Header Ads

৩৬ ঘন্টার কার্বি-আংলং ও ডিমা হাসাও জেলা বনধের ডাক দিল জঙ্গি সংগঠন ডিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি



  বিপ্লব দেব, হাফলংঃ অনেকদিন শান্তি থাকার পর পাহাড়ে আবার অশান্তির অশনি সংঙ্কেত দেখা দিয়েছে।  ভোটের মুখে ডিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি  (ডিএনএলএ) নিজেদের উপস্থিতি জাহির করতে বুধবার বিকেল ৫ টা থেকে ৩৬ ঘন্টার কার্বি-আংলং ও ডিমা হাসাও জেলা বনধের ডাক দিয়েছে। জঙ্গি সংগঠনটির প্রচার সচিব রিংসমাই ডিমাসা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে। ওই জঙ্গি সংগঠনটি কোনও অবস্থায় তাদের  আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অসুরক্ষিত হোক তা কোনও অবস্থায় মানবে না। ডিমাসা জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুরক্ষার জন্য তারা মরণবাঁচন লড়াই চালিয়ে যাবে। সংগঠনটির প্রচার সচিব বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ১৭ এপ্রিল বিকেল ৫ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৫ টা পর্যন্ত ডিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ৩৬ ঘন্টার কার্বি-আংলং ও ডিমা হাসাও জেলা বনধ ডেকেছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় বনধকে সমর্থন না করলে বা বনধকে যদি কেউ উপেক্ষা করে বিনা দরকারে চলাফেরা করলে কোনও অপ্ৰীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য দায়ি থাকবে ওই ব্যক্তি নিজে। উল্লেখ্য, ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ডিফু লোকসভা আসে তার আগে ডিএনএলএ জঙ্গি সংগঠনের দুটি পাহাড়ি জেলাতে বনধ ডাকা নিয়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। এদিকে মঙ্গলবার ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি জঙ্গি সংগঠন সম্পর্কে পুলিশসুপার শ্রীজিৎ থিরাভিয়ামকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন ডিমা হাসাও জেলায় তেমন সক্রিয় নয় এই জঙ্গি সংগঠন। শুধু পাহাড়ি জেলার লাংটিং এলাকায় জঙ্গি সংগঠনটির কিছুটা আনাগোনা রয়েছে তবে ওই জঙ্গি সংগঠনটি নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতেই তাদের সক্রিয়তা দেখাতে এসব করতে চাইছে। পুলিশসুপার বলেন- ডিএনএলএ জঙ্গি সংগঠনে রয়েছে শুধু পাঁচ ছয়জন সদস্য তাই এদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।  তিনি বলেন কোনও অবস্থায় পাহাড়ি জেলাতে অশান্তির সৃষ্টি করতে দেওয়া হবেনা। এর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।  ইতিমধ্যে আসাম রাইফেলস ও আসাম পুলিশ ডিমা হাসাও জেলায় তীব্র অভিযান শুরু করেছে ডিএনএল জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে। পুলিশসুপার বলেন গৌহাটি হাইকোর্ট অসমে বনধের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই অসমে যে কোনও ধরনের বনধ এখন অবৈধ, কোনও সংগঠন এখন অসমে বনধ ডাকলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর গণতন্ত্র প্রক্রিয়ায় কেউ বনধ ডেকে বাঁধার সৃষ্টি করতে চাইলে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি এদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।  এসপি শ্রীজিৎ বলেন ডিএনএলএ জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে হাফলং থানায় এক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এদিকে জানা গেছে বর্তমানে ডিএনএলএ জঙ্গি সংগঠনের চেয়ারম্যান ইতিকা ডিফুসা (৪৫) সাধারণ সম্পাদক সুধীর সংরপা ওরফে মুসরাং (২৭) ও অর্থ সচিব রূপসন থাওসেন ওরফে গাডিন তিনজনই আত্মগোপন করে রয়েছে এনএসসিএন (আইএম) জঙ্গি সংগঠনের হেব্রন ক্যাম্পে। জঙ্গি সংগঠনটির তিন সদস্য কার্বি-আংলং জেলার ধনশিরি ও দলদলির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে হেব্রন ক্যাম্পে থেকেই সুধীর সংরপা জঙ্গি সংগঠনে নতুন নতুন সদস্য ভর্তির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তাছাড়া রূপসন থাওসেন হুমকি দিয়ে অর্থ দাবিতে জড়িত রয়েছে। এমনকি রূপসন ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর কার্বি-আংলং জেলায় ভেঙ্গে দেওয়া ডিএইচডি জঙ্গি সংগঠনের সিইএনসি প্রনব নুনিসার ওপর আক্রমণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.