Header Ads

কলকাতায় শেষ হলো নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের ৯০ তম সৰ্বভারতীয় অধিবেশন



সর্বোত্তম শাখা হিসাবে পুরষ্কৃত লামডিং শাখা, শ্ৰেষ্ঠ কবির সম্মান পেয়েছেন লামডিংয়ের প্ৰদীপ সেনগুপ্ত

বিধান চন্দ্ৰ দেবরায়ঃ লামডিং
কলকাতাঃ কলকাতায় সিস্টাৰ নিবেদিতা ইউনিভারসিটি প্ৰাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের ৯০ তম সৰ্বভারতীয় অধিবেশন। উদ্বোধন করলেন ভারতের প্ৰাক্তন রাষ্ট্ৰপতি শ্ৰীযুত প্ৰণব মুখোপাধ্যায়। গত ২৩ ডিসেম্বর বেলা এগারটায় মঙ্গলদীপ প্ৰজ্বলন করে তিনি অধিবেশনের শুভ সূচনা করেন। সকাল ন'টায় সম্প্ৰীতি শোভাযাত্ৰা শহর পরিক্ৰমা করে। দশটায় সম্মেলনের পতাকা উত্তোলন করেন বিশিষ্ট সাহিতি্যক তথা সম্মেলনের প্ৰবীন সদস্য ড০ রামদুলাল বসু। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সম্মেলনের বরিষ্ট সহ-সভাপতি অধ্যাপক শ্ৰীপ্ৰদীপ ভট্টাচাৰ্য। অনুষ্ঠানের মূল সভাপতির আসন অলংকৃত করেন বিশিষ্ট সাহিতি্যক সমরেশ মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন চিত্ৰশিল্পী শুভা প্ৰসন্ন, বিশিষ্ট শিল্পী তথা রাজ্যসভার সাংসদ যোগেন চৌধুরী, মন্ত্ৰী ব্ৰাত্য বসু, ভারতের প্ৰাক্তন এয়ার চিফ মাৰ্শাল অরূপ রাহা, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য সচিব দেবাশীষ সেন, আন্তৰ্জাতিক পুস্তক মেলার প্ৰধান ত্ৰিদিপ চাটাৰ্জী, চলচিত্ৰ শিল্পী ঋতুপৰ্না সেন। উপস্থিত ছিলেন অভ্যৰ্থনা সমিতির সভাপতি তথা সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভারসিটির আচাৰ্য সত্যম রায় চৌধুরী, সম্মেলনের দুই সভাপতি ক্ৰমে প্ৰদীপ ভট্টচাৰ্য এবং ড০ কীৰ্তি রজন দে, সম্মেলনের সাধারণ সচিব শ্ৰীজয়ন্ত ঘোষ এবং সাহিতি্যক ড০ রামদুলাল বসু। বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন আমন্ত্ৰিত অতিথি হাসান আরিফ। তাছাড়াও ভারতের বিভিন্ন শাখা থেকে প্ৰায় আড়াই হাজার সদস্য প্ৰতিনিধি হিসাবে সম্মেলনে যোগদান করেন। ২৩ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পৰ্যন্ত তিন দিনের মিলন মেলায় সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে জ্ঞানগৰ্ভ আলোচনায় অংশ নেয় জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিবৰ্গরা। সন্ধায় ছিল মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বৰ্হিবঙ্গে বাঙালি সন্তান-সন্ততিদের বাংলা শিক্ষার একমাত্ৰ মাধ্যম ‘পরীক্ষা পরিষদ'ত কর্তৃক সফল ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের সমাবৰ্তান অনুষ্ঠানে পুরষ্কৃত করা হয়। উত্তর পূৰ্বাঞ্চলের শাখাগুলি থেকে এবার বেশ ক'টি পুরষ্কার এসেছে। সৰ্বোত্তম শাখা বিবেচিত হয়েছে লামডিং শাখা। শ্ৰেষ্ঠ কবির সম্মান পেয়েছে প্ৰদীপ সেনগুপ্ত (লামডিং), তাছাড়াও লামডিং শাখার সাহিত্য মুখপাত্ৰ ‘দৃষ্টি' পেয়েছে শ্ৰেষ্ঠ পত্ৰিকার সম্মান। সংগঠক হিসাবে পুরষ্কার পেয়েছেন প্ৰমথেশ ভাওয়াল (কোকড়াঝার) ও পুলকেশ বসু (তিনসুকিয়া)। লামডিং শাখার আজীবন সদস্য বিধান চন্দ্ৰ দেবরায় এবার নবগঠিত সৰ্বভারতীয় কমিটির সহ-সভাপতি নিৰ্বাচিত হয়েছেন। তিনদিনের আলোচনা চক্ৰের বিষয়গুলি ছিল ‘ভাষা সাহিত্য (প্ৰতিবেশী সাহিত্য, ও বাংলা সাহিত্য)'। বক্তব্য রাখেন ড০ বৈদ্যনাথ ত্ৰিপাঠী ও ড০ মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঝৰ্ণা কর। তিলোত্তম মজুমদার স্নেহাশীষ কর বক্তব্য রাখেন ‘সাহিত্য ও গণ মাধ্যম' বিষয় নিয়ে। সঞ্চালক ছিলেন ড০ গৌরাঙ্গ দেব বৰ্মা। ‘বৰ্হিবঙ্গ' শীৰ্ষক গুরুত্বপূৰ্ণ আলোচনায় অংশ গ্ৰহণকারী বক্তারা ছিলেন ক্ৰমে অসমের প্ৰমোদ রঞ্জন দাস (হোজাই), মন্দিরা গাঙ্গুলী (নাগপুর), ড০ বৈদ্যনাথ ত্ৰিপাঠী (ঝাড়খণ্ড), সমীর রক্ষিত (রায়পুর) এবং রেখা মণ্ডল (ধানবাদ)। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাঙ্গালুরnর মনোমিতা রায়। পরবৰ্তী অধিবেশনটি ছিল বাংলা সাহিত্য একবিংশ শতক। আলোচকরা ছিলেন স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়, প্ৰচেত গুপ্ত ও বিথী চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব ছিলেন ড০ সঞ্চিতা দাস। ‘আজকের দিনে বাংলা কবিতা' শীৰ্ষক আলোচনায় অংশ নেয় ত্ৰিদিব চাটাৰ্জী, সুবোধ সরকার ও অদিতি বসু রায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্ৰবীর শীল। ‘সাহিত্য ও শিল্প কলা বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেন শুভা প্ৰসন্ন ও চৈতালী মুখোপাধ্যায়।

২৫ ডিসেম্বর সকাল দশটায় অষ্টম সাহিত্য অধিবেশনের আলোচনার বিষয় ছিল ‘সাৰ্থ শতবৰ্ষে ভগিনী নিবেদিতা'। আলোচনায় অংশ নেয় গোলপাৰ্ক রামকষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী সুপৰ্নানন্দ মহারাজ, শক্তিপ্ৰসাদ মিশ্ৰ, ড০ রাইকমল দাশগুপ্ত। সভাপতির আসন অলংকৃত করেন শ্ৰীঅনুপ গুপ্ত এবং সঞ্চালনা করেন ড০ রামপ্ৰসাদ বিশ্বাস।

‘সাহিত্যের স্বাদ চলচিত্ৰে মেলে না' এই জমজমাট আড্ডাটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট ক্ৰীড়া সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচাৰ্য। এসেছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব মনোজ মিত্ৰ, আধ্যাপক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, সাহিতি্যক ইন্দ্ৰনীল স্যানাল ও অশোক মুখ্যেপাধ্যায়। মাধ্যাহ ভোজের পর প্ৰীতি প্ৰসার আসরে বিভিন্ন শাখার প্ৰতিনিধিদের স্বরচিত কবিতার প্ৰতিযোগিতা হয়। ২২ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পৰ্যন্ত ছিল মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেয় বিভিন্ন শাখার শিল্পীরা। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাতটায় পরিবেশিত হয় গীত অলেখ্য ‘মাৰ্ঘারেট থেকে নিবেদিতা হওয়ার অমৃত উপাখ্যান'। পরিবেশনায় ছিল সত্যম রায় চৌধুরী, গাৰ্গী রায় চৌধুরী, কমলিনী মুখার্জী ও সান্তনু রায় চৌধুরী। রবি বিশ্বাসের ‘শাহজাহান' শ্ৰুতি নাটকটি দৰ্শকদের মনে দাগ কাটে। অন্যান্য উপভোগ্য অনুষ্ঠানগুলি ছিল ড০ কঙ্কনা মিত্ৰের কীৰ্ত্তন, মাণ্ডবা চক্ৰবৰ্তীর গান। হাওড়া শাখা পরিবেশন করে ‘তিল্লোত্তমা কলকতা'। মন কাড়ে হাওড়া শাখার ‘ভারততীৰ্থ'। হোজাই শাখার অসিমী ঘোষের নৃত্যটি দৰ্শকদের আনন্দ দেয়।



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.