Header Ads

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হলে সাম্প্ৰদায়িক বিভাজন ঘটবেঃ রিপুন, ভূবনেশ্বর



অগপর তিন মন্ত্ৰীও অনশন ধৰ্মঘটে সামিল হলেন

গুয়াহাটিঃ  নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬র বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে প্ৰতিবাদ অব্যাহত, আজ কংগ্ৰেস এবং অগপ রাজ্য জুড়ে বিল বাতিলের দাবিতে অনশন ধৰ্মঘট পালন করে। সেই বিলের সপক্ষে মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল এবং অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা আজ জোরাল সওয়াল করে আসু নেতৃত্ব সহ আন্দোলনকারীদের কঠোর ভাষায় সমালোচনা করলেন। মুখ্যমন্ত্ৰী বললেন, একমাত্ৰ এই বিলটি পাশ হলেই অসমীয়া ভাষা সংস্কৃতি কৃষ্টি সুরক্ষিত হবে। আজও হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা মুখ্যমন্ত্ৰী এবং কেন্দ্ৰীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তাৎপৰ্যপূৰ্ণভাবে মন্তব্য করে বলেন, ২০১১ সালের পর তিনি আর রাজনীতি অঙ্গনে থাকবেন না। অসম প্ৰদেশ কংগ্ৰেস সভাপতি রিপুন বরা, সাংসদ ভূবনেশ্বর কলিতার নেতৃত্বে কংগ্ৰেস সদস্যরা সারা রাজ্যের সঙ্গে আজ দিশপুর প্ৰেস ক্লাবের প্ৰাঙ্গনে অনশন ধৰ্মঘট পালন করে। রিপুন বরা বিলটির তীব্ৰ বিরোধিতা করে বলেন, এই সংবিধান বিরোধী বিলটি রাজ্যসভায় কোনও ভাবেই পাশ করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, এবার প্ৰজাতন্ত্ৰ দিবসে বিলটির জোরদার প্ৰতিবাদ করা হবে। তারা দিল্লীতে গিয়ে কংগ্ৰেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিলটির বাতিল করার দাবি জানাব। দিশপুর প্ৰেস ক্লাবে এই প্ৰতিবেদককে বলেন, বরাকের কংগ্ৰেস সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ এমন কোনও মন্তব্য করেন নি যা দল বিরোধী। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার প্ৰশ্নই উঠছে না। বিল নিয়ে কংগ্ৰেসের স্থিতিকেই তারা সমৰ্থন করছে। সাংসদ ভূবনেশ্বর কলিতা বলে এই বিলটির ফলে সমাজে হিন্দু-মুসলিম সম্প্ৰীতিতে ভাঙন ধরবে। বিভাজন তৈরি হবে তার প্ৰতিরোধ করার জন্য বিলটি কোনও ভাবে পাশ করতে দেওয়া হবে না। আজকের অনশন ধৰ্মঘটে বিধায়ক ওয়াজেদ আলি চৌধুরী, অকন বরা, আবু সালেহ নাজমুদ্দিন, দুৰ্গা দাস বড়ো, ববিতা শৰ্মা দাইয়ান হোসেন, এম. ফুজাইল আহমেদ প্ৰমুখ শতাধিক কংগ্ৰেস পুরুষ-মহিলা কৰ্মী উপস্থিত ছিলেন। বরপেটা, ক্ষেত্ৰী, শালমারা, ধুবুড়ি, গোয়ালপারা প্ৰভৃতি জায়গায় কংগ্ৰেস অনশন ধৰ্মঘটে সামিল হয়েছিল। আজ গুয়াহাটি মহানগরের দীঘল পুখুরীর পারে সদ্য প্ৰাক্তন অগপ মন্ত্ৰী কেশব মহন্ত, অতুল বরা, ফণি ভূষণ চৌধুরী, প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত সহ শতাধিক অগপ কৰ্মী সমৰ্থক ১০ ঘণ্টা অনশন ধৰ্মঘটে সামিল হয়েছিল। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি হীরেন গোঁহাই, কৃষক মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতির নেতা অখিল গগৈ, পলাশ সাংমা ছাড়াও সাংবাদিক অনুরাধা শৰ্মা পূজারী, প্ৰকাশ মহন্ত উৎপল বরুয়া, প্ৰশান্ত রাজগুরু, আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতীয়া, অদ্বীপ ফুকন, হাইদর হুসেইন সহ শতাধিক অগপ কৰ্মী নেতা ধৰ্মঘটে সামিল হয়েছিলেন। অপরদিকে উজান অসমে মরাণ ছাত্ৰ সংস্থা ৬ জনগোষ্ঠীকে তপশিলভুক্ত করার এবং বিলের প্ৰতিবাদে গত ২০ জানুয়ারি থেকে অনিৰ্দিষ্টকালীন অৰ্থনৈতিক অবরোধের ফলে তিনসুকিয়া, ডিব্ৰুগড় জেলার প্ৰচণ্ড জ্বালানি সংকটের সৃষ্টি হয়েছে, পণ্যবাহী মালগাড়িকে আটকে রাখা হয়েছে, নিত্য ব্যবহায্য আকাশ সম মূল্যবৃদ্ধির ফলে আম জনতার নাভিঃশ্বাস উঠছে। সরকারী হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সও তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.