Header Ads

কুশিয়ারা নদী পেরিয়ে বাংলাদেশীদের এই দেশে আসতে সময় লাগছে মাত্ৰ ৩ মিনিট


অমল গুপ্ত, গুয়াহাটিঃ
আজ বিধানসভায় জিরো আওয়ারে বিজেপির মৃণাল শইকিয়া রাজ্যে প্ৰধানমন্ত্ৰী জীবন বীমা নিয়ে ব্যাপক দুৰ্নীতি চলছে বলে অভিযোগ করে এই বিষয়ে উপযুক্ত তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানান। তিনি অসমীয়া যুব মঞ্চ'র এক অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন, বরপেটা, গোয়ালপাড়া, ধুবড়ি প্ৰভৃতি জেলায় প্ৰধানমন্ত্ৰী জীবন বীমার নামে যে কোনও মানুষকে মৃত বলে দেখিয়ে অৰ্থ লুটপাট করছে। বরপেটা জেলার আমিনা পারবিন নামে এক মহিলা বেঁচে ছিলেন, তার স্বামী তাকে মৃত দেখিয়ে ২ লক্ষ টাকা অৰ্থ লুটপাট করে। মৃত ব্যক্তিদের ভোটার তালিকায় নাম দেখিয়ে প্ৰধানমন্ত্ৰীর জীবন বীমার টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। প্ৰাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্ৰের ডাক্তারাও ভূয়ো মৃত্যুর সাৰ্টিফিকেট ইসু্য করে ব্যাপক অৰ্থ লুট করছে। সংসদীয় মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি বলেন, বিষয়টি সরকারের গোচরে এসেছে ইতিমধ্যে বরপেটায় তদন্ত চালিয়ে ১৮জনকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে।অগপর প্ৰদীপ হাজরিকা জিরো আওয়ারে অভিযোগ করেন, অসমের সীমান্তগুলি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে আছে।বাংলাদেশী অনুপ্ৰবেশ অব্যাহত আছে।বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে কুশিয়ারা নদী পেরিয়ে বাংলাদেশীদের এই দেশে আসতে সময় লাগছে মাত্ৰ ৩ মিনিট।করিমগঞ্জে জারাপাটা, গোবিন্দপুর প্ৰভৃতি অঞ্চলে স্থায়ী ঘর বানিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশীরা। নতুন করে বাংলাদেশীরা এসেই সেই সব ঘর গুলিতে বসবাস শুরু করে। তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিলেই হুলুস্থল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।রাজনৈতিক চাপ আসে। বাংলাদেশ সীমান্তবৰ্তী কৰ্তব্যরত বৰ্ডার সিকিউরিটি ফোৰ্স (বিএসএফ)র কাজ-কৰ্মের প্ৰতি মানুষের আস্থা নেই। তিনি অভিযোগ করেন, সীমান্ত অঞ্চলে রাতে ফ্লাড লাইটের ব্যবস্থা নেই। মাঝে মাঝে জেনেরেটর চালানো হয়। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশীদের স্ৰোত অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, ত্ৰিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তের দৈঘ্য হচ্ছে ৮৫৬ কিলোমিটার, মিজোরামের ১৮০ কিঃমিঃ, নাগাল্যাণ্ডের ৪৮ কিঃমিঃ, অসমের ২৬৩ কিঃমিঃ এবং পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশের সীমান্ত হচ্ছে ২২১৭ কিঃমিঃ এই সব অধিকাংশ সীমান্ত উন্মুক্ত হয়ে পড়ে আছে। অসমের পরিস্থিতি ভয়াবহ।অসমে অবৈধ অনুপ্ৰবেশকারাদের স্ৰোতের ফলে অসমের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কাশ্মীরের দিকে যাচ্ছে অসম। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পৰ্যন্ত বাংলাদেশী অনুপ্ৰবেশ চলছেই। মৌলাবাদী জেহাদীরা আসছে, হাতিয়ার আসছে। বিধানসভায় অপরাহে পুনরায় অধিবেশন শুরু হলে উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্ৰেস সদস্য কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন, করিমগঞ্জ বাংলাদেশ সীমান্তের ৩.৫ কিঃমিঃ দীৰ্ঘ ১০ বছর ধরে পড়ে আছে। তিনি কয়েকটি সীমান্ত গ্ৰামের দূরবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, সেই সব হতভাগ্য মানুষগুলি রাতের বেলায় প্ৰয়োজনে ঔষুধ পত্ৰ কিনতে যেতে পারে না। তিনি জিরো-ফেন্সিং স্থাপনের দাবি জানিয়ে সীমান্তকে অত্যাধুনিকভাবে গড়ে তোলার দাবি জানান।  তিনি জানান ১০ টি ভারতীয় গ্ৰামকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বাইরে রাখা হয়েছে, ৩.৫ কিঃমিঃ উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়েই তাদের যাতায়াত করতে হয়। তাদের দূরবস্থার কথা সরকার একবারও চিন্তা করেনা। সংসদীয় পরিক্ৰমা মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি জানান, অসম-বাংলাদেশ সীমান্ত সীল করার ব্যপারে সরকার সৰ্ববিধ ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছে। বিগত কংগ্ৰেস সরকার সীমান্ত সীলের সদৃচ্ছার অভাব ছিল। এআইইউডিএফ সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক প্ৰেশ্নর জবাবে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্ৰী রঞ্জিত দত্ত জানান, অসমে ইসলাম ধৰ্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা ১০৬৭৯৩৪৫ (৩৪.২২ শতাংশ), খ্ৰিষ্টান ধৰ্মাবলম্বী মানুষ ১১৬৫৮৬৭ (৩.৭৪ শতাংশ), শিখ ধৰ্মাবলম্বী মানুষ ২০৬৭২ (০.০৭ শতাংশ), বৌদ্ধ ধৰ্মালবম্বী মানুষ ৫৪৯৯৩ (০.১৮ শতাংশ) এবং জৈন ধৰ্মাবলম্বী মানুষ ২৫৯৪৯ (০.০৮ শতাংশ), তিনি জানান, নাৰ্স প্ৰশিক্ষণ, জি এন এম প্ৰশিক্ষণ, বিএসসি নাৰ্সি প্ৰশিক্ষণ, সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ ই-রিক্সা প্ৰভৃতি বাবদ ৬৬.২৮৭১ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে। এছাড়াও চর উন্নয়ন এবং ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোৰ্ডের জন্য সরকার অৰ্থ ব্যয় করেছে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.