Header Ads

কলকাতা বিমান বন্দরে কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী বাবুল সুপ্ৰীয়, গুয়াহাটি বিমান বন্দরে মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ, মন্ত্ৰী হিমন্ত, মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন শহিদদের কফিন বন্দী মৃতদেহ ঘাড়ে নিলেন



দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্ৰাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবেঃ মুখ্যমন্ত্ৰী
তামুলপুরের কলাবাড়ি গ্ৰামে হাজার হাজার মানুষ চোখের জলে বিদায় জানালেন বীর শহিদ মনেশ্বর বসুমতারীকে


অমল গুপ্তঃ গুয়াহাটি,
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ২৫০ টি গাড়ীর কনভয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৪৪ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হয়েছে এবং দু ডজনেরও বেশি সেনা জওয়ান মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। কাশ্মীরের এই ঘটনায় সারা দেশ মৰ্মাহত, ক্ষোভে জ্বলছে দেশ। অসম এবং প্ৰতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের ৩ জওয়ান এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের দুই জওয়ানের কফিন বন্দী মৃতদেহ আজ কলকাতা বিমান বন্দরে পৌঁছানোর পর তাদের ‘গাৰ্ড অব অনার' দিয়ে তাদের অন্তিম শ্ৰদ্ধা জানান হয়। হাওড়ার ভাউরিয়ার বাবলু সাঁতরা এবং নদীয়ার তেহট্টের সুদীপ বিশ্বাস-এর মৃতদেহের কফিন ঘাড়ে তুলে নেন কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী বাবুল সুপ্ৰীয়। এদিকে অসমের বড়ঝাড় বিমান বন্দরে সেনা জওয়ান মনেশ্বর বসুমতারীর কফিন বন্দী মৃতদেহ এসে পৌঁছায়, মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল, ডিজিপি কুলধর শইকিয়া সহ রাজ্যের বিশিষ্ট জনপ্ৰতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বায়ু সেনা এবং সিআরপিএফ-র জওয়ানরা ‘গাৰ্ড অব অনার' প্ৰদৰ্শন করে মৃতদেহের প্ৰতি শেষ শ্ৰদ্ধা জানায়। মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল, অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা এবং শিল্প বাণিজ্য মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি শহিদ মনেশ্বর বসুমতারীর কফিন ঘাড়ে নেন। মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্ৰাসবাদের বিরদ্ধে লড়াই করতে হবে। কংগ্ৰেস সভাপতি রিপুন বরা, প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ, রকিবুল হোসেন, সাংসদ বিজয়া চক্ৰবৰ্তী, রাজ্যের পুলিশ প্ৰধান কুলধর শইকিয়া, মুখ্যমন্ত্ৰী মিডিয়া এডভাইসর ঋষিকেশ গোস্বামী প্ৰমুখ শেষ শ্ৰদ্ধা নিবেদনের জন্য বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন। বিমান বন্দর থেকে মৃতদেহ কোকরাঝারের তামুলপুরের কলাবাড়ি গ্ৰামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই মনেশ্বর-র গ্ৰামে হাজার হাজার মানুষ তার প্ৰতি শ্ৰদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বিটিএডি প্ৰধান হাগ্ৰামা মহিলারী এবং বিটিএডি-র নেতৃবৃন্দ মনেশ্বরের প্ৰতি শেষ শ্ৰদ্ধা জ্ঞাপন করে। হাগ্ৰামা মহিলারী মনেশ্বরের পরিবারের আৰ্থিক দায়িত্ব গ্ৰহণের কথা জানিয়ে দিয়ে বলেন, কাশ্মীরের ঘটনায় সেনা বাহিনীকে ‘অফেনশিফ নয়, ডিফিনশিপ' হয়ে ফাইট দিতে হবে। কেন্দ্ৰীয় সরকার যদি অনুমোদন দেয় তারা ৫০০ যুবককে সেখানে পাঠিয়ে লড়াই করব। এর জন্য সরকারকে কোনও বেতন ভাতা দিতে হবে না। অসম সরকারের পক্ষ থেকে মনেশ্বরের পরিবারকে আৰ্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। কাশ্মীরের ঘটনায় দল-মত, ধৰ্ম-ভাষা নিৰ্বিশেেষ সব এককাট্টা হয়ে পাকিস্তানকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। শুধু সাৰ্জিক্যাল ষ্টাইক নয়, যুদ্ধে নামতে হবে। দিল্লীতে সৰ্বদলীয় বৈঠকে সন্ত্ৰাসবাদকে রুখতে সব দল একজোট হয়েছে। অসমেও শদিয়া থেকে ধুবড়ি অপরদিকে বরাক উপত্যকাতেও পাকিস্তান বিরোধী প্ৰবল প্ৰতিবাদ লক্ষ্য করা গেছে। পাকিস্তানের পতাকা এবং পাকিস্তানের প্ৰধানমন্ত্ৰী ইমরাণ খানের সঙ্গে পাকিস্তানের মদত পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জয়েস-ই-মহম্মদ-এর প্ৰধান মাসুদ আজহারের কুশপুতুল দাহ করা হয়। রাজ্যের ব্যবসা প্ৰধান কেন্দ্ৰ ফেন্সি বাজারের ব্যবসা পত্ৰ সব বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীরা পাকিস্তান বিরোধী শ্লোগানে সরব হয়ে উঠে। স্বচ্ছ অভিযান চায় না, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্টে ১৫ লক্ষ টাকার প্ৰয়োজন নেই কিন্তু পাকিস্তানকে চরম শাস্তি দিতে হবে এমনই দাবি উঠে। গুয়াহাটি, তিনসুকিয়া, যোরহাট, করিমগঞ্জ, নলবাড়ি, বরপেটা, ধুবুড়ি, গোলাঘাট, গোয়ালপাড়া, মরিগাঁও, ডিগবৈ, নুমলিগড়, রঙিয়া প্ৰভৃতি জায়গায় ব্যবসা পত্ৰ বন্ধ রেখে পাকিস্তান বিরোধী প্ৰবল প্ৰতিবাদ, পাকিস্তানের পতাকা প্ৰজ্জ্বলন, প্ৰধানমন্ত্ৰী ইমরাণ খানের কুশপুতুল দাহ সমান্তরালভাবে নিহত শহিদদের প্ৰতি গভীর শ্ৰদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্ৰদীপ, মোমবাতি জ্বালিয়ে শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ গ্ৰহণ করার দাবি জানান। বিধায়ক শিলাদিত্য দেব পাকিস্তানের শত্ৰুদের ঘরে গিয়ে আক্ৰমণ করার দাবি জানান। মৌলানা বদরুদ্দিন আজমল নেতৃত্বাধীন জমিয়ত উলামার প্ৰতিনিধিরা আজ তামুলপুরে বীর শহিদ মনেশ্বর বসুমতারীরর বাড়িতে গিয়ে তার প্ৰতি শ্ৰদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ভারতের হিন্দু-মুসলিম ঐক্য সংহতি পাকিস্তানের ষড়যন্ত্ৰকে প্ৰতিহত করবে। ডিজিপি কুলধর শইকিয়া এবং মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরী বৈঠকে বসেন। অসমে যাতে মৌলবাদী কাৰ্যকলাপ মাথাচাড়া না দেয় তার জন্য জেলার পুলিশ সুপারদের সতৰ্ক করে দেওয়া হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.