Header Ads

১ কোটি ৯০ লক্ষ বিদেশীতে অসম ভরে যাবে, অবাস্তব তথ্যঃ মুখ্যমন্ত্ৰী

২০২১ সালে অসমে আবার বিজেপি সরকার হবেঃ বিটিসি প্ৰধান হাগ্ৰামা
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে কেন্দ্ৰ করে রাজ্যে বিভিন্ন দল সংগঠন উত্তাল করে তুলেছে। সোমবার কেএমএসএস নেতা অখিল গগৈ ৭০টি সংগঠনকে পাশে নিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে দীৰ্ঘ আন্দোলনের কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান আগামী ২৭ জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে রেল ও পথ অবরোধ, ২৮ এবং ২৯ জানুয়ারি দিসপুর লাস্ট গেটে বিক্ষোভ প্ৰদৰ্শন, আগামী ২৩ জানুয়ারি আসুর নিৰ্দিষ্ট কৰ্মসূচি বজ্ৰনিনাদকে সমৰ্থন করছেন। এদিকে সারা অসম কৰ্মচারি পরিষদ নেতারা এদিন বলেছেন- দেশের থেকে চাকরি বড় নয়। ৩০ জানুয়ারি ধৰ্মঘট করে সরকারী প্ৰশাসন অচল করে দেওয়া হবে। এদিকে আগামী ২৮ জানুয়ারি বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। এই সময়েই এইসব আন্দোলন চলবে। এদিকে সারা অসম বোড়ো ছাত্ৰ সংস্থা এদিন পৃথক বোড়োল্যান্ডের দাবিতে নিম্ন অসম উত্তাল করে তোলে। এনডিএফবি-র প্ৰগতিশীল এবং আবসু সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন এদিন নিম্ন অসমে পৃথক বোড়োল্যান্ডের দাবিতে সোচ্চার হয়। আবসু সভাপতি প্ৰমোদ বোড়োর নেতৃত্বে এই প্ৰতিবাদ হয়। এদিকে মাকুমে মরাণ ছাত্ৰ সংস্থা এদিন তাদের তফশিল ভুক্ত করার দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে। সংস্থার সদস্যরা পন্যবাহী ট্ৰেনকে আটকে রাখে। এদিনও অন্যান্য দিনের মতো নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্ৰতিবাদ বিক্ষোভ চলে। মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল এদিন আবার বলেছেন- নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬কে কেন্দ্ৰ করে রাজ্যে অপপ্ৰচার চলছে। বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি ৯০ লক্ষ বিদেশীতে অসম ভরে যাবে বলে অবাস্তব তথ্য দেওয়া হচ্ছে। তা সম্পূৰ্ণ ভিত্তিহীন। তিনি দাবি করেন- বিলটি গৃহীত হলে অসমের সাত পুরুষের কৃষ্টি সংস্কৃতি সাহিত্য সুরক্ষিত হবে। এদিন কোকরাঝাড়ের এক সভায় মুখ্যমন্ত্ৰীর উপস্থিতিতে বিটিসি প্ৰধান হাগ্ৰামা মহিলারি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ২০২১ সালে অসমে আবার বিজেপি সরকার হবে। মুখ্যমন্ত্ৰী হবেন সৰ্বানন্দ সনোয়াল। এই বিলটি সম্পৰ্কে বলেন - এমন কিছু করতে হবে সাপও না মরে, লাঠিও না ভাঙে। এই রকমই একটি ব্যবস্থা গ্ৰহণ করতে হবে, চিন্তার কিছু নেই। রাজ্যে বিলকে কেন্দ্ৰ করে পরিস্থিতি সম্পৰ্কে বলেন- যত গণ্ডগোলের কোনও মানে নেই। আমরা তো এখনও বেরোইনি। ৬ জনগোষ্ঠী সম্পৰ্কে বলেন চিন্তার কিছু কারণ নেই। যদি তাদের পাওনা থাকে তা দিতে হবে। তিনি স্পষ্ট করে দেন- বিটিসিতে থাকা উপজাতি গোষ্ঠীর অস্তিত্ব যেন বিপন্ন না হয়। তাদেরকে রক্ষা করেই ৬ জনগোষ্ঠীকে তফশিলভুক্ত করতে হবে। অগপ-র তিন মন্ত্ৰী কেশব মহন্ত, অকুল বরা, ফণিভূষণ চৌধুরি আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে ট্ৰেজারি বেঞ্চে বসবেন, না বিরোধী আসনে বসবেন, সেই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতৰ্ক। এদিন অগপ-র পক্ষ থেকে বিধানসভার অধ্যক্ষ হিতেন্দ্ৰ নাথ গোস্বামীকে এক চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অগপ বিরোধী আসনেই বসবে। কংগ্ৰেস পরিষদীয় নেতা দেবব্ৰত শইকিয়া এবং বিধায়ক আবদুল খালেক দাবি করেন- রাজ্যে গুরুত্বপূৰ্ণ ৩ মন্ত্ৰী না থাকায় কৃষি জলসম্পদ এবং খাদ্য সরবরাহ বিভাগের কাজকৰ্ম স্তব্ধ হয়ে গেছে। কারণ এই বিভাগে ৩ অগপ-মন্ত্ৰী পদত্যাগ করলেও তাঁদের পদত্যাগপত্ৰ এখনও রাজ্যপাল গ্ৰহণ করেননি। পত্ৰগুলো মুখমন্ত্ৰীর টেবিলেই পড়ে আছে। এদিন বাইহাটা চারালিতে শ্ৰী শ্ৰী কুৰ্ম মাধব মন্দিরের এক অনুষ্ঠানে অংগ্ৰহণ করে অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা অভিযোগ করেন- রাজ্যে সত্ৰ এবং মন্দিরগুলি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে হবে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.