ভোটের তৃতীয় নয়ন, লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীত্বে অনাগ্রহী ডিমা হাসাও যুব সমাজ
দেবদত্ত নাইডিং
তিন নম্বর পার্বত্য স্বায়ত্বশাসিত লোকসভা আসনের আওতায় তিনটি জেলা অন্তর্ভুক্ত। স্বশাসিত জেলাগুলো হল ডিমা হাসাও, কাৰ্বি আংলং ও পশ্চিম কাৰ্বি আংলং। ডিমা হাসাওয়ের জনসংখ্যা লোকসভা কেন্দ্ৰের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মাত্র। তাই, আজ পর্যন্ত এ জেলার কেউ লোকসভার সদস্য হতে পারেননি। যদিওবা, রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন এ জেলার স্বর্গীয় জয়ভদ্র হাগঝার ও প্রকান্ত ওয়ারিসা। রাজ্যের এই স্বশাসিত লোকসভা আসনে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্ৰ আছে। চারটে বিধানসভার আসন কার্বি জেলা দুটির অন্তর্ভুক্ত। ডিমা হাসাওয়ে আছে একটি মাত্র বিধানসভা আসন। জেলার উপজাতীয় যুবক ও যুবতীরা স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি হতে বিশেষ আগ্রহী। কারণ, নির্বাচিত সদস্য হয়ে স্থানীয় সমস্যার সমাধান অতি সহজে করা যায় বলে এক ধারণা বিদ্যমান যুবসমাজের মানসিকতায় রয়েছে। পার্বত্য স্বশাসিত জেলা পরিষদ বা অটনোমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের প্রশানিক ক্ষমতা অনেক। এরূপ স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদ গঠন করা হয় ভারতীয় সংবিধানের ষষ্ঠ অনুচ্ছেদের ওপর ভিত্তি করে। জেলার শিক্ষিত মধ্যবিত্তের মানসিকতাও ভিন্ন। জেলার মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সমাজ সংরক্ষণের সুবিধার জন্য সরকারি চাকরির প্রতি বেশী আকৃষ্ট। সেজন্য, ডিমা হাসাও জেলার যুব সমাজ লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী নয়। সর্বদাই কাৰ্বি জনগোষ্ঠীর লোকই এ লোকসভার সাংসদ হয় এসেছেন। এবারও তাই হবে।
[লেখক ডিমা হাসাওর লোক। বর্তমানে গুয়াহাটি নিবাসী।]
[লেখক ডিমা হাসাওর লোক। বর্তমানে গুয়াহাটি নিবাসী।]
কোন মন্তব্য নেই