Header Ads

কোচবিহারে তোৰ্ষা সাহিত্য সংস্থার আন্তৰ্জাতিক লিটল ম্যাগ মেলা নিয়ে কিছু কথা

 
রিংকি মজুমদার
বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি সমাজের উদ্যোগে গত বছর ২০১৮র ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর গুয়াহাটির সাউথ পয়েন্ট স্কুল প্ৰাঙ্গনে লিটল ম্যাগাজিন সম্মেলন হয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কিছু কারণে সেখানে যাওয়া হয়নি। তাই সেই আক্ষেপটা সারাজীবন থেকে যাবে। তবে তার কিছুদিন পর হোয়াটস অ্যাপে তোৰ্ষা সাহিত্য সংস্থা-র একটি ইনভিটেশন পেলাম। সেখানে লেখা ছিল ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ ৫ম বৰ্ষ আন্তৰ্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন মেলা, তোৰ্ষা সাহিত্য সংস্থা, আসুন, অতিথি নয়, আপনজন হয়ে। প্ৰাক্তন অফিসের সহকৰ্মী তথা আমার অগ্ৰজপ্ৰতীম সুপৰ্ণা দি আমাকে পাঠিয়েছিলেন। ‘আসুন, অতিথি নয়, আপনজন হয়ে’ এই লাইনটির ওপর ভিত্তি করেই বাবাকে সঙ্গে নিয়ে ২৪ জানুয়ারি সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটের ট্ৰেন বিকানির এক্সপ্ৰেস ধরে চললাম উত্তরবঙ্গের প্ৰাচীন শহর কোচবিহার। আমাদের নিউ কোচবিহার পৌঁছতে পৌঁছতে সেদিন বিকেল সাড়ে চারটে বেজে গেছে। কোচবিহারের মাটিতে পা রেখে মেজাজটা ফুরফুরে হয়ে গেল। হবেই বা না কেন কোচবিহার যে আমার মায়ের জন্মভূমি। ছোটবেলায় কতবার যে কোচবিহারে বেড়াতে গিয়েছি। মা চলে যাওয়ার পর সেই মাটিতে পা রাখতে পেরে এই কটাদিন মা কে যেন আরও বেশি করে অনুভব করলাম। যাই হোক সেদিন তো গেল। তার পরদিন আমরা বিকেলের দিকে রাজবাড়ি ময়দানে ছোট পত্ৰিকার মেলায় ঢুকলাম। চারদিকে বইয়ের স্টল। ডানদিক থেকে শুরু করে একে একে কলকাতার ছোট পত্ৰিকার গ্ৰুপ ‘ভয়েস অব ওয়াৰ্ল্ড’ থেকে সুজাতা হালদার বললেন নমস্কার, আমাদের ছোট পত্ৰিকাগুলি দেখুন। ভালো লাগবে। কোচবিহারের ছোট পত্ৰিকা ‘মুজনাই’য়ের সম্পাদক উদয় সাহা বললেন- ‘নমস্কার আমাদের স্টলে দেখুন আমাদের পত্ৰিকাগুলিতে কি আছে একটু দেখুন। তরুণ প্ৰজন্মকে উৎসাহ দেওয়া আমাদের পত্ৰিকা মুজনাইয়ের অন্যতম প্ৰধান লক্ষ্য।’ ‘স্বাস্থ্য শিক্ষা উন্নয়ণ’-এর স্টল থেকে ড০ গৌরব রায় বললেন- ‘আমাদের দল গোটা ভারতবৰ্ষের বিভিন্ন প্ৰান্তে পিছিয়ে পড়া লোকেদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং উন্নয়নের ওপর সতেচনতামূলক কাজ করে। গ্ৰাম গঞ্জের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা ছড়ানো আমাদের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য।’ ওই একই লাইনে বসেছিল মুৰ্শিদাবাদ থেকে আসা ‘অস্তিত্ব’। অস্তিত্বের স্টল থেকে ফইজলুর রহমান বললেন- ‘আমাদের পত্ৰিকা ৪৫ বছর পুরনো। পত্ৰিকায় সাহিত্য, থিয়েটার, নাটক ছাড়াও অন্য ধরনের লেখা রয়েছে। অস্তিত্বের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় রয়েছে দৰ্শন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনা।’ লোকটির কথা শুনে অস্তিত্বের দুটো সংখ্যা নিলাম। আরেকটু এগোতেই দৰ্শকাসনে দেখা হল সুপৰ্ণাদির সঙ্গে। তিনি মেলা শুরুর দিন বিকেলে কোচবিহার পৌঁছন। ইংরেজি নতুন বছর ২০১৯ প্ৰথম দেখা তাঁর সঙ্গে দুজনেই খুশি। তিনি পরিচয় করিয়ে দিলেন তাঁর বন্ধু অজিত রায়ের সঙ্গে। গত ২১ বছর ধরে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থেকে ‘শহর’ নামে একটি পত্ৰিকা চালিয়ে যাচ্ছেন অজিত রায়। ভিন্ন মেজাজের বেশ কিছু উপন্যাস, প্ৰবন্ধ, গল্প লিখেছেন তিনি। মেলা প্ৰাঙ্গনের ১৬ নম্বর স্টলে তিনি বসেছিলেন। ধানবাদের সামাজিক, রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে বহুক্ষণ আলাপ হয়। বহু অজানা তথ্য তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল।
তিন দিনের আন্তৰ্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন মেলায় ভারতবৰ্ষের বিভিন্ন প্ৰান্ত যেমন- পশ্চিমবঙ্গের উত্তর২৪ পরগণা, ইসলামপুর, হাওড়ার আন্দুল মৌড়ী, শিলিগুড়ি, ছাড়াও বাংলাদেশের রংপুর থেকে ‘ঐতিহ্য’, রংপুর সাহিত্য পত্ৰ, আলোক প্ৰভা, গাইবান্ধা থেকে ‘শব্দ’ ছাড়াও বেশ কিছু জায়গা থেকে ছোট পত্ৰিকার সম্পাদক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকরা অংশগ্ৰহণ করেন।  অসমের মরিয়নি থেকে উৎসবে যোগ দেন তরুণ কবি অসীম কুমার নাথ। অসমিয়া ভাষায় ‘তোমালৈ এখন অপ্ৰত্যাশিত চিঠি’ অসমিয়া ভাষায় কবিতা পাঠ করেন। উৎসবের তিন দিন বিভিন্ন সাঁওতাল, কামতাপুর, রাজবংশী সহ বিভিন্ন উপভাষার কবিতা পাঠের আসর চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তোৰ্ষা সাহিত্য উৎসবে বিভিন্ন ভাষাভাষী কবি সাহিত্যিকদের এক মঞ্চে মেল বন্ধনের চেষ্টা যে করা হয়েছে তার আভাস পাওয়া যায়। সংস্থার সম্পাদক ড০ মানস চক্ৰবৰ্তী এবং অন্যান্য সদস্যরা সুদীৰ্ঘ বছর ধরে টিকে থাকা পত্ৰ পত্ৰিকার সম্পাদক এবং কবি সাহিত্যিকদের অনানুষ্ঠানিকভাবে সম্বৰ্ধনা জানিয়েছেন। অসমের বিশিষ্ট লেখিকা সুপৰ্ণা লাহিড়ি বড়ুয়াকে সংস্থার পক্ষ থেকে সম্মান দেওয়া হয়। লেখিকার প্ৰকাশিত ১২টি বইয়ের মধ্যে ‘মনিপুরের মেয়েরা সংগ্ৰাম ঘরে বাইরে’ এবং ‘ডাইনি হত্যার উৎস সন্ধানে’ কোচবিহারবাসী আগ্ৰহের সঙ্গে কিনেছেন। মেলায় আরও বিভিন্নজনের সঙ্গে আলাপ পরিচয় হয়। তারই কিছু অংশ ‘নয়া ঠাহর’-এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।

  • ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙা মাটির পথে যা...’ জনপ্ৰিয় এই গানটির স্ৰষ্ঠা তথা কবি অরুণ কুমার চক্ৰবৰ্তীর সঙ্গে কিছুক্ষণঃ বললেন- দীৰ্ঘদিন বাউলদের সঙ্গে থাকতে থাকতে, তারপর গীত গোবিন্দ পড়া, প্ৰচুর লোকজনের সঙ্গে মিশতে মিশতে, জীবনে নানান ধরনের চড়াই উতরাই ডিঙোতে ডিঙোতে কখন যে গান সৃষ্টি হয়েছে এবং তা মানুষের মন জয় করেছে তা ভাবলে অবাক লাগে তাঁর। বললেন কিছু ভাল কবিতা লিখতে পেরেছেন, জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে কিছুটা হলেও সম্বৃদ্ধ করতে পেরে তিনি আনন্দিত। ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা ... ’এই যে লোকসংগীত এর ভাষা এগুলো কিভাবে মনে এল ? এই প্ৰশ্নের জবাবে তিনি বললেন- রবীন্দ্ৰনাথের একটি গান আছে ‘নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই...লুকোচুরি খেলা..’ আমাদের চারপাশের এই যে দৃশ্যবীক্ষণ, রবীন্দ্ৰনাথ যেভাবে নিজের বিচার বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে যেমন করে গান সৃষ্টি করেছেন, ঠিক সেভাবেই দীৰ্ঘদিন লালমাটিতে থেকে সেখানকার মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে মিশে দৃশ্যবীক্ষণ দিয়ে এই গানের সৃষ্টি হয়েছে। বিজ্ঞানের ছাত্ৰ হয়ে বাউল গানের জগতে চলে আসা হয়েছে, আসলে সবই বিজ্ঞান। অসমে কখনও আসা হয়েছে? প্ৰশ্নের জবাবে বললেন- ২০০০ কিংবা ২০০১ সালে গোয়ালপাড়ার লোকসংগীত শিল্পী প্ৰতিমা পাণ্ডে বড়ুয়ার বাড়িতে এসেছিলেন। প্ৰতিমা পাণ্ডে বড়ুয়া তাঁকে গান গেয়ে রান্না করে খাইয়েছিলেন। ধুবড়িতে একসময় খুব যাতায়াত ছিল। জনৈক দিলীপ চক্ৰবৰ্তী ‘কড়া চাবুক’ নামে একটি ছোট পত্ৰিকা বের করতেন। সেই পত্ৰিকার বাৰ্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্ৰত্যেক বছর ধুবড়ি আসা হত। ছোটবেলা কাটে কলকাতা, হাওড়া, চন্দননগর। বলা যায় শহর, গ্ৰাম, মফস্বলে তাঁর ছেলেবেলা কাটে। কথা বলতে বলতে প্ৰসঙ্গক্ৰমে তিনি এক সময় বললেন- প্ৰথিবীতে ৩ ধরনের মানুষ আছে এক- জগন্নাথ, দুই-বলরাম, তিন-সুভদ্ৰা। সারা পৃথিবীতে এই তিন ধরনের মানুষ নিয়ে গবেষণা চালানোর ইচ্ছা তাঁর। শুক্ৰবার বিকেলে যখন লিটল ম্যাগ মেলার ময়দানে ঢুকি তখন মঞ্চে প্ৰখ্যাত কবি অরুণ কুমার চক্ৰবৰ্তী রাজবংশী এবং আরও অন্যান্য উপভাষায় কবিতা পাঠ করছিলেন। আর তাঁকে মন্ত্ৰমুগ্ধের মতো শুনছিলেন দৰ্শক তথা সাহিত্য পিপাসুরা। সন্ধ্যের সময় বাংলাদেশ থেকে মাহফুজ ফারুকের সম্পাদনায় প্ৰকাশিত ছোট কাগজ অন্যথা-র মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। লালন পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার, কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় পুরস্কার, রূপসী বাংলা পুরস্কার, কবি ভারতচন্দ্ৰ পুরস্কার, কবি জয়দেব পদ্মাবতী পুরস্কার, সহজিয়া ফাউন্ডেশন পুরস্কার, ওসমান সওকদ সাহিত্য পুরস্কার, ইন্দো বাংলাদেশ সাহিত্য পুরস্কার সহ আরও কত যে সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন তবুও কিন্তু বিন্দু মাত্ৰও অহংকারের ছাপ নেই মানুষটির মুখমণ্ডলে।
  • বাংলাদেশের ‘শব্দ’ স্টলে কবি, সম্পাদক, প্ৰকাশক, সংগঠক ও প্ৰশিক্ষক সরোজ দেবের সঙ্গে কিছুক্ষণঃ ওপার বাংলার এই কবির অ্যাতগুলো পরিচিতি রয়েছে। তবে কবি হিসেবেই তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন বাংলাদেশ থেকে আসা এক সাংবাদিক বন্ধু তথা আরজে মাহফুজ ফারুক। তিনিই জানালেন গত ৪৭ বছর ধরে সরোজ দেবের সম্পাদনায় নিয়মিত প্ৰকাশ হচ্ছে ছোট পত্ৰিকা ‘শব্দ’। সরোজ দেব লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের অন্যতম এক যোদ্ধা। ‘শব্দ’ নতুন কোনও লেখকই শুধু সৃষ্টি করেনি, সঙ্গে লালনও করে এসেছে আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তখন লিটল ম্যাগ মেলার মঞ্চে চলছিল দেশভক্তির একটি হিন্দি গান সহ শিশুদের নাচ। তিনি বললেন- এই যে এখানে (ভারতে) মঞ্চে নানা ভাষাভাষীর গান হচ্ছে, নাচ হচ্ছে, এটা শুধু ভারতবৰ্ষ বলেই সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশে সমস্ত অনুষ্ঠনে শুধু এবং শুধু মাত্ৰ বাংলা গান নাচই হবে। এটাই হচ্ছে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে পাৰ্থক্য। লিটল ম্যাগাজিন ‘শব্দ’ এবং তার সম্পাদক সরোজ দেব বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি সম্মান পেয়েছেন। 
  • তরুণ অভিনেতা প্ৰশান্ত-র সঙ্গে কিছুক্ষণঃ থিয়েটার হচ্ছে মস্তিস্ক, শরীর ও স্থানের খেলা। আমি একাই অভিনয় করে যে কোনও জায়গায় অনেকগুলো মানুষকে একত্ৰে জমায়েত করতে পারি। ভগবান আমায় একটি শরীর দিয়েছেন, চিন্তা করার জন্য মস্তিস্ক দিয়েছেন আর কি চাই। চাহিদা তো তেমন কিছু নেই। বেঁচে থাকতে যতটুকু দরকার ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়েই যে কোনও জায়গায় আমি অভিনয় করে দিতে পারি। উত্তরপূৰ্বাঞ্চলের মনিপুরে ‘আৰ্মড ফোৰ্স স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’-এর অপব্যবহার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জোলার প্ৰত্যন্ত অঞ্চলে  বহুবার ‘XYZ’ নাটকটি করেছেন প্ৰশান্ত। মেলা প্ৰাঙ্গনে সুপৰ্ণা লাহিড়ী বড়ুয়ার ‘মনিপুরের মেয়েরা সংগ্ৰাম ঘরে বাইরে ’ বইটি দেখে অভিভূত তরুণ এই অভিনেতা। তাই সুপৰ্ণাদির সঙ্গে বহুক্ষণ বিষয়টি নিয়ে কথপোথন চালিয়ে যান প্ৰশান্ত। প্ৰসঙ্গক্ৰমে তিনি আরও বললেন আগামী ২৩ ফেব্ৰুয়ারি অসমের নলবাড়িতে তাদের নাটক ‘XYZ’ অসমে অভিনীত হবে। তাঁর এই নাটকটি অভিনয় করতে খরচ হয় মাত্ৰ ১৭ টাকা। ‘দ্য সেভেনটিন রুপিজ পারফরমেন্স...’ এই নাটকের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বোলপুর সমেত বিভিন্ন প্ৰত্যন্ত এলাকায় প্ৰশান্ত সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। তাঁর অভিনয়ের ভাষা খুবই সহজ সরল। তাই গ্ৰাম গঞ্জের মানুষগুলোর মনিপুরের সামাজিক অবস্থান পরিস্থিতি সম্পৰ্কে জানতে বেগ পেতে হয়নি। তারা নাটক দেখে বলেছেন আচ্ছা, এমনটাও হতে পারে? সেদিন আমাদের তিনজনের মধ্যে মনিপুরে অদ্ভুত সংবিধান বিরোধী ‘সশস্ত্ৰ বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন’ নিয়ে অনেকক্ষণ কথা হল। এই আইনের বলে বলীয়ান হয়ে সেখানে জওয়ানরা বাড়িতে ঢুকে সমস্ত লণ্ডভণ্ড করতে পারে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক এমন কি এনকাউন্টার পৰ্যন্তও করতে পারে, বাড়ির মেয়ে বউদের বাড়ির লোকের সামনে ধর্ষণ করতে পারে। এই আইনের বিরোধীতা করেই তো প্ৰায় ১৪ থেকে ১৫ বছর ইরম শৰ্মিলা না খেয়ে প্ৰতিবাদ করেছেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলে খুবই আনন্দ প্ৰকাশ করেন প্ৰশান্ত। আগামী দিনেও যোগাযোগ থাকবে এই প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়ে সেদিনের মতো বিদায় নেওয়া হল। ফেরার আগের দিন কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে স্মৃতির কৌটায় টুকরো টুকরো কিছু মুহূৰ্ত যা কখনও ভোলা যাবে না, সেই স্মৃতিগুলো নিয়ে গুয়াহাটি ফেরা হল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.