Header Ads

রাষ্ট্রবাদী চেতনাই হিন্দুত্ব, এতে সাম্প্রদায়িকতার কোনও অবকাশ নেই


আরএসএস, গুয়াহাটিঃ দেশের সংস্কৃতি, অখণ্ডতা রক্ষার জন্য যাঁরা দায়বদ্ধ, তাঁরাই হিন্দু। হিন্দুরা সর্বাবস্থায় সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে। হিন্দুরাই মানবিকতার কথা বলেন, এই দর্শনের ওপরই হিন্দু সভ্যতা গড়ে উঠেছে। বলেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ক্ষেত্র কার্যবাহ ডা. উমেশচন্দ্র চক্রবর্তী। রবিবার সংঘের গুয়াহাটি মহানগর শাখার উদ্যোগে গীতানগর হাইস্কুল খেলার মাঠে প্ৰান্তীয় পথ সঞ্চলন দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করছিলেন ডা. চক্রবর্তী। অসমের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে সংগতি রেখে এদিন সকাল এগারোটায় সংঘের মহানগর সংঘচালক গুরুপদ মেধির পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত কার্যক্রমে দু’ হাজারের বেশি স্বয়ংসেবক অংশগ্ৰহণ করেন। প্রাসঙ্গিক বক্তব্যে সংঘের নানা কার্যপ্রণালির ব্যাখ্যা করেন ক্ষেত্র কার্যবাহ ডা. উমেশচন্দ্র। সমাজকে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ ও গুণসম্পন্ন করতে সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডা. হেডগেওয়ার প্রবর্তিত দৈনিক শাখার প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন তিনি। অনুশাসনের মধ্যে সুসংবদ্ধ করা এবং সুস্থ-সবল স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার কথা বলেছেন ডা. চক্রবর্তী। এ প্রসঙ্গে তিনি পথ সঞ্চলনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার বিশ্লেষণও করেছেন। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে মোগল ও ইংরেজ শক্তির হাতে হিন্দুদের কীভাবে নির্যাতিত হতে হয়েছে, কীভাবে শিবাজি থেকে বীর লাচিত মোঘল আক্রমণ থেকে স্বজাতিকে রক্ষা করেছিলেন তার বর্ণনা করে সাম্প্রতিককালের পরিস্থিতি টেনে এনেছেন বক্তা। অপশক্তির হাতে বার-বার হিন্দুরাই কেন আক্রান্ত হয় তারও বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। বলেছেন, এখনও হিন্দুরা নানা অশুভ শক্তির হাতে আক্রান্ত হচ্ছে। এর থেকে রক্ষা পেতে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী হতে হবে। হিন্দুত্বের ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রবাদী চেতনাই হিন্দুত্ব। এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনও অবকাশ নেই। উদাহরণ ভারতমাতা অর্থাৎ এই দেশ। সংঘ প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠন নয়, ক্রিয়াশীল। তাই সংঘের প্রয়োজনীয়তা দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অতএব উন্নত দেশ গড়তে হলে শক্তিশালী সংগঠনের যে প্রয়োজন প্রায় এক ঘণ্টার ভাষণে তা-ও ব্যাখ্যা করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ক্ষেত্র কার্যবাহ ডা. উমেশচন্দ্র চক্রবর্তী। বৌদ্ধিক কার্যক্রমের পর ৯৫৩ জন ‘পূর্ণ গণবেশ’ (ইউনিফর্ম) পরিহিত স্বয়ংসেবক পথসঞ্চলনে পা মিলিয়েছেন। গীতানগর হাইস্কুল খেলার মাঠ থেকে বেরিয়ে পথসঞ্চালনটি জু-রোড তিনালি, হাতিগাঁও হয়ে ফের সংঘ স্থলে আসে। উল্লেখ্য, রবিবার সকাল ঠিক এগারোটায় গীতানগর হাইস্কুল খেলার মাঠে স্বয়ংসেবকরা ‘সম্পত’ (পঙক্তিবদ্ধ) হন। এরপর তাঁদের উদ্দেশে ভাষণ দেন সংঘের অসম ক্ষেত্র কার্যবাহী ডা. উমেশচন্দ্র চক্রবর্তী। ভাষণ শেষে ময়দান থেকে গৈরিক ধ্বজ বহন করে আগে পিছে ব্যান্ড নিয়ে পূর্ণ গণবেশধারী স্বয়ংসেবকরা গোটা পথসঞ্চলন করে ফের ময়দানে ফিরে আসেন। সংঘের গুয়াহাটি মহানগর বিভাগ আয়োজিত পথসঞ্চলন কার্যক্রমে ৯৫৩ জন পূর্ণ গণবেশধারী-সহ প্রায় দুই হাজার স্বয়ংসেবক উপস্থিত ছিলেন।
সৌজন্যঃ হিন্দুস্থান সমাচার

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.