Header Ads

১১৫ জনের শাস্তির মেয়াদ উত্তীৰ্ণ হওয়ার পরেও ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক করে মানবাধিকার লংঙঘন


অমল গুপ্তঃ গুয়াহাটি,
অসমে ১৯৯৭-৯৮ সাল থেকে রাজ্যের ভোটার তালিকায় ‘ডি' ভোটারদের চিহিত করা হয়। ডিসপিউটেড বা ডাউটফুল (বিতৰ্কিত বা সন্দেহজনক) তকমা সেঁটে অধিকাংশ ভারতীয় নাগরিককে সংবিধান প্ৰদত্ত মৌলিক অধিকার ভোট দানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। রাজ্যে বৰ্তমানে দেড় লক্ষাধিক ‘ডি' ভোটার আছে। জাতীয় নাগরিকপঞ্জী কৰ্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘ডি' ভোটারদের সন্তান-সন্ততিদের নাম ও নাগরিকপঞ্জীর তালিকায় অন্তৰ্ভুক্ত হবে না। রাজ্যে কাগজে-কলমে ১০০ টি বিদেশী শনাক্ত করণ ট্ৰাইব্যুনাল আছে। প্ৰকৃতাৰ্থে অধিকাংশ ট্ৰাইব্যুনালে পরিকাঠামো নেই। ট্ৰাইব্যুনালের বিচারকদের একাংশের যোগ্যতা নিয়েও মানবাধিকার সংগঠনগুলি প্ৰশ্ন তুলেছে। একপক্ষীয়ভাবে ‘ডি' ভোটার বানানো হচ্ছে। ট্ৰাইব্যুনালগুলিকে ব্যাপকহারে দুৰ্নীতি গ্ৰাস করেছে। এমন অভিযোগও করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। এছাড়াও ডিটেনশন ক্যাম্পের নামে মানবাধিকার লংঙঘনের ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। দেশের অন্যতম মানবাধিকার কৰ্মী হৰ্ষ মন্দার গুয়াহাটিতে এবং ধলার বিসনীমুখে এসে মানবাধিকার লংঙঘনের বহু অভিযোগ শীৰ্ষ আদালতের কাছে করেছিলেন। সরকার এক সূত্ৰে জানিয়েছে ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি পৰ্যন্ত রাজ্যের ৬ টি ডিটেনশন ক্যাম্পে ৯৩৮ জনকে আটকে রাখা হয়েছে। তারমধ্যে ৮২৩ জনকে বিদেশী ট্ৰাইব্যুনালগুলি শনাক্ত করেছে। এবং ১১৫ জনকে বিচার বিভাগীয় আদালতে দোষী সাব্যস্ত করেছে, তাদের শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তার পরেও তাদেরকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে। সরকারী সূত্ৰই জানােচ্ছ শাস্তির মেয়াদ উত্তীৰ্ণ হওয়ার পরেও তাদেরকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলি প্ৰশ্ন তুলেছে, শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কেন তাদের আটকে রাখা হচ্ছে। সরকারই মানবাধিকার লংঙঘন করছে। রাজ্যের মুখ্য নিৰ্বাচনী অফিসার মুকেশ শহায় জানিয়েছে, ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকাধীনদের ভোটদানের অধিকার থাকবেনা। এন আর সি কৰ্তৃপক্ষের নিৰ্দেশ অনুযায়ী ‘ডি'ভোটারদের সন্তান-সন্ততিদের ভাটাদানের অধিকার দেওয়া হবে কি না, সেই ব্যাপারে স্পষ্ট করেন নি মুখ্য নিৰ্বাচনী অফিসার। এন আর সি-তে নাম না থাকলেও ভোটার তালিকায় নাম থাকলেই ভোট দানের অধিকার দেওয়ার কথা বললেও এখনও বেশ কিছু অস্পষ্টতা থেকে গেছে।  এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলগুলির অভিযোগ অনুযায়ী  রাজ্যের বিদেশী ট্ৰাইব্যুনালগুলি একপক্ষীয়ভাবে রায় দিয়ে ‘ডি' ভোটার বানাচ্ছে, তাদের মামলাগুলি পুনরীক্ষণ করার জন্য রাজ্য সরকার এক পুনরীক্ষণ কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটির কাজ-কৰ্মে অসন্তুষ প্ৰকাশ করেছে বিরোধীরা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.