Header Ads

পঞ্চায়েত ভোটে কাছাড়, করিমগঞ্জে বিক্ষিপ্ত ঘটনা

 
শীৰ্ষেন্দু সী, করিমগঞ্জঃ  অসমে দ্বিতীয় পৰ্যায়ের পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনে ১০টি জেলায় রবিবার ৭২ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে এই খবর লেখা পৰ্যন্ত কিছু কিছু এলাকা থেকে ভোটের খবর আসা বাকি ছিল। তাই ভোটের হার আরও বাড়তে পারে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান রাজ্য নিৰ্বাচন কমিশনার হরেন্দ্ৰ নাথ বরা। তাছাড়া কাছাড়, করিমগঞ্জ এবং নলবাড়িতে মঙ্গলবার ফের ভোটগ্ৰহণ হবে। দ্বিতীয় পৰ্যায়ের ভোটে কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় ভোটগ্ৰহণ পৰ্ব শুরুর আগেই ভোটারদের দীৰ্ঘ লাইন পরে যায়। করিমঞ্জে পুলিশের সামনেই বুথ দখল করে একাংশ ভোট দেয়। ভোটগ্ৰহণ পৰ্ব শুরু হওয়ার সময় থেকেই এই দৃশ্য দেখা যায়। একটি পরিবারের একজন সদস্যকে বাকি সকলের হয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে। এই ঘটনা দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধানসভার অন্তৰ্গত ধলাছড়া জিপির রাতায়ালা এলপি স্কুলের। করিমগঞ্জের কানিশাইলে মারপিট করে আহত হয় দুজন। এদিন সেখানে আব্দুল রেজ্জাক নামের স্থানীয় একজনের বাইক জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ছুড়িবিদ্ধ হয় শাহিদ আলম নামের এক যুবক। পাথারকান্দি কেন্দ্ৰের পয়লামুলি প্ৰাইমারি স্কুলের ভোটগ্ৰহণ কেন্দ্রও ব্যাপক নিৰ্বাচনী হিংসা দেখা যায়। ভোটগ্ৰহণ কেন্দ্ৰের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বজন পোষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্ৰ করে এদিন কংগ্ৰেস ও বিজেপির মধ্যে তুমুল সংঘাতের সৃষ্টি হয়। সংঘাতে আহত হয় চারজন। এরপর উত্তেজিত জনতা ওই কেন্দ্ৰে তালা ঝুলিয়ে দেয়। নিলামবাজার জেলা পরিষদের আসনে দুটি ব্যালট বক্স ছিনতাই হয়। তাছাড়া দুৰ্লভছড়া ডেভেলপমেন্ট ব্লকের জে ই আনোয়ার হুসেন মজুমদারকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়। ব্যালট কাগজে প্ৰাৰ্থীর আসল প্ৰতীক চিহ্নের পরিবৰ্তে অন্য প্ৰতীক চিহ্ন ব্যবহার করার ফলে তাঁকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়। এইসব কারণে সোনাইরপার ১৫ নম্বর পাটিয়ালা এমভি স্কুলে ভোট দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে সাধারণ ভোটাররা। মঙ্গলবার ওই কেন্দ্ৰে ফের ভোটগ্ৰহণ হবে। করিমগঞ্জের সেরুলবাগে ভোটগ্ৰহণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে ৪০ টি ব্যালট পেপার কেউ সরিয়ে নিয়ে যায়। ভোটাররা ক্ষুব্ধ হয়ে পরলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ভোটগ্ৰহণ বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে প্ৰশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের হাজির হতে হয়। দক্ষিণ হাইলাকান্দির দত্তপুর এলপি স্কুলে ওয়াৰ্ড মেম্বারের প্ৰতীক চিহ্ন ভুল হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভোটাররা ভোট দেন নি। হাইলাকান্দির ৬৬০ নম্বর বিলপার এলিমেন্টারি স্কুলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ৫০ থেকে ৬০ জনের অজ্ঞাতপরিচয়ের দুৰ্বত্ত এসে প্ৰিসাইডিং অফিসার কুমার কান্তি দাস সহ পুলিশ কনস্টেবল দীনবন্ধু দাসকে মারধর করে। ব্যালট পেপার নিয়ে পুকুরে ফেলে দেয় দুৰ্বত্তরা। এরপর ব্যালট বক্স, ব্যালট পেপার পুকুর থেকে উদ্ধার করে ওই কেন্দ্ৰে ফের ভোটগ্ৰহণ হয়। কাছাড়ের সোনাই কেন্দ্ৰে কংগ্ৰেস এবং বিজেপির মধ্যে সংঘৰ্ষ হয়। আহত হন বিজেপির মহিলা প্ৰাৰ্থী সহ বেশ কয়েকজন। সোনাইয়ের উত্তর কৃষ্ণপুরের একটি ভোটকেন্দ্ৰে রিগিং করে ভোট দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.