Header Ads

দেশকে ধ্বংস করার জন্য বিরোধীদলের নেতারা একজোট হয়েছেঃ নরেন্দ্ৰ মোদি

বাংলাদেশের ১ কোটি ৫০ লক্ষ হিন্দু ধৰ্মাবলম্বী মানুষ অসমে পুৰ্নবাসনের জন্য আবেদনও করতে পারবেন নাঃ সৰ্বনন্দ সনোয়াল

 গুয়াহাটিঃ মরিগাঁও জেলায় আজ জোনবিল মেলার সমাপ্তিদিবসে মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে অসমের বিভিন্ন সংগঠন রাজ্যে অপপ্ৰচার চালাচ্ছে, ভুল বোঝানো হেচ্ছ, ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা দাবি করছে রাজ্যে ১ কোটি ৯০ লক্ষ বিদেশী আসবে। প্ৰকৃতাৰ্থে এই দাবির কোনও ভিত্তিই নেই। বাংলাদেশেপ্ৰায় ১ কোটি ৫০ লক্ষর মতো হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্ৰিষ্টান জনগোষ্ঠীর মানুষ আছে। সংশোধনী বিলটি পাশ হলেও এই দেশে তারা আসতেই পারবে না এবং তারা আবেদনও করতে পারবে না। অথচ বিলটির বিরোধিতার নামে মূল্যবোধ সততাকে জলাঞ্জলি দেওয়া হচ্ছে, অশ্লীল শব্দ প্ৰয়োগ করা হচ্ছে। জাতীয় চেতনায় উদ্বূদ্ধ হয়ে অসমের ‘জাতি-মাটি-ভেটি' রক্ষার অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় এসেছি। আমি এমন কোনও কাজ করব না যা অসমের স্বাৰ্থের পরিপন্থী হবে। আসুর প্ৰতি আবেদন জানিয়ে বলেন, অসম চুক্তির ৬ নং ধারা বাস্তবায়নের ক্ষেত্ৰে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি অসমের মানুষের সাৰ্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ভূমিহীনদের ভূমিদান ১ লক্ষ পাট্টাহীন মানুষকে ভূমিরপাট্টা প্ৰদান প্ৰভৃতির উন্নয়নের কাজ করছি। জোনবিল মেলা উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্ৰী আজ ১ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্য প্ৰতিমন্ত্ৰী পিযুষ হাজরিকা, মরিগাঁওয়ের বিধায়ক রমাকান্ত দেউরি, জেলা ডেপুটি কমিশনার ঋতুরাজ বরা প্ৰমুখ এই সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। আজ ১৭জন গোভারাজাও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে কলকাতায় আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইউনাইটেড ইণ্ডিয়া' শীৰ্ষক মহাসভায় কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পৰ্যন্ত দেশের ২০টির বেশি জাতীয় দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই বিশাল জনসভায় অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধেও অনেকে বক্তব্য রাখেন। মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল কংগ্ৰেসের আপত্তি থাকা সত্বেও সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনা হয়েছে। এন আর সির ফলে অসমে বহু মানুষ অত্যাচারিত হয়েছে। পশ্চিমবাংলার বিশিষ্ট কবি শ্ৰীজাতকে অসমে চরম হেনস্থা করা হয়েছে। কলকাতায় মহাসন্মেলনের বিরুদ্ধে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি আজ গুজরাটে বলেন, দেশকে ধ্বংস করার জন্য বিরোধীদলের নেতারা একজোট হয়েছে। তাদের একমাত্ৰ লক্ষ্য নরেন্দ্ৰ মোদির বিরোধিতা করা। যতই জোট বাঁধুন না কেন দুর্নীতি ঢাকা যাবে না। পরিবারকে রক্ষা করার জন্য দুৰ্নীতি চলছে। আগামী লোকসভা নিৰ্বাচনে বিজেপি পুনরায় ক্ষমতায় আসবে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে অসমের নানা প্ৰান্তে আজও প্ৰতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত। অপরদিকে বরাকের হাইলাকান্দির জেলা কংগ্ৰেস সভাপতি প্ৰাক্তনমন্ত্ৰী গৌতম রায়ের পুত্ৰ রাহুল রায় ঐ বিলের সমৰ্থনে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন বলে জানা গেছে। বরাক উপত্যকায় অধিকাংশ নাগরিকত্ব বিলের সপক্ষে আজ উল্টো ছবিও দেখা গেল। তিনিসুকিয়া, ডিব্ৰুগড়, ডিমৌ প্ৰভৃতি জায়গায় বাঙালি সংগঠনগুলি নাগরিকত্ব বিলের বিরদ্ধে প্ৰতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হয়। গুয়াহাটি লক্ষ্মীনাথ বরা ক্ষেত্ৰে অসম সাহিত্য সভার উদ্যোগে বিভিন্ন সংগঠন বিলটির বিরুদ্ধে অবস্থান ধৰ্মঘট পালন করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.