Header Ads

বনাঞ্চলে বসবাসকারী পরিবারের উচ্ছেদের সুপ্ৰিম কোৰ্টের জারি করা নির্দেশের বিরুদ্ধে ভারত বনধ পালন করল আদিবাসী সংগঠন

দেবযানী পাটিকর, গুয়াহাটিঃ অসম সমেত ১৭টি রাজ্যের বনাঞ্চলে বসবাস করা ১১ লক্ষ পরিবারকে সুপ্রিম কোর্ট উচ্ছেদের  নির্দেশের দিয়েছে। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারা ভারত বনধের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের আদিবাসী ও দলিত অধিকাররের কয়েকটি সংঘটন। জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল যেমন গুজরাট, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, ঝারখান্ড, ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের  রাজ্য গুলিতে শান্তিপূর্ণ বন্ধের আহ্বান ডাক দিয়েছিল এই সংগঠনগুলি। এই বনধে কয়েকটি রাজনৈতিক দলও সমর্থন করেছে। কয়েকটি রাজ্য যেমন বিহারে বনধের  কিছু কিছু প্রভাব দেখা গেছে । বন্ধ সমর্থকরা কোথাও ট্রেন আটকে দিয়েছে তথা রাস্তা বন্ধ করেছে। ফলে সাধারণ লোকেরা অসুবিধার পড়েছে। কয়েকজন  বন্ধ সমর্থকদেরও পুলিশ আটক করে। প্ৰসঙ্গত, যে গত ১৩ তারিখে সুপ্ৰিম কোৰ্ট অসম সহিত ১৭টি রাজ্যের বনাঞ্চলে বাস করা ১১লাখ পরিবারকে উচ্ছেদের  নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। তিনজন জাজের বেঞ্চ এই নির্দেশে পাস করেন। বন অধিকার আইনের অধীনে এই পরিবারগুলো বনাঞ্চলে বসবাস করার অধিকার হারানোর পরে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশ। অন্যদিকে সুপ্ৰিম কোৰ্টের নির্দেশ মর্মে অসমের বিভিন্ন বনাঞ্চলে বসবাস করা কমপক্ষেও ২৭ হাজার পরিবারকে উচ্ছেদের সম্ভাবনা রয়েছে। শীৰ্ষ আদালত আগামী ২৭ জুলাই এর ভিতর এই পরিবারগুলিকে উচ্ছেদের নির্দেশ দিলেও পরে এই নির্দেশ স্থগিত রাখা হয়েছে । উল্লেখনীয়, যে  শীৰ্ষ আদালত বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে দাখিল করা শপথ নামাতে তিন প্রজন্ম ধরে দখল করে আসা এবং অন্যান্য প্রমাণের অভাবে বনাঞ্চলে বসবাস করে থাকা কমেও ১১ লাখের বেশী জনজাতীয় তথা  অন্যান্য পরিবারের দাবি করা মাটির মালিকানা স্বত্ব প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে বন অধিকার আইন অনুসারে ২০০৫ সনের ৩১ ডিসেম্বরের পূর্বে কমেও তিনটা প্রজন্ম বনাঞ্চলে বসবাস করা সকলকে মাটির অধিকার প্রদান করা হয় । সুপ্ৰিম কোৰ্টের উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া সবাই বেশিরভাগ মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং ওড়িশার বনাঞ্চলে বসবাসকারী পরিবার। মাটির অধিকার দাবি সম্পর্কে যে সমস্ত বিষয়ে এখনও পঞ্জিকরণ বা  পুনঃনিরীক্ষণ পর্যায়ে আছে সেই সমস্ত আগামী দিনে পূর্ণ করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.