Header Ads

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ওকালতি করে মমতা ব্যানার্জিকে সমর্থনের আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি



কলকাতাঃ কেন্দ্ৰীয় সরকার আম জনতার ঋণের বোঝা কমিয়ে কর রেহাই দিয়েছে, তা শুধু ‘ট্ৰেলার’ মাত্ৰ পরবর্তী নির্বাচনের পর নতুন ভারতের রাস্তা খুলে দেবে বিজেপি সরকার। পশ্চিমবঙ্গে পদ্মফুল ফুটবেই মমতা ব্যানার্জির সরকারের পতন ঘটবে। কংগ্ৰেস শাসনে ছিল শুধুই দুর্নীতি আর ভ্ৰষ্টাচার, তাই মানুষ তাদেরকে প্ৰত্যাখ্যান করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির অধ্যক্ষ অমিত শাহের পশ্চিমবাংলাতে প্রচার অভিযানের পর শনিবার কলকাতায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বনগাঁর ঠাকুর নগর এবং শিল্প নগরী দুর্গাপুরে দুটি বিশাল সভা সম্বোধন করলেন। ঠাকুরনগরের সভাতে মমতা ব্যানার্জির সরকারকে  সরাসরি আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জনসভায় লোকের উপচে পড়া ভিড় দেখে খুশি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে বিজেপির প্রতি পশ্চিমবাংলার সাধারণ লোকের এত ভালোবাসা দেখে দিদি ভয় পেয়েছেন, ভিড় দেখে বুঝতে পারছি কেন তিনি হিংসার রাস্তা বেছে নিচ্ছেন। ভয় পেয়ে গেছেন। ঠাকুরনগরের জনসভা থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কে সমর্থন করার আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তৃণমূল সরকারও বিলটিকে সমর্থন করবে। গত সাড়ে চার বছর ধরে বিজেপি সরকার গ্রামের পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টা করছে। এবার বাজেটে কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন পশ্চিমবাংলার গ্রামের অবস্থা খুবই খারাপ। রাজ্য সরকার কখনো গ্রামের প্রতি গুরুত্ব দেয়নি। বর্তমানে কেন্দ্র সরকার স্থিতি বদলানোর চেষ্টা করে চলছে প্রধানমন্ত্রীর বিশাল জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন ভিড়ের মধ্যে লোকেরা একে অপরের সাথে ধাক্কাধাক্কি শুরু করা দেখে প্রধানমন্ত্রীর লোকেদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। ধাক্কাধাক্কি না করতে এবং যে জায়গায় যে রয়েছেন সে জায়গায় তাকে থাকতে বলেন। ওদিকে প্রধানমন্ত্রী দূর্গাপুরের জনসভাতে বলেন, দুর্ভাগ্য যে স্বাধীনতার এত বছর পরেও গ্রামের অবস্থা বিশেষ দিকে নজর দেওয়া হয়নি যতটা দেওয়া উচিত ছিল। এখানে পশ্চিম বাংলার গ্রামের অবস্থা আরো খারাপ। কেন্দ্র সরকার গ্রামের অবস্থা বদলানোর চেষ্টা করছে। তথাপিও রাজ্য সরকার গ্রামের দিকে নজর দেয়নি। তবে যেটা হয়ে গেছে সেটা হয়ে গেছে নতুন  ভারতে এই স্থিতি থাকবে না বলে মনে করেন তিনি। বিগত সাড়ে চার বছর ধরে কেন্দ্র সরকার কৃষকের অবস্থার পরিবর্তন করার চেষ্টা করে চলছে। তিনি আরো বলেন যে গতকাল ঐতিহাসিক বাজেটে প্রথমবার কৃষক শ্রমিকদের জন্য অনেক বড় কল্যাণমূলক কর্মসূচী গ্ৰহণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে অনেকবার কৃষকদের ঋণ মাফ করার রাজনীতি করে ওদের কে ধোকা দেওয়া হয়েছে। এখনও কিছু রাজ্যে কৃষকদের ঋণ মাফ করার নামে ভোট চাওয়া হচ্ছে। এমন কৃষকের ঋণ মাফ করে দাওযা হচ্ছে যারা কখনো ঋণ নেন নি


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.