Header Ads

অসমে লালগুড় নিষিদ্ধ হওয়ায় রাজ্যে গুড় ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

স্বপন দাস, লামডিং-  রাজ্যের গুর ব্যাবসায়ী দের মাথায় হাত। নিম্ন মানের ক্ষতিকারক লাল গুরের সাথে স্থানীয় উৎপাদিত উৎকৃষ্ট মানের লালগুড় বন্ধ হয়ে যাওয়াতে গুর ব্যাবসায়ী সমেত আখ চাষীদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পরেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় আখ চাষীরা রাস্তায় নেমে প্রদিবাদ করে। গোলাঘাটে বিষাক্ত মদ খেয়ে একশ চল্লিশ জনের মৃত্যুর পর রাজ্যে নিষিদ্ধ হয় লালগুড়। এই ঘটনায় চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছে স্হানীয় আখ চাষী এবং গুড়ের ব্যবসায়ীরা। যার ফলে লামডিঙের আখ চাষীরা প্ৰতিবাদে নামতে বাধ্য হয়
রবিবার সকালে লামডিং এর পাঁচ শহশ্ৰাধিক আখ চাষী প্ৰতিবাদ মিছিল করে স্হানীয় শহীদ ময়দানে গিয়ে ভিড় জামান। চাষীরা বলেন জলের অভাবে লামডিং অঞ্চলে ধান চাষ বা অনান্য  চাষ করার সুবিধা নেই। তাই লামডিঙের সকল চাষীরা বছর বছর ধরে আখের চাষ করে আসছে। যা দিয়ে তৈরি হচ্ছে গুড়।
এই গুড়ের ব্যবসা করেই নিজেদের জীবিকা চালিয়ে আসছে এই সব চাষীরা। কিন্তু গুড় বিক্রী বন্ধ হওয়াতে এই সকল চাষীদের জীবিকা নির্বাহ অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। চাষীদের  দাবী সরকার এবং প্ৰশাসন লামডিঙে উৎপাদিত গুড় পরীক্ষা করে দেখুক তার পরে নিৰ্ধারণ করুক এই গুড় ক্ষতিকারক কিনা৷ লামডিং কেন্দ্ৰের বিধায়ক শিবু মিশ্র গোটা ঘটনার খবর নেন। বিধায়ক গোলাঘাটের ঘটনার দুঃখ প্ৰকাশ করে বলেন যে সরকার লাল গুড় বন্ধ করে ভাল করেছে। দোষীর শাস্তি প্ৰদান করেছে কিন্তু লামডিং তথা লামডিঙের আশেপাশে অঞ্চলের বহু কৃষক আখ এবং চাক্কি গুরের ওপর নিৰ্ভরশিল। বিধায়ক এই সমস্যার সমাধানে সরকারের সাথে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে সকলকে আশ্বাস দিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.