Header Ads

বাংলাদেশে হিন্দুরা শান্তিতেই আছেন- রানা দাশগুপ্ত

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, ঢাকাঃ বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্ৰিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত দিন কয়েক আগে অসমের বাংলা দৈনিক যুগশঙ্খকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন- ‘৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকে বৈষম্য বঞ্চনা, নিগৃত-নিপীড়নের শিকার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের দেশত্যাগ অব্যাহত থাকলেও বৰ্তমানে সেখানে যে পরিবেশ রয়েছে তাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন তারা। এই পরিবেশ অব্যাহত থাকলে শান্তি এবং স্বস্তি এবং ভবিষ্যতের একটি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা খুঁজে পাবেন বাংলাদেশের হিন্দুরা।’ ওপার বাংলার সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের দাবিতে সব সময় সোচ্চার তিনি। তিনি বলেন- ‘ বাংলাদেশের ইতিহাসে যত নিৰ্বাচন হয়েছে, প্ৰত্যেকটি নিৰ্বাচনেই সাম্প্ৰদায়িক প্ৰচার প্ৰতারণা করা হতো। ভোটের সময় মঠ মন্দির সহ উপাসনালয়গুলো ব্যবহার করা হতো। এবার প্ৰথম রাজনৈতিক দলগুলো এই ধারা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেছে। নিৰ্বাচনও এবার কাৰ্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। অতীতে সংখ্যালঘু সম্প্ৰদায়কে টাৰ্গেক করে হামলা চালিতে তাদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হতো। এবার তা হয়নি। নিৰ্বাচনের আগে এবং পরে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া সেদেশের সাৰ্বিক পরিস্থিতি ভালই ছিল। এই পরিবেশকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তিনি আরও বলেন- এবারই সৰ্বপ্ৰথম রাজনৈতিক দলগুলি সংখ্যালঘুদের স্বাৰ্থ ও অধিকারের প্ৰশ্নে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার করেছেন। যা গত ৪৮ বছরে দেখা যায়নি। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগই সবচেয়ে বেশি অঙ্গীকার করেছে। সবচেয়ে আশাজনক কথা হল- গত সরকার বা প্ৰধানমন্ত্ৰী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের অঙ্গীকার করেছিলেন। এবার আওয়ামি লিগ তাদের ইস্তাহারে সন্ত্ৰাস ও জঙ্গিবাদ এবং মাদক নিৰ্মূলের পাশাপাশি সাম্প্ৰদায়িকতার বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। এছাড়া সংখ্যালঘুদের স্বাৰ্থ ও অধিকার সুনিশ্চিত করতে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্ৰণয়ন করবে। জাতীয় সংখ্যলঘু কমিশন গঠন করবে। বৈষম্য বিলোপের জন্য আইন করবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.