স্টেশনে পুনরায় ভোট হল। অসমে পাঁচটি কেন্দ্ৰে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন ৫০ জন প্রার্থী। মোট ভোটারের সংখ্যা ৬৯লক্ষ ১০ হাজার ৫৯২। পাঁচটি কেন্দ্ৰে মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৮,৯৯২। প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সুরক্ষা কর্মীর বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচনে ১৩৭ টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সম্পূর্ণ মহিলা নির্বাচনী অধিকারিক ও  কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। মডেল ভোট কেন্দ্র হিসেবে ৮৪টি কেন্দ্রকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভোট দানের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া মহিলা দ্বারা পরিচালিত হবার ফলে উৎসাহিত মহিলারা।
সকালবেলায় লাইনে দাঁড়িয়ে অন্যান্য লোকদের সাথে নিজের ভোটাধিকার সাব্যস্ত করেন মন্ত্রী রিহান দৈমারি। ওদালগুরি ৫৩৮ কাহিবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন মন্ত্রী রিহান। এদিন ভোট দেন শিলচর কেন্দ্ৰের কংগ্ৰেস প্ৰাৰ্থী সুস্মিতা দেব, দিলীপ শইকীয়া, ভুবনেশ্বর কলিতা, শিলচর কেন্দ্ৰের বিজেপি প্ৰাৰ্থী ড০ রাজদীপ রয় , কৃপানাথ মল্লা, জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়া, ভবেশ কলিতা, বীরেন সিং ইংটি প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনের ভোটাধিকার সাব্যস্ত করতে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। তবে  কিছু কিছু জায়গায় নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। ভোট দেওয়ার জন্য তেমন ভাবে লোকেদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যায়নি। এবারেও  দ্বিতীয় পর্যায়ের লোকসভা নির্বাচনে অনেক ভোট কেন্দ্রে ইভিএম বিকল থাকার দরুন ভোট দিতে অনেক সময় পৰ্যন্ত লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এর ফলে অনেকেই ভোট দিতে পারেননি। অসমে ভোটের হার ৭৩.৮২ শতাংশ। মনিপুরে এদিন একটি আসনে ভোটগ্ৰহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন মনিপুরে ১৩০০টি ভোটগ্ৰহণ কেন্দ্ৰে ১১ জন প্ৰাৰ্থীর ভাগ্য ইভিএম বন্দি হয়েছে। মনিপুরে মোট ভোটারের সংখ্যা ৯২ লক্ষ ৮ হাজার ৬২৬। তার মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৪লক্ষ ৮০ হাজার ৭৫১। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৩২। অন্যদিকে, ত্রিপুরায় ইস্ট ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের ভোট ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং কেন্দ্রে এক অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। সেখানে বিরোধী দলগুলো সব বুথে বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে। অসমে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের খবর এসেছে। অসমে ১০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী সহ এক হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন হয়েছে বলে মুখ্য নির্বাচন অফিসার মুকেশ সহায় জানিয়েছেন। তিনি জানান- ৩৬ হাজার কর্মচারী ভোটগ্রহণে নিয়োগ করা হয়েছিল। বেশ কয়েকটি বুথে ইভিএম খারাপ হয়েছিল। বিকেল ৩ টে পর্যন্ত ৪৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এদিকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌসী পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্ৰকের কোপে পড়ে। এরপর প্রচার অভিযান বন্ধ করে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা দেশে ফিরে যান। কিন্তু তারপরেও তৃণমূল বনাম বিজেপি পারস্পরিক দোষারোপ চলছে।
 বাংলাদেশের আরেক টিভি শিল্পী আব্দুল গালি নূর তৃণমূল  কংগ্রেস দলের পক্ষে প্রচার অভিযানে এলে তাঁকেও ভারত ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বলে জানা যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.