আলোচনার জন্য আমরা তৈরি, বললেন পাক প্ৰধানমন্ত্ৰী ইমরান খান
ছবি, সৌঃ এএনআই
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, নয়াদিল্লিঃ পাকিস্তান দাবি করছে পাল্টা হানায় ভারতের মিগ বিমান নামানো হয়েছে এবং ২জন ভারতীয় পাইলটকে গ্ৰেফতার করেছে। তাদের মধ্যে একজন পাকিস্তানের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরপর পাক প্ৰধানমন্ত্ৰী ইমরান খান সরাসরি সংবাদ মাধ্যমে শান্তি আলোচনার কথা বলেছেন। বুধবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলে তা ইমরান খান বা নরেন্দ্ৰ মোদি, কারও হাতে থাকবে না। এমনই সতৰ্ক বাৰ্তা দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন ভারতের প্ৰত্যাঘাতের জবাবে নিজেদের শক্তি প্ৰমাণ করতে অসামরিক অভিযান চালাতে যুদ্ধবিমান পাঠানো হয় কাশ্মীরে। তিনি আরও বলেন- সংঘাত বাড়ানোর কোনও উদ্দেশ্য নেই তাদের। বরং ভারতের সঙ্গে শান্তি স্থাপনেই আগ্ৰহী তারা। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন- কাশ্মীরের পুলওয়ামা হানায় নিহতদের পরিবারের দুঃখকে তিনি অনুভব করতে পারছেন। ওই ঘটনা নিয়ে তদন্তে ভারতকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্ৰাক্তন পাক ক্ৰিকেটার তথা প্ৰধানমন্ত্ৰী ইমরান খান। সেইসঙ্গে সন্ত্ৰাসবাদ নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিন তিনি ফের একবার দাবি করে বলেন তাদের সরকার সন্ত্ৰাসবাদে বিশ্বাস করে না। এদিন নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে লাগাতার গুলি বৰ্ষণ করে পাক সেনা বাহিনী। অন্যদিকে, এদিন পাক বাহিনীর মুখপাত্ৰ (ডিজি আইএসপিআর) মেজর জেনারেল আসিফ গফুর সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জানান- পাকিস্তান শান্তি চায়। ভারতকে বুঝতে হবে , যুদ্ধ হল নীতিগত ব্যৰ্থতা। ভারতের বিরুদ্ধে নতুন করে নিয়ন্ত্ৰণ রেখা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন মেজর জেনারেল গফুর। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় হামলার পর থেকে দুই দেশের সম্পৰ্কে গরমাগরমি চলছে। কিন্তু যুদ্ধ কখনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না বলে জানিয়েছেন মেজর জেনারেল গফুর। তাঁর কথায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগেই বলেছেন, যুদ্ধ শুরু করা সহজ, কিন্তু শেষ করা সহজ নয়। তাই যুদ্ধে যাওয়ার কোনও অভিপ্রায় নেই তাদের। পাকিস্তান সরকার, সেনাবাহিনী এবং ওই দেশের সাধারণ মানুষ ভারতের সঙ্গে শান্তিস্থাপন করতে আগ্রহী। একমাত্র আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই তা সম্ভব। ভারত-পাকিস্তান দুই দেশেরই যুদ্ধ করার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু তা কখনও সমাধান হতে পারে না। শান্তিপূর্ণ উপায়েই তা খুঁজে বার করতে হবে। এর আগেও একাধিকবার দিল্লিকে শান্তির প্রস্তাব দেওয়ার দাবি করেছেন তিনি। যত তাড়াতাড়ি তা গৃহীত হয়, ততই মঙ্গল। কারণ এতে শুধুমাত্র দুটো দেশ নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশের নিরাপত্তা জড়িয়ে। দুই দেশের সংবাদমাধ্যমকেও সংযত হতে অনুরোধ জানিয়েছেন পাক মেজর জেনারেল গফুর।
কোন মন্তব্য নেই