Header Ads

এন আর সিতে না থাকলেও ভোটার তালিকায় নাম থাকলেই ভোট দানের অধিকার দেওয়া হবেঃ মুকেশ শাহ

‘ডি' ভোটারদের ভোট দানের অধিকার দেওয়া হবে না


অমল গুপ্তঃ গুয়াহাটি, 
২০১৯ লোকসভা নিৰ্বাচনের প্ৰাকপ্ৰস্তুতি শুরু হয়ে গেল। পাক-ভারত যুদ্ধের ছায়ার মধ্যেই অসমের নিৰ্বাচনী কাৰ্যালয়ে নিৰ্বাচনের প্ৰস্তুতিপৰ্ব চূড়ান্ত পৰ্যায়ে এগোচ্ছে। আজ রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্য মুখ্য নিৰ্বাচনী অফিসার মুকেশ শাহ সাংবাদিক সম্মেলনে রাজনৈতিক দলগুলির নিৰ্বাচন বিধি সংবাদ মাধ্যমের ফেক নিউজ, ইভিএম মেশিনের কাৰ্যকলাপ, রাজনৈতিক দলগুলির নিৰ্বাচনী খরচ ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত জানালেন। রাজ্যে এন আর সি প্ৰক্ৰিয়া চলছে, বহু মানুষের এন আর সিতে নাম না থাকলেও ভোটার তালিকায় নাম আছে। তাদের সম্পৰ্কে মুকেশ শাহ জানান, ভোটার তালিকায় নাম থাকলেই ভোট দানের অধিকার দেওয়া হবে। তবে ‘ডি' ভোটারদের ভোট দানের অধিকার দেওয়া হবে না। অনলাইনের মাধ্যমে নিৰ্বাচন সম্পৰ্কে বিভিন্ন খবরা-খবর দেওয়ার ব্যাপারে ‘সুবিধা এবং পি ডব্লিউ ডি এ্যাপস চালু করা হবে। বৈদু্যতিন এবং ছাপা মাধ্যম এই দুই সংবাদ মাধ্যম যাতে নিৰ্বাচন সম্পৰ্কে প্ৰাথ¹দের পক্ষে কাজ করে ভোটারদের প্ৰভাবিত করতে না পারে। সেই ধরণের ফেক বা পেইড নিউজের রমরমা বন্ধের জন্য জেলা পৰ্যায়ে একটি করে কমিটি গঠন করা হবে। জেলা রিটানিং অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত এক কমিটি সংবাদ মাধ্যমের প্ৰতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখবে। ফেক নিউজ হিসাবে প্ৰমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কৰ্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে। ভোটারদের প্ৰভাবিত করার জন্য কোনও প্ৰাৰ্থীর পক্ষের অনুকূলে নিউজ করা হলে সংশ্লিষ্ট লোকসভা প্ৰাৰ্থীর এ্যাকাউণ্ট থেকে অৰ্থ আদায় করে জরিমনা করার ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্যের নিৰ্বাচন সচিব বিবেকানন্দ ফুকন এবং অন্যান্য অফিসারদের উপস্থিতিতে মুকেশ শাহ জানান, রাজ্যের প্ৰত্যেকটি ইভিএম মেশিনের সঙ্গে ভিভিপ্যাট-র ব্যবস্থা থাকবে। একজন ব্যক্তি ভোট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার নাম তার প্ৰতীকের চিহ সম্বলিত কাগজের এক শ্লিপ ইভিএম মেশিনের সঙ্গে সংলগ্ন কাঁচের বাক্সে পরে থাকবে। যে কোনও ভোটার ইচ্ছা করলে কাচের বাক্স থেকে ঐ শ্লিপ দেখে সুনিশ্চিত হতে পারবে, ভোট দেওয়াটা ঠিক হয়েছে কি না। এবার গণনার সময় ইভিএম-র পর ভিভিপ্যাটের জমা পরা শ্লিপ গুলিও গণনা করা হবে। যাতে ভোটারদের মনে কোনও সন্দেহ না হয়। মুখ্য নিৰ্বাচন অফিসার জনান, ভিভিপ্যাট সম্পৰ্কে সজাগতা বৃদ্ধির জন্য প্ৰতিটি জেলায় নিৰ্বাচন অফিসাররা গ্ৰামে-গঞ্জেও কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান, ভোটারদের বিভিন্ন প্ৰেশ্নর জবাব দেওয়ার জন্য ভোটার হেল্প লাইন স্থাপন করা হবে। ইভিএম-ভিভিপ্যাট সম্পৰ্কেও সৰ্বস্তরে এমনকি সাংবাদিকদের মধ্যও প্ৰশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে। নিৰ্বাচনে প্ৰচারাভিযানের জন্য ছাপাব্যানার, পোষ্টার, পুস্তিকা প্ৰভৃতিতে মুদ্ৰক, প্ৰকাশকের নাম-ধাম, ঠিকনা বিস্তারিত জানাতে হবে। নিৰ্বাচন বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আচরণ বিধি লাগু হয়ে যাবে। লোকসভা প্ৰাৰ্থীদের খরচের নিৰ্ধারণ করা হয়েছে ৭০ লক্ষ টাকা, কোনও প্ৰাৰ্থী গাড়ি-মটর, হেলিকপ্টার চড়ার পুরো হিসাব দাখিল করতে হবে। খরচের পাই-পয়সার হিসাব দিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.