Header Ads

বিজেপির বিধায়করা দিশপুরকে সন্তুষ্ট করার জন্য প্ৰতি কয়লা ট্ৰাক থেকে ৫০-৬০ হাজার টাকা করে তোলা আদায় করছেঃ অভিযোগ কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের

সরকারি আনুকূল্যে সিণ্ডিকেট রাজের ফলে বরাকের উন্নয়ন স্থবির হয়ে গেছে 

গুয়াহাটিঃ বরাক উপত্যকায় ব্যাপক হারে সরকারী আনুকূল্যে কয়লা সিণ্ডিকেট চলছে। মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েও সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন নি। মুখ্যমন্ত্ৰী ভয় পাচ্ছেন সিবিআই তদন্ত হলে বিজেপি দলের নেতা বিধায়কদের নাম জড়িয়ে পড়তে পারে, তাই সিবিআই তদন্ত দিচ্ছেন না। আগামী কাল প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী শিলচরে এক জনসভায় ভাষণ দেবেন, তার আগে আজ দিশপুর বিধায়ক হোষ্টেলে নিজের আবাসে সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্ৰেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ গুরুতর এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বরাক উপত্যকার দিগরখাল, মালিডহর চেক গেটে ৩-৪ হাজার কয়লা বোঝাই ট্ৰাককে দাঁড়া করিয়ে রাখা হয়েছে। জিএসটির  নথিপত্ৰ নেই, অতিরিক্ত কয়লার বোঝা আছে ইত্যাদি অভিযোগে ট্ৰাকগুলিকে দাঁড়া করিয়ে রেখে হয়রানি করা হচ্ছে। বৈধ নথিপত্ৰ থাকা সত্বেও ছাড়া হচ্ছে না। বিজেপি বিধায়করা ট্ৰাক চালকদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে শ্লিপ ইসু্য করার পরেই ট্ৰাকগুলিকে ছাড়া হচ্ছে। বিধায়করা প্ৰতি ট্ৰাক থেকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা করে তোলা নিচ্ছে। মাসে ৩০-৪০ লক্ষ টাকা করে তোলা আদায় করছে। দিশপুরকে সন্তুষ্ট করার জন্য বিধায়করা আগামী লোকসভা নিৰ্বাচনের দিকে তাকিয়ে তোলা আদায়ের মাত্ৰ বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি দিশপুর সরকারকে ধিক্কার জানাচ্ছি, এমন মন্তব্য করে বিধানসভা কংগ্ৰেস পরিষদীয় দলের উপ নেতা কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ অভিযোগ করেন, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিল কোন চেক গেট থাকবেনা, তোলা আদায় হবে না, আর আজ চেক গেটগুলি দিয়ে যাতায়াত করা বৈধ নথিপত্ৰ থাকা যান-বাহনের কাছ থেকেও লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করছেন বিজেপি বিধায়ক নেতারা। বলেন, কয়লার অভাবে বরাকের ছোট বড় সব কল কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেছে। বিজেপি সরকার পরিবৰ্তনের ডাক দিয়ে ক্ষমতায় এসে ছিল, কিন্তু পরিবৰ্তনের নামে বরাক উপত্যকায় ব্যাপক হারে কয়লা, সুপারি সিণ্ডিকেট চলছে। একমাত্ৰ বড় শিল্প উদ্যোগ পাঁচগ্ৰাম পেপার মিল বন্ধ হয়ে গেছে। সব দিকে স্থবিরতা। বিজেপির বিধায়ক এবং পুলিশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন শিলচরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপ পাল। দিলীপ পালকে আজ শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। আগামী কাল প্ৰধানমন্ত্ৰী আসছেন, প্ৰথম নিৰ্বাচনী সভায় ভাষণ দেবেন। ২০১৪সালে প্ৰধানমন্ত্ৰী রামনগর ময়দানে ভাষণ দিয়ে পাঁচগ্ৰাম পেপার মিল খোলার প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিলেন, অথচ নিজের রাজ্যে গুজরাটে বস্ত্ৰশিল্প উন্নয়নে কেন্দ্ৰীয় সরকার ৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। পাঁচগ্ৰাম পেপার মিলের বেতন বঞ্চিত অভূক্ত শ্ৰমিকরা দূৰ্বিসহ জীবন-যাপন করছেন। এই পেপার মিল বাঁচাতে কেন্দ্ৰের কোনও চেষ্টায় নেই। প্ৰধানমন্ত্ৰী গত নিৰ্বাচনের আগে এসে পাঁচগ্ৰাম পেপার খোলার প্ৰতিশ্ৰুতি সহ ডিটেনশন ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণাও করেছিলেন, তার কিছুই হল না। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.